[justify]
২০০৬ বিশ্বকাপ আসন্ন। আতাতুর্ক স্কুল হোস্টেল।
[justify]নিগার ঘুম ভাঙ্গলো সকাল দশটা চল্লিশে। চোখ কচলে মোবাইলের স্ক্রিনের দিকে তাকিয়েই মেরুদণ্ডে বয়ে যাওয়া শীতল স্রোতটা অনুভব করলো সে। অ্যালার্মের স্নুজ অপশনটাকে গালি দিতে দিতে যথাশীঘ্র কিছু অজুহাত খুঁজতে থাকলো। আজ সোমবার; থিসিস ডে। থিসিস সুপারভাইজারকে ঠিক সকাল দশটায় ফোন করে শিডিউল নেয়ার দায়িত্ব ছিল তার উপর। আজকের গ্রুপ-রিপোর্টটাও তারই করার কথা ছিল।
[justify]
সারচু টু লেহ'র পর থেকে.....
[justify]
বইটা পড়া অনেক আগেই। বড্ড কাঁদিয়েছিলো বেয়াড়া অক্ষরগুলো। যুদ্ধ, প্রেম, কৈশোর, বন্ধুত্ব, উত্তেজনা, বুদ্ধিমত্তা-সব মিলিয়ে নিটোল বেদনার্ত দাগকাটা পাঠোপকরণ। আমারও হাল্কা স্বপ্নালু ইচ্ছে হয়েছিলো আমার সন্তানের নাম রাশেদ থাকুক না হয়।
১.
দিনটা ছিল বোশেখের এক রৌদ্রতপ্ত দুপুর, এখনো স্পষ্ট মনে পড়ে। খাওয়ার সময় দুদন্ড জিরিয়ে নেওয়ার আগে আলগোছে হাতে তুলে নিয়েছিলাম বইটি। এরপরের ঘন্টাখানেক আমি আক্ষরিক অর্থেই বুঁদ হয়ে ছিলাম, মুহুর্তের জন্যও চোখ সরাইনি(বা বলা ভাল সরাতে পারিনি) বইয়ের পাতা থেকে । চোখের কোনায় পানি চকচক করেছিল কিনা মনে নেই, তবে পড়া শেষে ভেতরটা ভীষণরকম কুঁকড়ে গিয়েছিল, সেটা দিব্যি দিয়েই বলা যায়। রাশেদের সাথে আমার পয়লা মোলাকাত হল এভাবেই, আর প্রিয় লেখক মুহম্মদ জাফর ইকবালের আমার বন্ধু রাশেদ চলে গেল প্রিয় বইগুলোর ছোট্ট তালিকার কাতারে।