Warning: Creating default object from empty value in i18ntaxonomy_term_page() (line 34 of /var/www/sachalayatan/s6/sites/all/modules/i18n/i18ntaxonomy/i18ntaxonomy.pages.inc).

কার্বন যুগ

কার্বন যুগ : অধ্যায় ১ (বাকিটুকু)

ফারুক হাসান এর ছবি
লিখেছেন ফারুক হাসান (তারিখ: শুক্র, ১৭/০৬/২০১১ - ১:১২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

অধ্যায় ১ (প্রথম অংশ, দ্বিতীয় অংশ)

ক্যালটেকের প্রয়াত পদার্থবিদ রিচার্ড ফাইনম্যান একবার বলেছিলেন, দুনিয়ার সকল জ্ঞান ধ্বংস হলেও যে বৈজ্ঞানিক বিবরণটি শেষ পর্যন্ত রক্ষা করতে চাইবো সেটি হচ্ছে, “সকল পদার্থ পরমাণু দিয়ে তৈরি। পরমাণুরা কোনো জ্বালানি ছাড়াই নিয়ত ঘূর্ণনশীল এক একটি অতিক্ষুদ্র কণা। সামান্য দূরত্বের পরমাণুরা একে অপরকে আকর্ষণ করে, কিন্তু খুব কাছে নিয়ে আসলে তারা আবার একে অপরকে বিকর্ষণ করে।” মৃতপ্রায় নক্ষত্রদের একেবারে বাইরের দিকে, যেখানে সবকিছু অপেক্ষাকৃত ঠান্ডা, সেইখানে নিউক্লিরা ইলেকট্রন জোগাড় করে পরমাণুতে পরিণত হয়। যখন পরমাণুগুলির মধ্যে বিদ্যমান আকর্ষণ ও বিকর্ষণ বলের ভারসাম্য তৈরি হয়, তখন তারা জোড়া লেগে লেগে অণু সৃষ্টি করে।


কার্বন যুগ : অধ্যায় ১ (দ্বিতীয় অংশ)

ফারুক হাসান এর ছবি
লিখেছেন ফারুক হাসান (তারিখ: রবি, ১২/০৬/২০১১ - ১:৫৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

অধ্যায় ১ (প্রথম অংশ)

কার্বনের প্রাগৈতিহাসিক গল্পের মতন একটি চমৎকার গোছানো বৈজ্ঞানিক আখ্যানের পূর্ণতা পেতে দশকের পর দশক সময় লাগে। এই সময়ে প্রস্তাবিত নানান প্রকল্পের (hypothesis) মধ্যে কোনটি বেশি গ্রহনযোগ্য তাই নিয়ে চলে তুমুল প্রতিযোগিতা। বিজ্ঞানিরা হন্যে হয়ে বিভিন্ন প্রকল্পের পক্ষে বিপক্ষে উপযুক্ত প্রমাণ খুঁজে বেড়ান। বিজ্ঞানিরাও মানুষ, তাদের জীবিকার চিন্তা করতে হয়, তারাও ভুল করেন, প্রভাবিত হন। কিন্তু আশার কথা হচ্ছে, বিশ্বজুড়ে শত শত বছর ধরে আমরা এমন এক বিজ্ঞানের চর্চা করছি যার লক্ষ্য হচ্ছে সমস্ত ব্যক্তিপ্রবণতা আর ভুলত্রুটি দূর করে কেবল বাস্তব প্রমাণ আর অকাট্য যুক্তিতর্কের উপর ভিত্তি করে একটি ক্রমবর্ধমান জ্ঞানের সমষ্টি গড়ে তোলা। পেশাদার বিজ্ঞানির দল শুধুমাত্র সম্ভাবনাময় চিন্তাধারাকে গ্রহন করেন। বাস্তবপ্রমাণহীন ধারণাগুলি সময়ের ভাগারে নিক্ষিপ্ত হয়।


কার্বন যুগ : অধ্যায় ১

ফারুক হাসান এর ছবি
লিখেছেন ফারুক হাসান (তারিখ: শনি, ০৯/০৪/২০১১ - ৭:৩৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

অর্ধেক দেবতা আর অর্ধেক মানুষ প্রমিথিউস বুঝতে পেরেছিলেন যে আগুন পেলে মানুষের অনেক উপকার হয়। তাই তিনি দেবতাদের দখল থেকে আগুনকে মুক্ত করলেন। আর এতে ক্রুদ্ধ্ব হলেন জিউস। আগুন চুরির অপরাধে প্রমিথিউসকে দিলেন এক অতুলনীয় নিষ্ঠুর শাস্তি। সবচেয়ে উঁচু পর্বতশৃঙ্গে শৃংখলাবদ্ধ হলেন প্রমিথিউস। প্রতিদিন শকুন এসে তার কলিজা ছিড়ে খায়, রাতে সেই ক্ষত সেরে যায়, এবং এভাবেই চলতে থাকে, অনন্তকাল।
====================================================


কার্বন যুগ : মুখবন্ধ ২

ফারুক হাসান এর ছবি
লিখেছেন ফারুক হাসান (তারিখ: শুক্র, ০১/০৪/২০১১ - ২:৩৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ব্ল্যাপ

=============================================
পৃথিবীর মোট কার্বনের মজুদ ৭৫ মিলিয়ন বিলিয়ন মেট্রিক টনের চেয়েও বেশি। ধরিত্রী, এর জল, মাটি, আর বায়ুমণ্ডলে নিয়ত চলছে এক বিপুল কার্বন লন্ডারিং প্রক্রিয়া। কার্বন চক্রে প্রত্যেকেরই নিজস্ব একটা স্থান আছে, যতক্ষণ পর্যন্ত না আরেকটা স্থান সে পায়। বাতাস এবং পানি, ব্যাকটেরিয়া, তরুর দল, এবং জীবজন্তু কার্বন চক্রে একে অপরের মধ্যে পথ খুঁজে নেয়, অনাদিকাল ধরে। অথচ, আমাদের কার্বন যুগে, অর্থনৈতিক কার্যক্রমের কারণে ভূতাত্ত্বিক সময় মাত্র এক জীবনে এসে ঠেকেছে। কী করে হলো কার্বন ও প্রাণের উদ্ভব? কীভাবে বিবর্তনীক সৃষ্টিশীলতা কার্বনের বাতাস, সমুদ্র আর ভূমিতে চক্র কাটার দিক পালটে দিল? আবার কীভাবেই বা শুধুমাত্র গত ১৫০ বছরে বৈজ্ঞানীক, শিল্পপতি, এবং ভোক্তার দল এক শিল্পঘটিত কার্বন চক্রের জন্ম দিলো – মিলিয়ন মিলিয়ন বছরের জমে থাকা ভূতাত্ত্বিক তলানিকে হঠাৎ উড়িয়ে দিলো বায়ুমণ্ডলে? কীভাবে বিবর্তন এবং মানব প্রযুক্তি একই রকম সমস্যাকে মোকাবিলা করে, বিবর্তনে প্রযুক্তির অবস্থান কোথায়, এবং কীভাবে কার্বনের এই জগত কাজ করে – এই সব প্রশ্নের উত্তর আর কিছু মৌলিক ধারণা দেবার জন্য এরিক রোস্টন লিখেছেন ‘কার্বন যুগ’ বইটি। সেই বইয়ের অনুবাদ চলছে। (গত পর্বের পর) আজকে থাকছে মুখবন্ধের বাকিটুকু।
=============================================


কার্বন যুগ : মুখবন্ধ ১

ফারুক হাসান এর ছবি
লিখেছেন ফারুক হাসান (তারিখ: মঙ্গল, ২৯/০৩/২০১১ - ৬:২০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

দেশে থাকতে কম দামে কেনা, এমনকি বিনে পয়সাতেও পাওয়া অনেক বই পড়া হতো। বাইরে নতুন বই কিনতে গেলে গাঁটের পয়সা খরচ করতে হয় প্রচুর। তাই তক্কে তক্কে থাকি পুরাতন ভালো বই কম দামে কেনা যায় কিনা। তো এরকম একদিন মাত্র তিন ডলারে কিনলাম বিজ্ঞান লেখক Eric Roston এর The Carbon Age। সাম্প্রতিক বই, কিন্তু একে তো সেকেন্ড হ্যান্ড তার উপর পেপারব্যাক সংস্করণ, তাই দামটা সস্তাই হলো। খুলেই দেখি গোলাপি কালিতে আমার আগে বইটার যে মালিক ছিল তার নাম লেখা । Ryo, তবে o টা সে লিখেছে একটা হৃদয় এঁকে। বিজ্ঞানের প্রতি ভালোবাসা দেখে পুরাই মুগ্ধ আরকি! প্রথম অধ্যায় পড়েই বইটার প্রেমে পড়ে গেলাম, শুধু বইটার না, কার্বনেরও। সিদ্ধান্ত নিলাম, বইটার অনুবাদ করবো।