১..................................................................................................................
নামের কখনো স্বত্ব হয় না। অনামের হয়।
কুলদা রায়
এমএমআর জালাল
দুটো মেয়ের কথা হবে আজ। একজনের নাম কিম ফুক। বাড়ি ভিয়েতনাম। আরেকজনের নাম খুকি--খুকিরানী। বাড়ি বাংলাদেশে। ঘটনাকাল ১৯৭২ সালে আর ১৯৭১ সালে। কিমের বয়স ছিল তখন মাত্র নয়। আর খুকীর বয়স তের কি চৌদ্দ।
আমাদের যাত্রা আগে ভিয়েতনাম
কুলদা রায়
এমএমআর জালাল
ওপারে সন্যাসী গ্রাম। এপারে কলারণ। মাঝখানে পানঘুচি নদী। ও নদীর কুল নাই কিনারা নাই—আছে দৈরার পানি। পানি দেখলে বিশুবাবুর প্রাণ উড়ে যায়। তার এই ভয়ধরা মুখ দেখে বুড়ো মেনাজ মাঝি হাসে। বৈঠা হালকা মেরে বলে, আপনের বাড়ি কনে?
–ফরিদপুর।
আমার বড়মামা জীবনে একটি কবিতা লিখতে চেয়েছিলেন। লিখেওছিলেন। মাত্র দুটো লাইন—
ওগো গন্ধ বিধুর ধূপ
তুমি কেন আজি চুপ।।
লিখে দেখাতে চেয়েছিলেন বাংলার রাসমোহন সাহাকে। সাহা স্যার থাততেন সোলায়ম্যান ম্যানসনে। আমাদের ছোটো নদীটির পাড়ে।
আমার ছোটো মেয়ে প্রজ্ঞা পারমিতাকে একটানা এগার বার বছর গল্প বলছি। বলতে বলতে আমার স্টক শেষ। এখন যেটাই বলি--সেটা ও আগেই শুনে ফেলেছে। এত নতুন গল্প বলি কি করে?
কাল রাতে আবার বলতে হল আরেকটা পুরনো গল্পই।
পান্তা বুড়ির গপ্প
--------------
বুড়ি রোজ হাড়িতে পান্তা করে রাখে। পরদিন খায়। কিন্তু এক চোর এসে পান্তাগুলো চুরি করে নিয়ে যায়। গল্পটা এখান থেকে।
বুড়ি বলল, এখন কি করি?
জানি এ লেখাটি কেহই পড়িবেন না। পড়িলেও কেহ পুছিবেন না। তাহাতে কাহার কি? এ লেখক বড়ো ঘড়েল লেখক। ছাতামাতা লেখেন। ছাতিলাঠিবন্দুক--ইহাতে নাই সন্দুক। ইহাতেই আনন্দ। আসেন ডুগডুগি বাজাই। সিম সিম খুল যা--
প্রথম পর্ব : ইহা আমার ভাগ্নে কবি মুহিত হাসান দিগন্তের জন্য লিখিত
লক্ষ্মীপুরের মেয়র আবু তাহের ছাত্রজীবন থেকেই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। জন্মের আগে থেকে এই রাজনীতিতে যোগদানের সুযোগ থাকলে তিনি সুযোগ মিস করতেন না। কিন্তু তার ছেলে এএইচএম বিপ্লবের কেসটি আলাদা। জন্মের আগে থেকেই সে আওয়ামী লীগ করছে। তার রাজনৈতিক ত্যাগ তিতিক্ষা নিয়ে কোনো প্রশ্ন নাই তার বাবার। আবু তাহের একজন গর্বিত বাবা।
আমাগো সইন্দাকালে পাইত্যাল ডাকত। তাগো ন্যাজ বটা না। খাড়া খাড়া। মাজে মাজে জুনি জ্বলত। সেজন্যি বাতি না আঙ্গালেও চলত। আর কুড়আ পুষলি মাফে ধরত।
বাপা মাফ--এই কইরাইতো খাতি নাতি বেলা গেল---শুতি পারলাম না। তরে ধরি কুন সুমায়! তরে মাফ কইরা দিছি।
কুলদা রায়
এমএমআর জালাল
নিউ এজ পত্রিকার সম্পাদক নূরুল কবীর গত ২৫ বৈশাখ এনটিভিতে অভিযোগ করে বলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা করেছিলেন। নূরুল কবীর বাংলাদেশের অকুতোভয় সাংবাদিক কাম সম্পাদক। সুতরাং তিনি যখন কোনো তথ্য বলেন—দায় দায়িত্ব নিয়েই বলেন। খোঁজ খবর নিয়েই বলেন। রামাশ্যামাযদুমধুদের মত যা মুখে এলো তা বলবেন একজন সম্পাদক এটা মানতে কষ্ট হয়। কিন্তু তিনি এই তথ্যটি কোথায় পেয়েছেন—সে বিষয়ে মুখ খোলেননি। কিন্তু তথ্যটি রবীন্দ্রনাথ বিষয়ে। রবীন্দ্রনাথ কোনো এলেবেলে লোক নন। তাঁর ১৫০ তম জন্মবার্ষিকী চলছে। তিনি উনসত্তর বছর আগে মারা গেছেন। তাঁর আত্মপক্ষ সমর্থন করার কোনো সুযোগ নেই। কিন্তু তাঁর জীবনের সকল তথ্যই সংরক্ষিত আছে। খুঁজলে পাওয়া যায়।