একটু বেলা করে ঘুম ভাঙ্গে শিশিরের। সে যতক্ষণে ঘুম থেকে ওঠে তার অনেক আগেই দৈনিক পত্রিকাটা দরজার নিচ দিয়ে বাসায় ঢুকে যায়। পেপারটা হাতে নিয়ে একটু পাতাগুলো ওলটায় শিশির। পেপার পড়তে তাঁর ভাল লাগে না। শুধু দুঃখের সংবাদ। তাঁর পরেও একটু চোখ বুলায়। হঠাৎ পেপারের একটা অংশে চোখ আটকে যায়। আর সাথে সাথে তার মনটাও বেশ ভাল হয়ে যায়।
[justify]গল্পের সারাংশ হল যে ছেলেটা মেয়েটাকে অন্ধভাবে ভালবাসবে এবং মেয়েটা ছেলেটাকে পাত্তাও দেবে না। তারপর ছেলেটা বিভোর হতেই থাকবে এবং মেয়েটা বিভোর হওয়ার সমানুপাতে বিরক্ত হতে থাকবে। এই একই কথা বলা হবে এই গল্পে, বিভিন্নভাবে, ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে। সারাংশ বলে দিলাম, মূল গল্পে ঢুকি।
[justify]আজকে আমাদের ব্যাচের পুনর্মিলনী। কত যে পুরাতন মুখের সাথে দেখা হোল। আমাদের কেউই মনে হয় কারো চোখে বদলাইনি। যার সাথেই দেখা হচ্ছিল মনে হচ্ছিল, এইতো বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের শেষ দিনের ছবির সেই মুখ। কারও একটু দাঁড়িগোঁফ উঠেছে বেশি, কারও মুখে একটু ভারিক্কি এসেছে, কেউ বা আবার আমার মত বিয়ে করে পুরোদস্তুর সংসারী মানুষের দলে নাম লিখিয়েছে। কিন্তু ওসব তো বাইরের পরিবর্তন। আরে কেমন আছিস?
[justify]আজ এক নিতান্তই ব্যর্থ মানুষের গল্প বলব। না ভুল বললাম, ব্যর্থতা তো আমাদের সবারই আছে, এ বরং এমন একজনের কথা, যে আমাদের চারপাশের সবজন থেকে কিছুটা আলাদা। এই একজন রহিম-করিম-আব্দুল-জব্বার-রাম-শ্যাম-যদু-মধু যে কেউ হতে পারে। হতে পারে আজকে সিএনজি পাওয়ার সময় যে লোকটাকে দৌড়ে পিছে ফেলে আপনি প্রথম হয়েছেন সেই লোক, বা সেই লোক যে কিনা আজকে আপনার চোখের সামনে বাসে খকখক করে কাশছিল অথবা সেই লোক যে কিনা বা
রুমি আর সুবর্ণার সম্পর্কটা ভালো ছিল, বেশ পোক্ত। ওদের দুজনের বন্ধুমহলের কেউই ভাবেনি সম্পর্কের শেষটা এভাবে ঘটবে। কিন্তু কত কিছুই তো আমরা ভাবি না, কিন্তু এমনি এমনি ঘটে। তাই ওদের গল্পটাও মিলনাত্মক হোল না।
নতুন কেনা লেক্সাসের নরম চামড়ায় হেলান দিয়ে মুচকি হাসির সাথে একটা তৃপ্তির শ্বাস ছাড়ে নুমায়ের মাহমেদ। সুমি আনাদিল খান, না! হট বেইব, হট নেইম! মাগী দামী গাড়ি আর দামী রেস্টোরান্ট পছন্দ করে,গতির পেছনে ছোটে। সেই গতি নুমায়ের দিতে পারে এখন, কিন্তু আনাদিলের জন্য আর কতটাই বা বরাদ্দ রাখা যায় তার মহামূল্যবান সময়ের? সাময়িক বিনোদন, ছুঁড়ে ফেলে দাও একটু পরেই, এমন কত খানম-চৌধুরানী পেছন পেছন ঘুরবে!