[justify]ফুলের রং পাল্টে দেবার আগে আমার ছোট মামার কথা বলে নেই। আমার দেখা প্রথম বিজ্ঞানী হচ্ছেন আমার ছোট মামা। তার কাছ থেকেই শিখেছি কি করে ফুলের রং পাল্টে দিতে হয়। প্রাইমারি স্কুলে পড়ার সময় আমার ছিলাম সেই বিজ্ঞানী মামার সার্বক্ষণিক এসিস্ট্যান্ট। সে সুবাদে তার কাছ থেকে শিখেছি হলুদ আর সাদা মেশানো ছিটছিট রঙের পাতাবাহার গাছের ডাল কেটে স্বচ্ছ কাঁচের বোতলে পানি ভরে রেখে দিলে কিভাবে শিকড় গজায়। আরও শি
আরিকা আমার হবু বউ। একটু আগে সে আমার কোন কথায় কষ্ট পেয়ে আমার কাছ থেকে কয়েকদিনের ব্রেক চেয়ে নিয়েছে। ব্রেক শব্দটা শুনেই আমি এত ভয় পেয়েছি যে সাথে সাথে চ্যাটাং রেখে উঠে গিয়ে আসরের নামাজ পরে ফেলছি। নামাজ পরে প্রার্থনা করলাম যাতে আরিকার মনটা শান্ত হয়। আমিও যেন ও কষ্ট পায় এমন কথা না বলি। আমার রূঢ় কথার পিছনের ভালোবাসাটা যেন ও টের পায়। আমাকে ছেড়ে যেন না যায়।
মাঝখানে নিষ্ঠুর জীবনের উথাল পাথাল নানান টানাপোড়নে ধারাবাহিক এই লেখায় লম্বা একটা বিরতি পরে গেলো। তাই হয়তো কিছুটা খেই হারিয়ে ফেলেছি। সে যাই হোক, আগের পর্বে ‘চলবে’ লিখে ফেলেছি বলে কথা। এখন না লিখলে পরে মুখ দেখানো বন্ধ হয়ে যাবে।
ম্যাপ দেখে দিক ঠিক করে বিরতিহীন ক্লান্ত পায়ে এগিয়ে যাচ্ছি আইফেল টাওয়ারের দিকে। পৃথিবীর সবচাইতে বেশি পরিচিত স্থাপনা। কিছুদূর হাটবার পর দূর থেকেই চোখে পড়ল প্যারিসের আকাশে উদ্ধত এই ধাতব স্তম্ভ। এলোমেলো হেটে সঠিক রাস্তা রেখে আমরা পার্কের ভেতর দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিলাম। এক সময় পৌঁছলাম যখন সন্ধ্যা হবে হবে করছে। চাইলে লিফটে করে টাওয়ারের চুড়ায় যাওয়া যায়। তার জন্য বড়সড় একটি লাইন ধরতে হয় এবং কিছু ইউরো খরচা করতে হয়। অবশ্য অনলাইনে আগেই টিকেট কেটে আসলে লাইনে দাঁড়ানোর ঝামেলা থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব।
'স্বদেশকে চেনে বলেই ওরা বিশ্বকে চিনতে পারে।' কারা? - এই প্রশ্নের উত্তর আমি জানি।
উত্তর: ফরাসিরা।