আড়মোড়া ভাঙা পাহাড়ের কোলে কেবল মিঠে রোদ এসে পড়েছে। না গরম, না ঠাণ্ডা-এমন একটা সকালে শিশির ঝরা ঘাষ মাড়াতে শহরের বুকে ত্রস্ত পায়ে হেঁটে যাওয়া প্রাতঃরাশকারীদের ঢল নামে। পাহাড়ে সেসবের বালাই নেই। কেমন একটা রিল্যাক্স ভাব চারদিকে। ধীরস্থির সবাই যেন বলছে, এত তাড়া কীসের বাছা, একটু জিরো।
আগের পর্বঃ হিমালয়ের কোলে- ল্যাংটাং ভ্যালি ট্রেক-১
ব্যাম্বুতে রাত্রিযাপন-
ল্যাংটাং ভ্যালি নেপাল তিব্বত সীমান্তে জনপ্রিয় ট্রেকিং রুট। এ পথে রয়েছে বেশ কটি চমৎকার ট্রেকিং ডেষ্টিনেশন, যেমন ৩৫০০ মিটার উচ্চতায় ল্যাংটাং ভিলেজ, প্রায় ৪০০০ মিটার উচ্চতায় চারিদিকে বরফের রাজ্য নিয়ে চমৎকার পাহাড়ি বসতি কিয়ানজিন গোম্পা, আছে গোসাইকুন্ড নামে্র হাই আলটিচ্যুড লেক। এছাড়াও আছে জনপ্রিয় ট্রেকিং পিক কিয়ানজিন রি, সেরগো রি, ইয়ালা পিক সহ বেশ কিছু ট্রেকিং পিক যেখানে কোন রকম টেকনিক্যাল ক্লাইম্বিং ছ
আগের পর্ব সমুহ
অন্নপুর্না বেসক্যাম্প ট্রেক-১
অন্নপুর্না বেসক্যাম্প ট্রেক-2
দোবান টু ফিশটেইল বেসক্যাম্প:
আগের পর্বঃ অন্নপুর্না বেস ক্যাম্প ট্রেক-১
(বিশেষ সতর্কীকরনঃ এটি বর্ননা সহ অসঃখ্য ছবিযুক্ত বৃহত পোষ্ট। নিজ দায়িত্বে পড়বেন আর বোর হবেন- অচিন পাখি)
মাস দুয়েক আগে ট্রেকিং করতে গিয়েছিলাম রেমা-কালেঙ্গা বন্যপ্রানী অভয়ারন্যে দুই সঙ্গী সহ। অফিসের এক ঘেয়েমি কাজ আর জ্যামে অতিষ্ঠ হয়ে ঢাকার বাইরে যাবার জন্য প্রানটা ত্রাহি ত্রাহি করছিলো। চট জলদি যাওয়া যায় এমন একটি জায়গা খুজতে গিয়ে হঠাৎ মাথায় এলো এ জায়গাটির কথা। বছর দশেক আগে বেশ ক’বার যেতে হয়েছিলো একাডেমিক প্রয়োজনে, জীব-বৈচিত্রের উপর একটি গবেষনা কাজের জন্য। যারা জাঙ্গল ট্রেকিং আর ওয়াইল্ড লাইফ পছন্দ করেন
শেষ ট্রেকিং এ গিয়েছিলাম বছর দুয়েক আগে, সান্দাকফু, নেপাল-ইন্ডিয়ার বর্ডারে, পশ্চিম বঙ্গের সর্বোচ্চ চূড়া। সচলে লেখাও দিয়েছিলাম দু পর্ব। কিন্তু আলসেমি আর মেরুদন্ডের স্পন্ডালাইসিস রোগে আর লেখা হয়ে উঠেনি। এর পর বেশ কবারই হিমালয়ে যাওয়া হয়েছে কিন্তু ট্রেকিং করে নয়, পরিবার নিয়ে সাইট সিয়িং ধরনের। নিরাপদ দুরত্বে দাঁড়িয়ে পর্বতের দিকে তাকিয়ে আহা উহু করা। তাই অনেকদিন ধরেই প্ল্যান করছিলাম আরেকটি ট্রেকিংয়ের। ইচ্ছ
সারারাত আধো ঘুম, আধো জাগরন আর কানে ক্রিস রিয়া, অ্যাল ষ্টুয়ার্ট, পিঙ্ক ফ্লয়েডের মধুর গুঞ্জনের পর বুড়িমারি সীমান্তে যখন পৌছলাম তখন ভোর হয়ে গেছে। বাস দাড়ালো শ্যামলী কাউন্টারে। কন্ডাক্টর অবশ্য তার আগেই সবার কাছ থেকে পাসপোর্ট সংগ্রহ করে রেখেছে। ট্রাভেল ট্যাক্স আর কাষ্টমস্ ক্লিয়ারেন্স পরিবহন হিসাবে সিস্টেম করা আছে, টাকা দেয়া ছাড়া যাত্রীদের আর কোন ঝামেলা পোহাতে হয়না। বাক্স পেটরাও ওপারে অপেক্ষারত বাসে পৌছে দেয়া বাস কতৃপক্ষের দায়িত্ব। পোর্টারকে বখশিস হিসাবে কিছু দেয়া অপশনাল। শ্যামলীর এই ব্যাপারটা নির্ভার করে সবসময়ই। সারারাত জার্নি করে ভোর বেলা এতসব লাগেজের দিকে খেয়াল রাখা আসলেই মুশকিল। আমার আবার হারানোর বাতিক আছে, কোন ট্যুর কিছু না হারিয়ে শেষ করতে পারিনা।