অন্যান্য আরো অনেকেরই মতো জীবনানন্দকে ঠিকমত বুঝে উঠবার আগেই ‘বনলতা সেন’-এর সাথে আমার পরিচয়। সেই পরিচয়ে তারুণ্যের মুগ্ধতাই ছিল বেশী। সে বয়সের মুগ্ধতার একটা আলাদা চরিত্র আছে। সেই চরিত্রগুণে সহজেই ‘বনলতা সেন’ ‘জীবনানন্দ’কে ছাপিয়ে যান। আমার প্রথম সেই পাঠ ছিল নিতান্তই অর্বাচীন পাঠকের পাঠ। তাই কবিতাটির প্রথম চরণেই খটকা লেগেছিল। ‘হাঁটিতেছি’, একি বিশ্রী গুরুচণ্ডালী। পাড়াগাঁর কবি, হয়তো
আমার বয়স হয়েছে। একটা বয়স ছিলো, সেই বয়সটার চরিত্রই হয়তো বন্য ষাঁড়ের মতো। ক্ষেপে ফুঁসে উঠার গুণে অমিত তেজোদৃপ্ত। সে বয়স আমারও ছিল, এখন নেই। রক্তে তেজ নেই, গতিতে জড়তা থিতু হবার অপেক্ষায়। এখন অসঙ্গতি দেখলে প্রতিবাদী হই না, ব্যথা পাই। যা কিছু অশোভন মনে হয় নিজের কাছে, তা আর আমাকে ক্ষুব্ধ করে না, আহত কিম্বা বেদনার্ত করে।