Warning: Creating default object from empty value in i18ntaxonomy_term_page() (line 34 of /var/www/sachalayatan/s6/sites/all/modules/i18n/i18ntaxonomy/i18ntaxonomy.pages.inc).

বুদ্ধিজিগোলো

চতুর্থ স্তম্ভ

হিমু এর ছবি
লিখেছেন হিমু (তারিখ: বিষ্যুদ, ২১/০৪/২০১১ - ৯:৫১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]

গেরিলা, হেহ! হাফমিদুল হাসে মিটিমিটি।

কাজটা মার্চ মাসে যতটা কঠিন ছিলো, এপ্রিলে এসে ততটাই সহজ হয়ে গেছে। কত সব ঘটনা ঘটে চলছে চারপাশে, মানুষের ছোট্ট স্মৃতি কতটুকু আর আগলে রাখতে পারে? যতই দিন যাচ্ছে, আসল কথা ভুলে যাচ্ছে লোকে। এখন প্রোপাগাণ্ডা মেশিনে স্টার্ট দিতে হবে, মনে মনে ভাবে হাফমিদুল হক। মেহেরযৌবন নিষিদ্ধ কেন কর্তৃপক্ষ জবাব চাই!


পুনর্মাশুকভব

হিমু এর ছবি
লিখেছেন হিমু (তারিখ: শুক্র, ০৪/০২/২০১১ - ৪:৫৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

"ঐ যে পাখি! বকপাখি!" উৎফুল্ল স্বরে বলে ফাকমিদুল হক।

রমণ সুমহান বেজায় বিরক্ত হন। ফাকমিদুলকে ইদানীং আর সহ্য হচ্ছে না তার। নির্বোধ লোকের সঙ্গ তিনি অপছন্দ করেন না, কিন্তু সেই নির্বোধ যদি তার প্রাপ্য থেকে তাকে বঞ্চিত করে, তার ওপর চটবার বৈধ কারণ তৈরি হয় বই কি। ফাকমিদুলকে পশ্চাদ্দেশে একটা লাথি মেরে মাইক্রোবাস থেকে নামিয়ে দিতে ইচ্ছা করে তার, কিন্তু জীবনের সায়াহ্নে এসে তিনি বুঝতে শিখেছেন, ক্রোধ তার মহত্তম অবস্থানে পৌঁছায় সংবৃত হয়ে। তিনি মনের একটি কুঠুরি খুলে একটা চেরাগ বার করেন, তারপর রাগের দৈত্যটাকে পুরে ফেলেন তার ভেতর। ফাকমিদুলের পশ্চাদ্দেশে কোনো কিছুই এখন করতে যাওয়া সমীচীন হবে না। এখন মিত্রতার সময়।

কিন্তু ফাকমিদুল কাজটা কঠিন করে তোলে মুহুর্মুহু! "ঐ যে আরেকটা পাখি! কাকপাখি!"


চটাশ করে থাবড়া

হিমু এর ছবি
লিখেছেন হিমু (তারিখ: রবি, ৩০/০১/২০১১ - ৮:৫২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]

এই ব্রিসবেনেও তামিল গুণ্ডাদের অত্যাচার!


বাঘাদা, হীরা কত নিলে শুনি?

হিমু এর ছবি
লিখেছেন হিমু (তারিখ: শুক্র, ২৮/০১/২০১১ - ৫:১০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]

বুদ্ধিজিগোলো কথাটা ব্যবহার করার সমস্যা হচ্ছে, ট্যাটনারা এসে ত্যানা প্যাঁচাবে। জিগোলো হওয়া কি খারাপ? নিজের শরীরের বিনিময়ে কাউকে যৌন আনন্দ দেয়া কি খারাপ? কিংবা আমি কি জিগোলোদের ডাইনিশিকার করতে চাই? এর আগে একবার কতিপয় আত্মবিস্মৃত ব্যক্তিকে সাহিত্যবেশ্যা বলায় কিছু ট্যাটনা এসে বেশ্যাদের দুঃখে কেঁদে মাটিতে গড়াগড়ি শুরু করেছিলো। হায় হায়, বেশ্যাদের গালি দেয়া হচ্ছে। সমাস বলে যে একটি ব্যাপার রয়েছে, সেই ব্যাপারটি তারা স্বীকার করতে নারাজ। মৃগ আর শাখামৃগ কদাপি এক নয়, যেমন নয় বেশ্যা আর সাহিত্যবেশ্যা, জিগোলো আর বুদ্ধিজিগোলো। বেশ্যা বা জিগোলোদের প্রতি আমার বাড়তি কোনো অনুরাগ বা বিরাগ নেই, যেমন নেই অ্যালুমিনিয়াম কারখানার ঢালাই মিস্ত্রি কিংবা রেস্তোরাঁর বাবুর্চিদের প্রতি। তবে সাহিত্যবেশ্যাদের ভালো পাই না। আরো খারাপ পাই বুদ্ধিজিগোলোদের।


হস্তীমূর্খ

হিমু এর ছবি
লিখেছেন হিমু (তারিখ: শনি, ১১/০৯/২০১০ - ৬:১১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সার্কাসের তাঁবু অনেক দূরে। রোদে আর মেঘে মাখামাখি দিনটায় হাতিটা এতখানি পথ হেঁটে এসে একটু তৃষ্ণার্ত হয়ে পড়ে, শুঁড়টা আকাশে তুলে বাতাসের ঘ্রাণ নেয় সে। মাহুত জানে, হাতি জলের গন্ধ পায় বহু দূর থেকে। কুঁচকির নিচে হাতিটার পিঠের পেশীর নড়াচড়া টের পায় সে, সেই চাঞ্চল্যে উত্তরে গলা খাঁকারি দেয় তার ডাঙস।


সাহিত্যআমজাদ

হিমু এর ছবি
লিখেছেন হিমু (তারিখ: সোম, ১২/০৪/২০১০ - ৯:০৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]

আমজাদ আলি উসখুস করছে দেখে ভালো লাগে তাঁর। করুক, আরো উসখুস করুক।

আমজাদ আলি গলা খাঁকারি দিয়ে তাকায় বাম পাশের এক চিলতে বারান্দার দিকে। সেখানে স্তুপ করে রাখা আছে নানা ফলমূল, পা-বাঁধা দু'টি রাজহাঁস, একটি চটের ব্যাগে দু'টি প্রকাণ্ড চিতল মাছ। আমজাদের খাদেম চিকন আলি বসে আছে বারান্দায়, উপহারসামগ্রীর পাশে, এদিকে পিঠ দিয়ে। তার মাথার ওপর কুণ্ডলী পাকিয়ে ওপরে উঠছে ধোঁয়া।