Warning: Creating default object from empty value in i18ntaxonomy_term_page() (line 34 of /var/www/sachalayatan/s6/sites/all/modules/i18n/i18ntaxonomy/i18ntaxonomy.pages.inc).

মার্কিন মুল্লুকে

মার্কিন মুল্লুকে-৮: প্রক্ষালনকক্ষ

তাসনীম এর ছবি
লিখেছেন তাসনীম (তারিখ: শুক্র, ৩০/০৩/২০১২ - ১০:৩১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]

বাথরুমকে যে বাংলায় প্রক্ষালনকক্ষ বলে সেটা আমি আমেরিকায় না আসলে জানতে পারতাম না। একটু চিন্তায় পড়ে গেলেন কি? দাঁড়ান খুলে বলি। সারাজীবন ধরে মানুষকে এয়ারপোর্টে বিদায় জানাতে এসেছি - লোকজন চোখ-টোখ মুছে ভেতরে ঢুকে যাওয়ার পরে আমিও বাসে করে ফার্মগেটে ফিরে গেছি। এয়ারপোর্টের ভেতরে জীবনেও ঢুকতে হয় নি। প্লেন ছাড়াও ওতে আর কি কি আছে সেটা জানা ছিল না। প্রথমবার ঢোকা হলো আমেরিকাতে আসার উছিলায়। এতোদিন পর্যন্ত আমেরিকা গমন নাটকের অবসান হতো এয়ারপোর্টের সামনে থেকে - এই প্রথম নিজে নায়কের চরিত্র পাওয়াতে ভেতরের ব্যাপারগুলোর খুঁটিনাটি সব চোখে পড়ল।


মার্কিন মুল্লুকে-৭: ভাষা

তাসনীম এর ছবি
লিখেছেন তাসনীম (তারিখ: মঙ্গল, ২৭/০৯/২০১১ - ১:২৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]
আমাদের ছোটবেলাতে হিন্দি ভাষার অত্যাচার এতো প্রবল ছিল না। ডিশ বলতে মানুষজন থালাবাটিই বুঝতো, ওটা দিয়ে খাবার আসতো - খবর নয়। টিভির অনুষ্ঠান ধরা পড়ত ছাদের এন্টেনাতে, কেবল দিয়ে কেবল বিদুৎতের চলাফেরা ছিল। আমাদের একমাত্র চ্যানেল বিটিভি যেই অনুষ্ঠান গেলাতো আমরা বিনাবাক্যব্যয়ে সেটাই গিলতাম এবং সেটা নিয়েই আলোচনা করতাম। এই কারনেই স্কুলের বন্ধু-বান্ধবরা সব্বাই একই ওয়েভলেংথেই কথাবার্তা বলতো। হিন্দি ছবি দেখার একমাত্র উপায় ছিল ভিসিআর – সেই মহার্ঘ্য বস্তু আমাদের চেনাশোনা খুব বেশি লোকের ছিল না।


মার্কিন মুল্লুকে-৬: ঘাতক ট্রাক

তাসনীম এর ছবি
লিখেছেন তাসনীম (তারিখ: শুক্র, ২৯/০৭/২০১১ - ৪:৩৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমাদের ছোটবেলাতে ঢাকার রাস্তাঘাটে ছিল ট্রাকের দাপট। সময়ে অসময়ে রাস্তায় প্রবল বেগে চলত রাগী রাগী চেহারার সব ট্রাক। ওদের ডিজেল ট্যাংকে লেখা থাকতো জন্ম থেকে জ্বলছি আর পেছনে থাকতো মায়ের দোয়া। ট্র্যাফিক আইন থেকে পদার্থবিদ্যার আইন সবাইকেই অমান্য করত ওরা। চলার পথে রিকশা, গাড়িসহ আর যা যা ছোটখাটো যানবাহন ছিল তাদের সবাইকেই তুচ্ছজ্ঞান করত মহামান্য ট্রাক। শোনা যায় আশির দশকের কোনো এক মাঝরাতে নাকি স্বৈরাচারের পশ্চাৎদেশে (মানে ওই ব্যাটার গাড়ির আর কি) আঘাত হানতে বসেছিল এই মহাশক্তিধর প্রাণীটা। নিউজ মিডিয়াতে ট্রাককে বলা হতো ঘাতক ট্রাক। আমরা নাদান জনগন রাস্তায় নামলেই চোখ-কান খোলা রাখতাম, কখন কোত্থেকে উড়ে এসে প্রাণপাখির ডানা খামচে দেবে সে।


মার্কিন মুল্লুকে-৫: মার্কেটপ্লেস

তাসনীম এর ছবি
লিখেছেন তাসনীম (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৯/০৬/২০১১ - ৮:২৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]


মার্কিন মুল্লুকে-৪: সম্পর্ক

তাসনীম এর ছবি
লিখেছেন তাসনীম (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৮/০৪/২০১১ - ১:৪৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]


মার্কিন মুল্লুকে-৩: মৌলবাদ

তাসনীম এর ছবি
লিখেছেন তাসনীম (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৩/০২/২০১১ - ১০:৪৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]মৌলবাদের সাথে প্রথম মোলাকাত কবে সেটা বলা দুষ্কর। আমাদের দেশে যারা বড় হয়ে উঠেছেন তাদের সদূর শৈশবে হওয়ার সম্ভবনাই বেশি। ক্লাস টুতে পড়ার সময়ে কে একজন বলেছিল লাল পিঁপড়াগুলো নাকি কাফের, আর কালোগুলো মুসলমান। কালো পিঁপড়াগুলো তাই কামড়ায় না!


মার্কিন মুল্লুকে-২: ড্রিম জব

তাসনীম এর ছবি
লিখেছেন তাসনীম (তারিখ: মঙ্গল, ১১/০১/২০১১ - ১১:২২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]"ড্রিম জব” বলে একটা কথা আছে। এটা আমার জন্য প্রযোজ্য নয়। আমি স্বপ্নে কোনোদিন কাজ করি না। বরং স্বপ্নে দেখি যে আমি উঁচু এক পাহাড়ের চূড়ায় বসে আছি। সেখানে মেঘ এসে আছড়ে পড়ে। কাছেই আছে স্টারবাকস কফির দোকান, সিগারেটের একটা প্যাকেটও আগে ছিল কিন্তু ঐ নেশা ছাড়ার পরে স্বপ্ন থেকে ওটাকে পরিত্যক্ত করেছি। অল্পসল্প রঙ্গিন পানি থাকলেও মন্দ না, এছাড়া নেটফ্লিক্স মুভি, চিকেন বিরিয়ানী, ডালপুরি, চটপটি, শিক কাবাব, ঝালমুড়ি - এই সামান্যতেই আমি খুশি। কিন্তু স্বপ্নে কাজ করার কথা আমি স্বপ্নেও ভাবি নি!


মার্কিন মুল্লুকে-১: খামসিন খামসা খামসি

তাসনীম এর ছবি
লিখেছেন তাসনীম (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৯/০৭/২০১০ - ১:১৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]মার্কিন মুল্লুকে বাস করে উল্লুকে। এই দামি কথাটা মনে হয় বলেছিলেন সৈয়দ মুজতবা আলী। দেখতে দেখতে এই দেশে জীবনের তিন ভাগের একভাগ কাটিয়ে দিয়েছি, মনে হয় নিজেও আস্তে আস্তে ওই উল্লুকের স্তরেই পৌঁছে যাচ্ছি। মনে হলো এই জীবনটা নিয়েও কিছু লেখা উচিত। শৈশব নিয়ে লিখছি, বাচ্চা-কাচ্চা পালা নিয়ে লিখছি, আর আমেরিকা নিয়ে লিখবো না? সে কেমন কথা? আমি অল্প কথায় কিছু সারতে পারি না, আর আমার জীবনটাও মাশাল্লাহ মেগাসিরিয়ালের মতই বোরিং, খালি চলছে তো চলছেই। ভাবলাম যে আমি শুধু একাই বোরড হই কেন?