চেষ্টা-চরিত্র করে আরো কয়েকটা লিখলাম।
২৫। “ব্যথা লাগছে?’ “নাহ”। “তাহলে চলুক।“ “আচ্ছা।“
২৬। নিস্ফলা জমিতে চাষ। দোষ হয় কপালের।
২৭। সারাক্ষণ টিভি কমপিউটরে থাকি। রাইটার্স ব্লক।
২৮। এক শব্দে গল্প? তাও হয়। “না”।
২৯। মেয়েটিকে দেখে কিশোরটি যুবক হয়ে ওঠে।
৩০। পূর্নিমা দেখবো। আলো নেভাও। মুখটা তোল।
৩১। খিদে লেগেছে। হালাল-হারাম কাল দেখবো।
৩২। রিকশাতে চড়ে ভিক্ষুকটি ভাবে, আমিই নবাব।
আবারো জোর করে লিখলাম কয়েকটা। এর কয়টা গল্প হলো আর কয়টা শ্লোগান, কে জানে?
১৩। ভাঙ্গা দালান। পূর্ণিমা । অশরীরিরা আমাদের দেখছে।
১৪। ঘুমে যাকে ছুঁই, জাগরণে তাকে পাইনা।
১৫। সাগরে মুক্তো থাকে। মুক্তোতে অশ্রুর সাগর।
১৬। আকাশের ঝড় ঘর ভাঙ্গে, ঘরের ঝড় ----?
১৭। টাকার র্যাপিংএ ভালবাসার খুঁত ঢাকা পড়ে।
১৮। গরুটা ভালবাসা চেয়েছিল। স্টেইকটাকে যত্নে চিবুই।
১৯। বন্ধুটি বলেছিল, ‘কাল আসিস’। মাথা খারাপ!
সচল শুভশীষদা'র লেখা ছয় শব্দের গল্প পড়ে হেমিংওয়ের বিখ্যাত ছয় শব্দের গল্পের(For sale: baby shoes, never worn) সাথে পরিচিত হই। সেই সাথে গল্পের এই ধারা মাথায় গেঁথে যায়। ফেসবুক যুগে যখন সাম্প্রতিক ঘটনা কিছু ঘটলেই মাথায় ফেসবুক স্ট্যাটাসের মকশো করতাম, সেটা কিঞ্চিৎ পরিবর্তিত হয়ে মাথায় ঘুরতে থাকে ছয় শব্দের বাক্যগুলো। সেরকমই কয়েকটা নিয়ে ষড়ল গল্প লেখার এই প্রথম চেষ্টা। নামকরণ ষড়ল গল্পটাও শুভাশীষদা'রই করা।