সবার মত আমিও যখন ছোট ছিলাম, তখন বিদেশে পড়ালেখার স্বপ্ন দেখতাম। তারপর যখন এক সাইজ বড় হলাম, তখন বিদেশে পড়ালেখার পাশাপাশি আরো বেশি বেশি বিদেশ ঘুরার স্বপ্ন দেখা শুরু করলাম। এইভাবে বহু ভাল স্বপ্ন আর দোষীস্বপ্ন দেখতে দেখতে একদিন উড়াল দিলাম হাড্ডিকাঁপানো ঠান্ডার দেশ কা...দা...*আকিং...নাডা’র দিকে। তারপর থেকে দিনে কয়েকবার করে আল্লাহ্র কাছে মাফ চাই, কেন তুমি আমারে এইখানে আনলা। আর আনলাই যখন একটা বিদেশ ঘুরার ব্যবস্থা কেন করনা। আমার দোয়ার যন্ত্রনায় অতিষ্ঠ হয়ে আল্লাহ্ ব্যবস্থা করে দিলেন। সে এক বিরাট ইতিহাস......ল্যাব এ ছিলনা কেরসি......
আমার মহাভালমানুষ সুপারভাইজার একদিন আইসা কইল, “হে আমার ছাত্রদ্বয়, এইবারের ঐতিহাসিক কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হবে স্পেন নামক দেশে। আমি তোমাদের দুইজনের যে কোন একজনকে স্পন্সর করব।“ অ্যালেকজান্ডার স্মিথ (এ আমার ঐতিহাসিক ল্যাবমেট, এখন থেকে সে অ্যালেক্স নামে পরিচিত হবে) যেহেতু পিএইচডি গবেষক সেহেতু তার সম্ভাবনা বেশি, আর তুমি (আমার দিকে মধ্যাংগুলি প্রদর্শনপূর্বক) যদি আমারে তোমার ডাটাক্ষেত দেখতে পার তাহলে বিবেচনা করব। প্রসংত উল্লেক্ষ্য যে, আমার উস্তাদের আজীবন দুঃখ আমার ডাটাক্ষেত সে তখনও দেখতে পারে নাই। আমি তার সব ধরণের হুমকির মুখে অটল থেকে আমার চাষকৃত ডাটা যক্ষেরধনের মত (আমার ফাজিল বন্ধুবান্ধব আর নিন্দুকেরা বলত, “ওর ওগুলি তো ডাটা না, যেন যক্ষেরধোন’) আগলিয়ে রেখেছি। কিন্তু এইবার দেখলাম যে, আর রাখা যাচ্ছে না। অতি সত্বর ডাটা গুছিয়ে তারে দেখাইলাম। আমার ওস্তাদ যারপরনাই পুলকিত হয়ে বলল, “ আই এ্যাম প্রাউড অফ ইউ মাই সান, বাট, আমি তোমারে কনফারেন্স বাবত আংশিক স্পনসর করতে পারুম। তুমি দেখ ভার্সিটি থেকে কোন ফান্ডিং এর ব্যবস্থা আছে নাকি”।
আমি তখনও জানি না ভার্সিটি থেকে কনফারেন্স বাবত কিছু দেয় কিনা (এত কিছু জানার সময় কই!?)। আশেপাশের দুইচারজন পরিচিত জ্ঞানী ব্যক্তির সাথে কথা বলে জানতে পারলাম দরিদ্র গ্র্যাজুয়েট ছাত্রদের জন্য ডিপার্টমেন্ট, এফ.জি.এস.আর. (ফ্যাকাল্টি অফ গ্র্যাজুয়েট স্টাডিজ এন্ড রিসার্চ, যারা গ্র্যাজুয়েট স্টুডেন্টদের ভালমন্দের খোঁজখবর রাখে। দুষ্ট ছেলেরা অবশ্য এফ.জি.এস.আর-এর সংজ্ঞা দেয় এইভাবে "“দিস ইজ দ্যাট পারভার্ট পার্ট অফ দি ইউনিভার্সিটি অ্যাডমিনিস্ট্রেশন হুইচ ইজ *আকিং দি গ্র্যাড স্টুডেন্টস অন রেগুলার বেইসিস") এবং জি.এস.এ. (গ্র্যাড স্টুডেন্টস এ্যাসোসিয়েশন) কনফারেন্স বাবত কিছু টাকা দেয় যার সম্মিলিত পরিমান একদম খারাপ না। এই কথা আমার বসকে বলতেই উনি বললেন, “গ্রেইট, তুমি সবজায়গায় অ্যাপ্লিকেশন করে দাও”। এইবার ভিতরে থারমাল প্যাণ্ট পরে, লুঙ্গি মালকোঁচা মেরে শুরু করলাম অ্যাপ্লিকেশন। কনফারেন্সের তখনও বাকি ৫ মাস।
প্রথমেই ধরলাম আমার পাসপোর্ট। খুলে দেখলাম দুই মাসের মধ্যে কানা...দা...*আকিং... ডিয়ান ভিসা শেষ। তার মানে আমাকে ভিসা রিনিউ করতে হবে। ভেরি গুড, এইটা কোন ব্যাপার না বলে শুরু করলাম প্রস্তুতি। কিন্তু শুরুতেই বাধা। পাসপোর্টের মেয়াদ আছে আর চার মাস। এখন ভিসা চাইলে কানাডিয়ান ইমিগ্রেশন আমার একহাতে চার মাসের ভিসা আর অন্যহাতে হারিকেন ধরিয়ে দেবে। সো, প্রথমে পাসপোর্ট রিনিউ করতে হবে। এইটাও কোন ব্যাপার না বলে এক শুভ শুক্রবারে সব কাগজপত্র পাঠিয়ে দিলাম কানাডাস্থ বাংলাদেশ হাই-কমিশনে, বুকে দুরুদুরু আশা মাস খানেকের মধ্যে ফেরত পাব। কিন্তু না...আমার সব আশার আগুনে পানি ঢেলে চারদিনের মাথায় পরের বুধবার দিন আমি নবায়ণকৃত পাসপোর্ট ফেরত পেলাম। বুঝতে পারলাম বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে গেছে। এইবার কানাডিয়ান ভিসার পালা। আবার সব কাগজপত্র যোগাড় করে পাঠিয়ে দিলাম ডেট্রয়েটের পথে। প্রশ্ন করেন “"রিনিউ করবেন কানাডিয়ান ভিসা, আমেরিকায় কাগজ পাঠাইছেন কেন? উত্তর হইলঃ কানাডিয়ান ভিসা রিনিউ করতে হইলে কানাডার বাইরে কানাডিয়ান হাই-কমিশনে কাগজ পাঠানো লাগে”"। ইদানিং অবশ্য নিয়ম বদল করছে। এখন কানাডার ভিতরেই সব কাজ হয়। সে যাক, কাগজ পাঠিয়ে আমি মনে করলাম দুই-তিন সপ্তাহের ভিতরেই পেয়ে যাব। তাই মহাআনন্দে মোটা জ্যাকেট পড়ে, কান মাথা ঢেকে -২০/২৫° সেঃ তাপমাত্রায় ঘুরে বেড়াই। ইতোমধ্যে সাসকাচোয়ান নদী দিয়ে প্রচুর বরফ প্রবাহিত হয়েছে। সপ্তাহ ঘুরে মাস চলে গিয়েছে, আমার ভিসা আর পাসপোর্ট আমার কাছে ফিরে আসেনি। রাগে ক্ষোভে দুঃখে আমার তখন চুল ছিড়ার দশা। সময় আছে আর মাত্র আড়াই মাস। এরপর আবার ইউরোপিয়ান ভিসা’র জন্য আবেদন করতে হবে। এরি মাঝে আমি সম্ভাব্য সব জায়গায় "“টাকা চাহিয়া পত্র"” দিয়েছি। ডিপার্টমেন্ট এবং জি.এস.এ. জানিয়ে দিল তারা আমাকে টাকা দিবে। এফ.জি.এস.আর. জানতে চাইল আমি কনফারেন্সে যোগদান করলে দো-জাহানের অশেষ নেকীর পাশাপাশি কিভাবে দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি ও কল্যাণ হাসিল করব। আমি এক বিশাল উত্তর দিলাম। যার ভাবটুকু হচ্ছে "“আমারে যদি এই কনফারেন্স-এ যাইতাম দাও, তাইলে এই ভার্সিটি একটা ণূবেল পাইলেও পাইতারে, বাকিটা তোমরার বিবেচনা”"। তারা এই বিশাল সম্ভাবনা হেলায় না হারাইয়া আমাকে টাকা দিয়ে দিল। আমি ঢিংকা চিকা করতে করতে বস্-কে বললাম যে, সব জায়গা থেকে টাকা পাইছি, তবে তোমারেও দেওয়া লাগবে। বস মাথা নেড়ে সম্মতি জানাল।
এখন কনফারেন্স রেজিস্ট্রেশন। একদিন অ্যালেক্স বলল, আমাদের তো কনফারেন্স রেজিস্ট্রেশন করা দরকার, নাইলে তো স্টুডেন্ট ডিসকাউন্ট পাবনা। আমি বললাম, বেশ তো চল করি। রেজিস্ট্রেশন করতে গিয়ে দেখি তারা আবার অ্যাবসট্রাক্ট চায়। কী যন্ত্রণা, আবার এইটা কেন? কী আর করা, মহাবিরক্তির সাথে দশ মিনিটের মধ্যে অ্যাবস্ট্রাক্ট লিখে ফেললাম। কী যে লেখলাম আল্লামালুম। তারপর রেজিস্ট্রেশনও করে ফেললাম সুন্দর করে, বিনা ঝামেলায়। এইবার টাকা দিতে হবে, পরিমাণ আমার পুরো আধা মাসের বেতন। লুংগির কোনায় চোখ মুছতে মুছতে এবং বুকে পাথর বেঁধে তাও দিতে গেলাম, কিন্তু কি তামশা এই প্রথম কাওকে দেখলাম, টাকা দিতে চাইলেও নেয়না। অ্যালেক্সেরও একি দশা। তারপর দিলাম ক্রেডিট কার্ড অফিসে ফোন, ওরা বলল- আমার ইন্টারন্যাশ্নাল ট্রান্স্যাকশন বন্ধ আছে, খুল্লেই হবে। বললাম, তাইলে দেরি করতাছ কেন? খোল খোল দ্বার। ওরা খুলে দিল। আবার চেষ্টা করলাম, কিন্তু না, এইবারও হলোনা। কনফারেন্স কর্তৃপক্ষকে ইমেইল দিলাম সমস্যা জানিয়ে। তারা জানাল, এইটা আসলে ক্রেডিট কার্ড-এর সমস্যা না, এইটা যারা টাকাটা নিচ্ছে তাদের সমস্যা। তারা নর্থ-আমেরিকার কোন টাকাই অনলাইনে নিতে পারছেনা। এখন একটাই উপায় আছে, তাদের কাছে ক্রেডিট কার্ড-এর ইনফো পাঠালে তারা সেখান থেকে টাকা কেটে রাখবে, এবং এটা পাঠাতে হবে ফ্যাক্স এর মাধ্যমে। অ্যালেক্স তো ক্ষেপে বোম। কিছুক্ষণ পরপর *আক, *আক করতে লাগল। সে কিছুতেই ফ্যাক্সের মত ওপেন লাইনে তার ক্রেডিট কার্ড ইনফো পাঠাবে না। সব শুনে বস জানাল যে তার ও একই সমস্যা হয়েছিল, এবং এইভাবেই সে তার সমাধান করেছে। সবকিছু দেখে শুনে অ্যালেক্স শান্ত হল, আমরা ক্রেডিট কার্ড-এর ইনফো ফ্যাক্স করব সিদ্ধান্ত নিলাম। তবে ইনফো ফ্যাক্স করতে হবে স্প্যানিশ ভাষায়। ইংরেজী থাকলেও থাকতে পারে, কিন্তু স্প্যানিশ থাকতেই হবে। আবার যন্ত্রণা। ফ্রেঞ্চ জানে এমন পাব্লিক চিনি, কিন্তু স্প্যানিশ জানে এমন পাব্লিক কই পাই? পুরা ডিপার্টমেন্ট ঘুরলাম, একজনও পেলাম না। হঠাত অ্যালেক্স জানালো যে, তার বোনের বর্তমান বয়ফ্রেন্ড (তার বোনের ৪র্থ অথবা ৫ম, ঠিক মনে নেই এখন) খানিক স্প্যানিশ জানে। সে রাতে তার সাথে কথা বলে দেখবে যে সে ফরম ফিলাপ করতে পারবে কিনা? পরেরদিন অ্যালেক্স স্প্যানিশ অনুবাদকৃত ফরম নিয়ে আসল, আমরা অন্ধের হাতি দেখার মত ফরম ফিলাপ করে ফ্যাক্স করলাম। বিশ্বাস করেন টেনশনে সেই রাত্রে ঘুমাইতে পারি নাই। পরদিন ইমেইল পেলাম যে, তারা আমাদের কাগজ পেয়েছে এবং টাকা কেটেছে। আমরা যার যার ক্রেডিট কার্ড কোম্পানিতে ফোন করে জানলাম যে খৎনা যতটুকু করার দরকার ততটুকুই করা হয়েছে।
এই দিকে এতকিছু হয়ে গেল, কিন্তু আমার ভিসা এখনও এলনা। এরি মধ্যে শুরু হল কানাডা পোষ্ট-এর অনির্দিষ্টকালীন ধর্মঘট ও কর্মবিরতি। আমার তো পুরাই মাথায় হাত। ভিসা আসার সম্ভাবনা যাও ছিল, ধর্মঘট তার পুরাটারেই বোঙ্গা বোঙ্গা করে দিল। আমি প্রতিদিন বাসায় ফিরে মেইলবক্স খুলে দেখি, আর প্রতিদিনই হতাশ হই। ঐদিকে পায়ে পায়ে এগিয়া আসছে কনফারেন্সের সময়।
অনেক্ষন হইল...প্রিয় পাঠক, এতক্ষণ ধৈর্য ধরে পড়ার জন্য ধন্যবাদ। আমারও আঙ্গুল ব্যাথা করতেছে। যাই চা খেয়ে আসি......
গৃহবাসী বাঊল
নোটঃ বিশেষ ধন্যবাদ সচল ফাহিম হাসান এবং সচল জাহিদ ভাই। কোরবানীর হাট বসার অনেক আগে থেকেই তারা গুতাগুতি করছিল লেখার জন্য। এখন তারা আমাকে খাওয়াবে...... ক্যাকু......ক্যাকু।।
ইমেইলঃ
মন্তব্য
কেরোসির যোগান কেমনে হইলো জানার অপেক্খায়
কেরসির যোগান হইছিল শেষ পর্যন্ত, সেও এক বিরাট ইতিহাস, একদিন ঘরে ছিলনা কেরসি
আমাদের তৃতীয় বিশ্বের মানুষজনের জন্য বিদেশী কনফারেন্স একটা বিশাল হ্যাপা। এই তো সকাল ছটায় উঠেছি আজকে মার্কিন ভিসার ইন্টারভিউ দিতে যাব বলে। লেখা চলুক।
হ্যাপার কথা আর বইলেন না ভাই, তবুও কনফারেন্সের লোভ তো সাম্লাইতে পারি না। আপনার মার্কিন ভিসা জলদি হোক এই কামনা করি।
পড়ার ও মন্ত্যব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
বাঃ ভালো লাগছে !
আপনার ভালো লেগেছে শুনে আমারও ভালো লেগেছে।
পড়ার ও মন্ত্যব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
পড়তে বেশ আরাম পেলাম। মেইল এসে যাবে, টেনশান কইরেন না।
আপনার পোস্টের সাথে ইউরো ট্রিপ দেয়ার ইচ্ছা থাকল।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
এইটা আসলে গত বছরের ঘটনা। মেইল অবশেষে এসেছিল।
ইউরোট্রিপ দিবেন ভাল কথা, ভিসা আছে? না থাকলে তাড়াতাড়ি আবেদন করেন।
মন্তব্য করার জন্য
ট্রিপের জন্য আগাম শুভেচ্ছা
আপনার কমেন্ট পেয়ে ভাল লাগছে। ট্টিপ তো হয়ে গিয়েছে গত বছর। আলসেমির কারনে লেখা হয়ে হয় নি।
অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।
চমৎকার প্রকাশভঙ্গী আপনার। একটুও বাধেনি পড়তে গিয়ে। ইউরোট্রিপ চলুক। ভালো থাকবেন।
লেখার জন্য
অমি_বন্যা
অনেক অনেক অনেক অনেক অনেক অনেক
কানাডা আপনারে শিক্ষিত-তর করছে, ডাটা-ক্ষেত চিনাইছে, আর আপনি কিনা তারে গাইল পাড়লেন?
গাইল পাড়ছি পেয়ারছে । তয় ডাটা ক্ষেত যেই পরিমান কষ্ট দিছে, তাতে গাইল না পাড়লে অন্যায় হইত।
পড়ার ও মন্তব্য করার জন্য
ইউরোট্রিপ আনন্দময় হোক। কিন্তু এই নামের সিনেমাটার মতো ট্রেনে 'এসক্যুজি' অবস্থায় না পড়েন, সেই দোয়া করি তুলি দুই হাত।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
মহান ধুগো'র কমেন্ট আমার লেখাতে? খাড়ান আগে একটু নাইচা লই
ট্রেনেও আছে এক চাকভুম কাহিনী। ওইটা আসিতেছে, একটু ওয়েটান।
পড়ার জন্য । মন্তব্য করার জন্য
গৃহবাসী বাঊল
বাঊল ব্রাদার, লেখা বেশ মজার হয়েছে - ভিসা আসলেই একটা পেইন।
পরের পর্ব তাড়াতাড়ি চাই (ছবিসমেত)।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
আর যন্ত্রণা দিও না মিয়া। একটা লেইখাই পেইনের মধ্যে আছি। দেখা যাক আরেকটা লেখি কি না।
তবে তোমারে অনেক ধইন্যা। তুমি না হইলে এইটাই হয়ত লেখা হইত না।
গৃহবাসী বাঊল
গৃহবাসী শেষ পর্যন্ত উদাসী হয়ে কেমনে গৃহের বাহির হল ইত্যাদি বৃত্তান্ত শুনতে বইলাম। পপ্পন খাই সে পর্যন্ত।
ঐ বুলেট, ভাইরে চা চু দে, ভাই চা দিয়া পপ্পন খাক।
পড়ার জন্য
গৃহবাসী বাঊল
চলুক ইউরো ট্রিপ!
facebook
কি তামশা, গরিবের ঘরে হাতির পাড়া। ঐ ভাইরে চা দে, কাচাঁ পাত্তি মাইরা দিস।
গৃহবাসী বাঊল
অবশেষে কাঁথার তল থিকা বাইর হইছস দেইখা ভাল লাগল। আমি যতদিন ধইরা সচলে লিখি তার অনেক আগে থিকা তুই সচল পড়স। লেখা সেইরকম হইছে। তাড়াতাড়ি ফটুক সহ পরের পর্ব চাই।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
নতুন মন্তব্য করুন