সে এক বিরাট ইতিহাস। একদিন সচল জাহিদ মিয়ার ঘরে ছিলনা কেরসি। তার বউ খুন্তি হাতে নিয়া কইল, “"ও গেদার বাপ, ঘরে তো কেরসি নাই"”। জাহিদ মিয়া কেরসি ছাড়াই রাইগা আগুন হইয়া কইল, “"কি কইলা? গেল মাসে আধা ছটাক কেরসি আনলাম, আর তুমি আইজই কও যে কেরসি নাই? তুমি কি কেরসি দিয়া গাই গোসল দেও নাকি"?” এইবার তো আর ভাবির সহ্য হইল না, সে রসুইঘরের বেড়ায় কইষা খানদুই বাড়ি দিল। এই দেইখা জাহিদ মিয়ার হালুয়া টাইট। গেল বছর একবার ভাবি রসুই ঘরের বেড়ায় একখান বাড়ি দিসিল। তাতেই জাহিদ মিয়ার এক মাস গোয়াল ঘরে ঘুমান লাগছে। আইজ দিসে দুই বাড়ি। তার মানে নির্ঘাত দুই মাস। কি আর করা, মনের দুঃখের পকেটে ক্রেডিট কার্ড আর বগলে জুতা নিয়া সে যাত্রা করল সুপারস্টোরের দিকে।
সুপারস্টোরে যাইয়া জাহিদ মিয়ার দেখা হইল অধম গৃহবাসী বাঊলের সাথে। বাঊলের আবার এখনও পরিবার হয় নাই। সে একা মানুষ। তাই খুন্তির বাড়ি খাওয়া লোকজন তার সাথে একটু সুখ-দুঃখের আলাপ করে। দোকানে বইসা জাহিদ মিয়া শুরু করল কেরসির গফ। এই এক কেরসির গফ শুনতে শুনতে বাঊলের তখন অবস্থা খারাপ। সে জাহিদ মিয়ারে হাল্কার উপরে ঝাপ্সা একটা আওয়াজ দিয়া কইল, "কি মিয়া নিত্য কেরসির গফ পারেন, অন্য কোন কথা থাকলে কন"। তখন জাহিদ মিয়ার মনে পড়ল যে আরেক সচল মোচ-তা-ফিজ (আসলে তার নাম মুস্তাফিজ, কিন্তু তার তা দেওয়া খান্দানি মোচের কারণে জনগণ তারে আদর কইরা এই নামে ডাকে {মুস্তাফিজ ভাই মুরুব্বি মানুষ, আবার মাইন্ড করলেন না তো?}) তার পরিবার নিয়া কি এক টেরনিংয়ে আসতেছে এই গেরামে। এই কথা শুইনা তো বাঊলের রক্তে আগুন লাইগা গেল। সে আবার মুস্তাফিজ ভাইয়ের বিশাল পাঙ্খা। জাহিদ মিয়া আবার কইল, “"বাঊল, মুস্তাফিজ ভাই যহন আইতাছে, তহন এই গেরামের সব সচল নিয়া একটা আসর বসাইলে কিরাম অয়?” বাঊল কইল, “হেইডা আমি কেমনে কমু? আমি তো আর সচল না। আমি হইলাম অ(বি)চল (কোনদিন লেখব না, খালি পড়ব এই সিদ্ধান্তে), আমি কি এই আসরে যাইবার পারুম? তয় মুস্তাফিজ ভাইয়ের মত ভস মানু যহন আইতাছে, তহন একটা সচল আসর তো বানতাহে ইয়ার"।“ জাহিদ মিয়া ক্ষেপা ষাঁড়ের মত ফোঁস কইরা নাক-মুখ দিয়া পাতার বিড়ির ধুমা ছাইড়া কইল, “"তোরে *ড়া এত কইরা কই, একটা লেখা দে, তুই তো আমার কথা কানেই তোলছ না। যদ্দিন ধইরা সচল পড়ছ, হেদ্দিন যদি লেখতি, এদ্দিনে তুই মডু হয়া যাতি"।“ বাঊল তার পেটের ভিত্রের থিকা একটা আফসুস বাইর কইরা (মুখ দিয়া) কইল, "“হ, ঠিকি কইছেন, তয় মডু না হইলেও সচল তো হইতামই। দেহি একখান টেরাই দিবানে"।“ জাহিদ মিয়া কইল, "“ঠিক আছে, তুই তাইলে লেহা দে, আর মুস্তাফিজ ভাই আইবার সমায় হইলে আমি তরে আওয়াজ দিবানে। আইজ যাই, নাইলে আবার তর ভাবি খুন্তির বদলে পিঠে চেলাকাঠ ভাংবেনে"।“ এই বইলা জাহিদ মিয়া আধা ছটাক কেরসির মইধ্যে আধা ছটাক পানি মিশাইয়া রওনা দিল বাড়ির দিকে, আর বাঊল মুস্তাফিজ ভাইয়ের লগে দেখা হইব এই আনন্দে তার প্রিয় আনন্দ সঙ্গীত ঢিংকা চিকা’য় একটা টান দিয়া হাঁটা দিল তার বাড়ির দিকে। আইজ লেখার একদিন কি তার একদিন।
বাড়িত যাইয়া বাঊল উথাল-পাত্থাল চিন্তা শুরু করল, কি নিয়া লেখা যায়, সচলে যেই পরিমাণ বাঘা বাঘা লোকজন লেখে, তাতে তার ভাত তো দুরের কথা, ফেনও পাওয়ার কথা না। বহুত ভাইবা চিন্তা সে গেল বছর এক সাগর বত্রিশ নদী পার হইয়া যেই আসরে গেছিল, সেইটা নিয়া লেখার সিদ্ধান্ত নিল। তারপর ঝাপাইয়া পড়ল তার লেখার মেশিনের উপ্রে (দুষ্ট পাঠকের মনে কোন দুষ্ট কৌতুক আসলে তার দায়িত্ব পাঠকের মেন্টালিটির, লেখকের নহে)। তারপর, রাতভর উপুর্যুপুরি পালাক্রমে একের পর এক লেখার পাতা বরবাদ কইরা সে লেখা জমা দিল। কিছুক্ষণ পর সেইটা ছাপাও হইল। জোশের ঠেলায় সে দুইদিন পর বহু কষ্টে আরেকটা লেখা পয়দা করল। এইটুক লেইখাই সে মনে মনে চিন্তা করল, এখন সে আর অ(বি)চল না। কমছে কম অচল তো হইতে পারছে। আপাতত এইখানেই থামা যাক।
তার দুইদিন বাদেই সচল জাহিদ বাঊলরে জানাইল যে নভেম্বর মাসের ১০/১১ তারিখের দিকে মুস্তাফিজ ভাই আইতাছে। ঐদিন আবার যেন সে অন্য কোন বাড়িতে ফকিরান্তি না রাখে। বাউল জিব্বায় কামড় দিয়া কইল, "মাথা খারাপ"? সচল জাহিদ তখন কইল, "তাইলে ওই কথাই রইল বাঊল, আমি, তুই, সচল গ্যাং-ব্যাং ফাহিম হাসান (একবার সে লুকাইয়া ব্যাঙ্গের গ্যাং-ব্যাংয়ের ছবি তুলছিল, তারপর থেইকা দুষ্ট পোলাপান তারে এই নামে ডাকে, পোলাপান যে কী পরিমাণ খারাপ হইতে পারে!!), সচল ধ্রুব বর্ণন আর সচল শেখ জলিল। "
দেখতে দেখতে নভেম্বর মাস আইসা গেল। এডমন্টনে তখন নামল জন্মের ঠাণ্ডা। তাপমাত্রা কমতে কমতে বিয়োগ বিশের কাছাকাছি গেলগা। আর লগে শুরু হইল বেদম তুষারপাত। সারা দুনিয়া বিলাক-এন্ড-হোয়াইট। সচল জাহিদ বাউলরে তার মুবাইলে গুঁতা দিয়া কইল, "“তুই কিন্তু ঐদিন সক্কাল সক্কাল আইয়া পরিস। মুস্তাফিজ ভাইয়ের সময় সংক্ষিপ্ত, সে বড়জোর ৩ ঘণ্টা থাকবার পারব। টাইম কম, সময় সীমিত"।“ বাঊল কইল, "“ওইটা নিয়ে আপনে টেন্সিত হইয়েন না, আমি অনেক সক্কাল সক্কাল যামুগা, যাইয়া সকালে আপনের অইহানে নাস্তা করুম। ভাবিরে কইয়েন আমার লাইগা পাতলা কইরা চিতই পিঠা বানাইতে আর বড় মোরগটা জবাই দিয়া ঝোল রান্তে। ভাবির হাতের চিতই পিঠা আর মোরগের ঝোল বড়ই সোয়াদ অয়"।“ কইয়া বাঊলে সুরুত কইরা লোল টানল। সচল জাহিদ দেখল কেইস তো খারাপ, বাউলরে তো সে খালি আইতে কইছে, হুঁশের পাগল বাঊলে তো এক্কেরে সকালে নাস্তা খাওনের মাস্টারপ্ল্যান বানাইয়া ফেলাইছে। সে কোনমতে ঢোঁক গিলা কইল, “"না মানে, তোরে এত সকাল না আইলেও হইব, এইখানে আইয়া তোর তো কোন কাম নাই, তুই নাস্তা-টাস্তা কইরা আস্তে ধীরে আসিস"।“ বাঊল বেচারা সরল সোজা মানুষ, চিন্তা কইরা দেখল বেশি চাপাচাপি করলে হয়ত দুপুরের খাওয়াও নাই হইয়া যাইতারে, তাই সে মাথা নাইড়া রাজি হইয়া গেল।
সমাবেশের দিন সকাল বেলা বাঊল ঘুম থেইকা উইঠা তৈয়ার হইয়া অপেক্ষা করতেছে যে তারে তাড়াতাড়ি সচল জাহিদের বাড়ি যাইতে হবে। এমন সময় জাহিদ মিয়া বাঊলের মুবাইলে গুঁতা দিয়া জানাইল যে, মুস্তাফিজ ভাই যেই সরাইখানায় আছে, সেইটা বাঊলের বাড়ীর কাছে। জাহিদ মিয়া তাগোরে আনতে যাইব, যাওয়ার পথে বাঊলরেও তুইলা নিয়া যাইব। বাঊল মনে মনে প্রমাদ গুনল। সকালের নাস্তা তো আগেই গেছিল, এখন মাঝখানের চা-মুড়িও গেল। ভাবির খুন্তির বাড়ি খাইতে খাইতে জাহিদ মিয়ার বুদ্ধি কয়েক মাইল বাইড়া গেছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই জাহিদ মিয়ার গাড়ি বাঊলের বাড়ির সামনে আইসা দাঁড়াইল, লেঞ্জায় মোচড় দিতে জাহিদ মিয়ার বলদ প্রাণপণে হাম্বা কইরা উঠল। বাঊল বাইরে আসল, তারা রওনা দিল। মুবাইলে কিছুক্ষণ গুঁতাগুঁতি করার পর মুস্তাফিজ ভাইয়ের খোঁজ পাওয়া গেল। বাঊল তখন খুবই উত্তেজিত। মুস্তাফিজ ভাই আর রীতা ভাবিরে সে সামনা সামনি দেখব, না জানি তার কেলে কুচ্ছিত খোমা দেইখা রীতা ভাবি ভয়ই পাইয়া এক গাড়িতে উঠতে অস্বীকার করে নাকি। কিন্তু না। প্রথম দেখাতেই দুজনেই প্রাণখোলা হাসি দিয়া জাহিদ মিয়া ও বাঊলরে আপন করে নিলো। অবশ্য পুরা হাসি তারা দিতে পারে নাই মজ্জা কাঁপানো ঠাণ্ডার কারণে। গাড়িতে উইঠাই তারা প্রথমে কইল, “"এত ঠাণ্ডার দেশে আপনেরা থাকেন কেমনে"?” বাঊল আর জাহিদ মিয়া দুইজন হু হু কইরা জ্ঞানী লোকের মত হাসি দিয়া তাগো রুটিন কাজ শুরু করল। (রুটিন কাজ হইল, যখনি কেউ তাগো এইখানকার ঠাণ্ডা নিয়া অভিযোগ করে, তখন তারা তাগো দাম আরেকটু বাড়ানোর জন্য বলে, আজকে তো ভালই, গত কয়েকদিন আরও খারাপ আছিল, শীতের সময় তো আরও খারাপ থাকে, তখন বেশিরভাগ অতিথি মুখ দিয়া চুক চুক কইরা সহানুভূতি প্রকাশ করে)। যাই হোক, গাড়ি রওনা দিল জাহিদ মিয়ার বাড়ির দিকে। জাহিদ মিয়া বাঊলরে কইল, "দেখতো, ফাহিমের মুবাইলে গুঁতা দিয়া ওরে পাওয়া যায় নাকি"?। বাউল কইল, "“ওই ব্যাটা তো কোনদিনই মুবাইল ধরে না, প্যান্টের পকেটে মুবাইল ভাইব্রেশন মোড এ দিয়া রাখে, দেখি আইজকা টেরাই দিয়া"।“ পরপর তিনবার গুঁতা খাইয়াও ফাহিমের পক্ষ থেইকা কোন সাড়া-শব্দ পাওয়া গেল না। এমন সময় জাহিদ মিয়ার মুবাইল গর্জাইয়া উঠল। কিন্তু চালন্ত, পড়ন্ত ও করন্ত মানুষ মুবাইল ধরতে পারে না বইলা জাহিদ মিয়া সেইটা বাঊলের হাতে দিল। বাঊল দেখল যে তাতে জাহিদ ভাবির নম্বর। সে পালটা কল করতেই ওই পাশ থেইকা হুঙ্কার শুনা গেল “"ওই তুমি কই"”, পরে বাঊলের আওয়াজ পাইয়া ভাবি কইল, "ধ্রুব বর্ণনের মুবাইলে গুঁতা দিয়া দেখতো বাঊল, তার গাড়িতে শেখ জলিলের পরিবারের আসার কথা আছে। কিন্তু তাগোর কোন খোঁজ পাওয়া যাইতেছে না"। বাঊল এইবার সেই কাজে প্রবৃত্ত হইল। সেও ও তার মুবাইল ধরে না। এমন সময় দেখা গেল, রাস্তার উপরে ফাহিম হাসান দাঁড়াইয়া আছে। তার বাড়ি অবশ্য জাহিদ মিয়ার বাড়ির থেইকা এক ডাকের মাথায়। আর সেই সবচেয়ে দেরিতে। আফসুস। মক্কার মানুষ আইজও হজ্জ্ব পায় না।
বাড়ি যাওয়া হইল। সবাই গায়ের বস্তা খুইলা হাল্কা হইয়া বসল। বাকিগো কোন খবর নাই। বৈঠকখানায় সবাই বইসা কথা শুরু করল। চোরের মন যেমন সবসময় বোঁচকার দিকে, তেমনি ক্ষুধার্ত বাঊলের মন সব সময় পাতিলের দিকে। সে এক ফাঁকে উঁকি দিয়া মেন্যু দেইখা আসল। মেন্যু দেইখা তো তার চক্ষু চড়কগাছ। গরুর ঝাল, গরুর কোর্মা, ছাগুর টিকিয়া, ছাগুর রেজালা, ছাগুর কাচ্চি, মুরগির রোস্ট, মোরগ মোসাল্লাম, ইলিশ মাছের দো-পেঁয়াজা, সরিষা ইলিশ, ইলিশ ভাজি, রুই মাছের পেটি, বোয়াল মাছের মাথার মুড়িঘণ্ট, কাতলা মাছের মাথা ভাজি পার হেড একটা, সাথে জাফরান পোলাও, সাদা পোলাও, পাতলা খিচুড়ি, সাদা ভাত, এই ভাত দিয়া খাওয়ার জন্য ১৫/২০ পদের ভর্তা, কয়েক পদের বড়া, সালাদ, আর মরুভূমি হিসেবে মিষ্টি কয়েক ধরণের, পায়েস, ফিন্নি, নানা রঙ্গের নরম ও শক্ত পানি - এইগুলি কিছুই ছিল না। কি ছিল আসেন আমরা নিচের ছবি থেকে দেখে নেই।
বৈঠকখানায় তুমুল গতিতে আড্ডা চলতেছে। মুস্তাফিজ ভাই তার গল্পের দোকান খুইলা বসছে। সাথে আছে বহু সচলাড্ডা সামলানোর অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ রীতা ভাবি। বাকিরা শুধু শুনতেছে, আর মাঝে মধ্যে হু হা কইরা আর দিগবিদিগ মাথা নাইড়া তাগো বিদগ্ধ মতামত দিতেছে। এর মধ্যে ফাহিম বাঊলের মুবাইলে গুঁতা দিয়া জানাইল সে দেড় মিনিটের হাঁটা রাস্তা পার হইতে গিয়া পথ হারাইছে, বরফের মাঝে নাকি তার সবই এক রকম লাগে। কি আর করা, গরীব বাঊল বাহির হইল তারে খুঁইজা আনতে। বাঊল যাইয়া দেখে সে দুই বাড়ি দূরে দাঁড়াইয়া হাউ–মাউ কইরা কান্নাকাটি করতেছে। বাঊল তারে অনেক সান্ত্বনা দিয়া তারপর নিয়া আসল। গল্প তখনও সমানতালে চলতেছে। কিছুক্ষণ বাংলাদেশ, কিছুক্ষণ কানাডা, কিছুক্ষণ চাকরি বাকরি, কিছুক্ষণ ফটোগ্রাফি। উপস্থিত হইল দুই পরিবার নিয়া ধ্রুব বর্ণন (নিজের ও জলিল ভাইয়ের)। তারা আসতেই জাহিদ মিয়া সবার সাথে আনুষ্ঠানিক ভাবে পরিচয় করাইয়া দিল। চারজন সচলের মাঝে বাঊল নিজেরে খুবই অসহায় মনে করল, কিন্তু তাদের আন্তরিকতায় অল্পক্ষণের মধ্যেই সে তা ভুইলা গেল। খাবারের ডাক আসল। সবাই বিনয়ের চরম পরাকাষ্ঠা প্রদর্শণ পূর্বক আপনে আগে, না না, আপনে আগে করতে করতে খাবার ঠান্ডা হওয়ার আগ মুহুর্তে একে একে খাওয়া শুরু করল। খাইতে খাইতে চলল মুস্তাফিজ ভাইয়ের গল্প। উপস্থিত বাচ্চা-কাচ্চারা খাওয়া ভুইলা তার গল্প শুনতে লাগল। এক সময় খাওয়া শেষ হইল। এরি মাঝে তারা যার যার বাম হাত উঠাইয়া চা-খাওয়ার জন্য নিজের নাম দাখিল করল। হাত ধুইয়া উঠতেই বাঊলরে বলা হইল চা’র এন্তেজাম করতে। বাঊল দুধ, পানি ইত্যাদি চুলায় বসাইয়া দিতেই মুস্তাফিজ ভাই আওয়াজ তুলল সে বাইরে ছবি তুলতে যাবে। বাঊল কি আর সেই সুযোগ হেলায় হারাইতে পারে?! সেও চা বাদ দিয়া তাদের সাথে রওনা দিল। কিন্তু সে জানত না তার চা বানানোর ক্রেডিট ছিনতাই হইয়া যাবে। মুস্তাফিজ ভাই বাইরে যাইয়াই শুরু করল ক্লিকানি। বর্ষাকালে কৈ মাছ পানি পাইলে যেমনে বিভিন্ন ইশটাইলে সাঁতার কাটে, তেমনি বরফ দেইখা মুস্তাফিজ ভাই বিভিন্ন ইশটাইলে ছবি তুলতে লাগল। আসুন চিত্রে দেখি।
এক ফাঁকে বাঊল তার পিলাস্টিক বডির কেম্রা দিয়া চার সচলের একখান ফটু খিচল। রাগে, দুঃখে, ক্ষোভে, লজ্জায়, অপমানে, অভিমানে এবং নিজের ইজ্জত বাঁচানোর স্বার্থে মুস্তাফিজ ভাইয়ের আয়রণ বডির কেম্রা যাইয়া মুস্তাফিজ ভাইয়ের পিছনে পলাইল। ফাহিমের কেম্রার অবশ্য তেমন একটা লজ্জা শরম নাই (কেমনে থাকব? যেই সব ছবি সে উঠাইছে, নাউজুবিল্লাহ মিন যালেক), তাই সে ফাহিমের গলায় নিজ দায়িত্বে ঝুইলা থাকল।
এরপর তারা আবার যাত্রা শুরু করল। কিছুদূর হাঁটার পর সচলের দুই ফটুগফুর এক নিরীহ গাছের লাল লাল ফুলের উপরে তাদের কেমরা নিয়া ঝাপাইয়া পড়ল। তারা বিভিন্ন ইশটাইলে সেই গাছ আর ফুলের ছবি তুইলা তাদের গা ব্যথা ব্যথা করে ফেলাইল।
এই ফুলের ছবি তোলার পরপরই তারা সবাই টের পাইল যে ঠাণ্ডায় সবার অবস্থা খারাপ হইয়া গেছে। অতি সত্ত্বর তারা ঘরে ফিরত আসল। ঘরে আইসা তারা দেখল হাস্যোজ্জ্বল জলিল ভাই বইসা আছে জনগণের অপেক্ষায়। অবশ্য তার আরও আগেই আসার কথা ছিল, কিন্তু তারে আনতে যাওয়ার বদলে জাহিদ মিয়া প্রকৃতির মিসডকলে সাড়া দিতে যাওয়ায় সেও বাইরে থেকে বেশ ভাল পরিমাণ ঠাণ্ডা খাইয়া আসছে।
এমন সময় রসুই ঘর থেকে হুঙ্কার আসল, ওই বাঊল, সবাইরে চা দে। বাঊল আর জাহিদ মিয়া দুইজনে হুঙ্কার শুইনা চা বাটোয়ারা করতে লাগল।
চা খাইতে খাইতে আবার এক পশলা আড্ডা হইয়া গেল। ফাহিম এই ফাঁকে দুই বাচ্চা নির্ঝর (সচল জাহিদ দম্পতির ক্যাসেট) আর মাতিসের (মুস্তাফিজ দম্পতির ক্যাসেট) ছবি তুলল। এরা দুইজনই অতীব লক্ষী বাচ্চা।
এর আগে সব সচলের ছবিটাতে জলিল ভাই গুম হইয়া যাওয়াতে নিন্দুকেরা নানান কথা বলতে পারে, এই চিন্তা কইরা বাঊল আবার সবাইরে হাতে সাদা কলাপাতা দিয়া লাইন ধইরা বসাইল একটা ছবি তোলার জন্য। ছবিটা হাল্কার উপর ঝাপ্সা আসছে কারণ এইটা ফাহিম হাসানের লেন্সু দিয়া তোলা। সে লেন্সুরে সকাল বেলা কি জানি খাওয়াইয়া নিয়া আসছিল যার কারণে সব ছবিই ঝাপ্সা আসছে। বাঊল মানা করছিল বেশি খাওয়াইতে না, কিন্তু সে সেইটা শুনে নাই। আফসুস, গরীবের কথা কেউ শুনে না।
এইদিকে মুস্তাফিজ ভাইয়ের যাওয়ার সময় ঘনাইয়া আসতেছে। আদর্শ বাঙ্গালীর মুখ রক্ষা করতে তারা প্রায় এক ঘণ্টা আগে থেকেই যাওয়ার প্রস্তুতি শুরু করল। এক ফাঁকে জলিল ভাই আর মুস্তাফিজ ভাই দেশ ও জাতির ভবিষ্যৎ নিয়া পূর্বে ঘটিত উত্তপ্ত আলোচনা ঠাণ্ডা করার জন্য বরফের উপর পায়চারি করতে গেল। মুস্তাফিজ ভাই ফিরত আইসা আবার হেই হেই কইরা সবাইরে তাড়া লাগাইল। বুঝা গেল অনিচ্ছা সত্ত্বেও রীতা ভাবি তৈরি হইল। সবাই বাহির হইয়া গেল। রাস্তায় আইসা মুস্তাফিজ ভাই সবার একটা গুরুপ ফটুক তোলার জন্য এক হাঁটু বরফের মইধ্যে দাঁড়াইয়া গেল। সেই ছবি এখনও মুস্তাফিজ ভাইয়ের খোমাখাতায় ঝুলতেছে। তারপর এক কাফেলা রওনা দিল তাদেরকে গাড়ি পর্যন্ত আগাইয়া দিতে।
বাসার সামনে একবার যদিও সবার সাথে কোলাকুলি ও আল্লাহ্ হাফেজ বলা হইছে, তারপরও গাড়ির সামনে আইসা একবার না করলে কেমন দেখা যায় এইটা চিন্তা কইরা সবাই আরেকবার কুলাকুলি করল (লেখকের ধারণা, কোলাকুলি একটা ভ্রান্ত ধারমা্, সবাই ঠাণ্ডার মইধ্যে গরম হওয়ার জন্য চান্স পাইলেই আরেকজনরে জাব্রাইয়া ধরে)। শুধু জলিল ভাই আর মুস্তাফিজ ভাই কোলাকুলি করার সময় এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হইল। তারা একে অপরকে জড়াইয়া ধইরা সে কি কান্না! না দেখলে কেউ বিশ্বাসই করবো না। বাঊল সেই সিন কেমরা বন্দী করতে গিয়া পুরাই টাস্কি। সবাই দেখল যে তারা দুইজন কান্তেছে, কিন্তু শালার কেমরা দেখল তারা দাঁতের মাজনের বিজ্ঞাপনের মত ৩২ দাঁত বাইর কইরা হাস্তেছে। বিশ্বাস না হয় নিজেরাই দেখেন।
অবশেষে মুস্তাফিজ ভাই ও তার পরিবার যখন রওনা দিল, তখন তাদের হাতে টায় টায় সময় আছে।
মুস্তাফিজ ভাই তো গেল, কিন্তু সচলাড্ডার আমেজ তখনও রইয়া গেছে। বাসায় ফিরত আসার পর ফাহিম হাসান, সচল জাহিদ, ধ্রুব বর্ণন আর বাঊল আরেক দফা শুরু করল। তিন জ্ঞানী ব্যক্তির চিপায় পইড়া বাঊলের ছাইড়া দে মা কাইন্দা বাঁচি অবস্থা। সেই গল্প নাহয় আরেকদিন শুনামুনে।
এইবার কৃতজ্ঞতা স্বীকারের পালা। সাড়ে তিনশ ক্রোশ দূর থেইকা আইসা সাড়ে তিন ঘণ্টা সময় দেওয়ার জন্য মুস্তাফিজ ভাই ও রীতা ভাবিরে এডমন্টনে যত স্নো পড়ছে তার সমান ধন্যবাদ। মুস্তাফিজ ভাই অসাধারণ মানুষ (এইটা না বললেও চলত, সবাই জানে)। রীতা ভাবি দুর্দান্ত। যেমন সুন্দরী, তেমনি সবাইরে আপন কইরা নিতে পারেন (আফসুস, কেন যে পৃথিবীতে এত দেরীতে আইলাম)। সচল জাহিদ ও মিতু ভাবি (মিতু ভাবি সম্পর্কে আবার আমার বান্ধবী হয়) অনেক ব্যস্ততার মাঝেও আয়োজন করছে, সবাইরে এক করছে তাদের জন্য রইল এই শীতে এডমন্টনের সব গাছ থেইকা যেই পরিমাণ পাতা ঝইরা পড়ছে তার সমান ধন্যবাদ। সচল ধ্রুব বর্ণন ও তার উনারে অনেক ধন্যবাদ আসার ও আড্ডা মারার জন্য, সচল ফাহিম হাসান দেরি কইরা আসলেও ছেলে ভাল (তবে খালি পশু-পাখির ভালবাসার ১৮+ ছবি তোলে-এইটা বয়সের দোষ; বড় হইলে ঠিক হইয়া যাবে), শেখ জলিল ভাই ও তার ম্যাডাম আড্ডারে আরো প্রাণবন্ত করছেন, তাদেরও অসীম ধন্যবাদ। আর রইল বাকি এক- গৃহবাসী বাঊল। আপ্নেরা তো দেখলেনই তার ভূমিকা। তারে ধন্যবাদ যা দেওয়ার আপনেরাই দেন।
গৃহবাসী বাঊল
মন্তব্য
লেখার ধরন দারুণ,
ধন্যবাদ আপনার জন্য এই প্রথম ফাহিম ছোকরা আর ধ্রুব দার খেমো দেখা গেল।
facebook
ফাহিম আর ধ্রুব'র খোমা আমরা একই শহরে থাইকাও দেখি না। তাই এইখানে ঝুলাইয়া দিলাম। দেখতে ইচ্ছা করলেই এইখানে আইসা দেইখা যামু।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
এই লেখার পরে গৃহবাসী এই বাউলকে যদি "পুরা হাচল" করা না হয়, তাহলে জাতিসংঘে বনধ ডাকার দাবী জানিয়ে গেলাম ।
লেখা এত "সুস্বাদু" হইছে যে কোট করতে ঐলে, সবটাই করতে অয় । থাউক । কিন্তুক কানাডার ইস্ট কোস্টেও কিন্তুক আল্লাহয় দিলে ভালাই সাদা জিনিষ আর থান্ডা পড়ে ।
বাউলরে এক আসমান তারা দিয়া গেলাম । বাউল যেন শীতনিদ্রায় না যায় । খ্যাতা গায় দিয়া নতুন ল্যাখার মকশ করে ।
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
থাক জাতিসংঘ বন্ধ করার দরকার নাই। এম্নিতেই জাতিসংঘ বিশাল ছিরিংখলার মইধ্যে আছে।
লেখা ভাল লাগছে জেনে আমি যারপরনাই আনন্দিত। এই প্রথম তারা পাইলাম। প্রথম তারা পাওয়ার মজাই আলাদা।
আপ্নেরে অনেক ধইন্যা।
গৃহবাসী বাউল
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
পড়াশুনা বাদ দিয়ে আড্ডাবাজি করা ঠিক না ।
হ, এই কথা আমিও কই। কিন্তু অইযে, গরীবের কথা কেউ শুনে না।
পড়ার জন্য ধইন্যা উস্তাদ।
গৃহবাসী বাঊল
১। লেখা (গুড়) কন্টেন্টে মাইনাচ
২। ধ্রুব বর্ণণ ভাইয়ের চেহারা দেখে ভাল লাগল। ওনারে যেমন কল্পনা করছিলাম তার সাথে মিল নাই। ভাবছিলাম সেরকম জ্ঞানী জ্ঞানী চেহারা হবে।
৩। অনেক দিন এমন গ্লাসে কইরা করা কালারের দুধ-চা খাইনা, এই ছবিটা না দিলে পারতেন।
৪। মুস্তাফিজ ভাই ভ্যাঙ্কুভারে আমাদের মত এতিমদের নিয়ে একটা সচলাড্ডা না কইরা এডমন্টন ক্যান গেলেন, জবাব চাই।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
আমার ছবি লক্ষ্মী বাচ্চাদের ছবির লিস্টে থাকার কথা ছিলো!
হ, আইছেন!
ধ্রুব বর্ণন, লক্ষী বাচ্চা আপনে আমাত্তে বেশি বুঝেন? লাইনে আসুন
এহ আইছে!
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
আমি তো এখানে ফরেনার, কিচ্ছু চিনিনা, এডমণ্টন-ভ্যাঙ্কুউভার সব সমান আমার কাছে।
ফোন দিলেই আড্ডার তারিখ হয়ে যায়।
...........................
Every Picture Tells a Story
দাঁড়ান, ডিসেম্বর মাসেই একটা ফেলতে হবে। আমার ১১ তারিখে পরীক্ষা আছে একটা, সেটা শেষ হলেই
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
ওকে
...........................
Every Picture Tells a Story
বাপ্রে ! ছবি দেখেই তো জমে যাচ্ছি। এখানে থাকে কেম্নে মানুষ !
লেখা আর ছবি খুব ভালো
আর বইলেন না, ঐদিন তো অনেক ভাল ছিল। এর আগের কয়েকদিন অবস্থা আরো খারাপ ছিল। মাঝে মাঝে তো মাইনাস ৪০ এ নাইমা যায়। তখন অনেক মজা হয়। বাচ্চারা ফুটবল খেলতে নামে, বড়রা বাইরে আড্ডা মারে। ভাবিরা উঠানে বইসা চেইন বানাইয়া একজন আরেকজনের মাথার উকুন বাছে, চারিদিকে পুরা ঈদ ঈদ ভাব
খুব মজা পেলাম পড়ে
অনেক
সচলদের যে কোন সমাবেশের প্রাণ মনে হয় আড্ডা। অফুরন্ত খাওয়ার যোগান আর আন্তরিকতায় যে আড্ডা জমে উঠে এইটা আসলে খুব দুর্লভ। স্বাচ্ছন্দ্যবোধের একটা আমেজ আছে সচলাড্ডায় এটা স্পষ্ট টের পাওয়া যায়। জাহিদ ভাই, মিতু ভাবী তুমুল ব্যস্ততার মাঝেও কোরবানীর মাংস রান্না করেন, মুস্তাফিজ ভাই বাস ছাড়ার আধ-ঘন্টা আগেও বিদায়পর্বের নাম করে আরো কিছুক্ষণ সময় কাটান, ধ্রুব বর্ণনের সাথে বয়সের ভেদাভেদ ভুলে আমি রীতিমত গলার রগ ফুলায় ঝগড়া করতে পারি, জলিল ভাইয়ের কাছে সিগারেটের আবদার জানায় বাঊল (আমিও এই ফাঁকে কয়েকটা টান দেই)
এই আড্ডা-তর্ক আর রকমারী খাওয়া-দাওয়া এডমন্টনের প্রবল ঠান্ডার মধ্যে একটা উষ্ণতার রেশ নিয়ে আসে, যদিও মুস্তাফিজ ভাইয়ের canon 1dx, canon 70-200mm L এবং canon 14mm L সহ বিবিধ লেন্স সম্ভারের প্রতি উঠতি ফটোগ্রাফারদের যে তীব্র হতাশা ও ক্ষোভ তা নানা প্রসঙ্গে জানান দিয়ে যায়।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
ছি ফাহিম, তুমি এত্ত খারাপ, সিগারেট খাও
কেউ সাধলে না করি না। এই আর কী
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
পুরাই আমার লাইনের লোক
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
অসাধারন লেখা , ২ বার কোন লেখা খুব পড়ি, এটা পড়েছি।
মনে হয় কম পড়েন কইতে চাইছিলেন। যাইজ্ঞা, আমি বুঝতারছি। প্রথমবার পড়ার জন্য , দ্বিতীয়বার পড়ার জন্য , আর কমেন্ট করার জন্য
এইসব সচলাড্ডার কথা শুনলেই মেজাজ খারাপ হয়। তার উপর সব সময় খাবারের ছবি দিয়ে পোস্ট দেওয়া হয়। এই অন্যায়ের প্রতিবাদ জানানোর ভাষা আমার জানা নাই। তার পরেও প্রতিবাদ জানায় গেলাম।
লেখা অতি সুস্বাদু। আরো অনেকের মত আমিও আগে না দেখা সচলের ছবি দেখে খুশি। বাঊল সাহেব নিজের একখানা ছবি দিলেও পারতেন। বাচ্চা দুইটাকে দেখলেই বোঝা যায় লক্ষী। ভাবিগণ কি ছবি তুলতে রাজী হননি?
আপনার প্রতিবাদ সাদরে গৃহীত হইল।
বাউলের কেলে কুচ্ছিত খোমা দিয়া কি এই পোস্ট নষ্ট করুম? এইটা একটা কথাই কইলেন? ধুর মিয়া।
ভাবিরা আবার ছবি তুলতে রাজি হয় না? কওয়ার আগেই পোজ দিয়া বইসা থাকে। তয় পোস্টে দেই নাই আরকি। আরেকজনের বউয়ের ফটুক দিয়া বিপদে পড়ুম নাকি?
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
মুস্তাফিজ ভাইরে ভাবছিলাম কম বয়সী কেউ হবে তাই মিলল না। কিন্তু চেহারাতে এখনও যৌবনের ছাপ। ধ্রুব বর্ণন কে ভাবতাম একটা জ্ঞানী জ্ঞানী চেহারা হবে খুব রাশভারী গম্ভীর আর বয়স্ক কেউ । এখানেও মিলল না , একেবারে টগবগে তরুন।
যাহোক বাউল ভাইকে ধইন্যা এনাদের সাথে ছবির মাধ্যমে পরিচয় করিয়ে দেয়ার জন্যে। শুধু লেখায় পড়া হয় আজ একটা ছবিও পেলাম। ছবি ও লেখা
আমি এখনও নাবালক।
...........................
Every Picture Tells a Story
হ, কথা সত্য। মাতিস আর তার পোলা মুস্তাফিজ দুইজনই ব্যাচেলর নাবালক। নাক টিপ দিলে জুস পড়ে।
লেখা অনেক মজার হইছে । অস্ট্রেলিয়ায় এই রকম একটা সচল আড্ডা করা গেলে জোস হইত।
অস্ট্রেলিয়ায় করেন না কেন? মানা করছে কে? খালি নামডা কন। বাকিডা দেখতাছি।
জায়গায় বইসা আউয়াজ দিলাম (যদিও আমি খালি কমেন্ট-ই করি)
চর্ম চক্ষে সচলগনরে দেখিয়া আপ্লুত হইলাম!
আপ্নারে বিঘা বিঘা ধনিয়ার মাঠ...।
বিঘা বিঘা ধইন্যার মাঠ দিয়া কি করুম? মাঠে যদি ধইন্যা না থাকে।
তবু মাঠ তো দিসেন। এই আকালের জামানায় এইটাই কে কারে দেয়?
আসেন, বুকে আসেন
খাবারের ছবি দেয়ায় দিক্কার!
ক্যানাডার ইস্ট কোস্টের মজদুর এক হও!
- সাম্য
হ, ধিক্কার।
এক হও, এক হও
স্বাধীন ভাইকে মিস করেছি খুব।
গতকাল আমার আর স্বাধীনের আড্ডানোর কথা ছিল। আমিই আর সময় করে উঠতে পারলাম না। সবৈ কফাল!
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তারে তো মানা করছিলাম আমগোরে ছাড়া যাইতে। হে গেছে কেন? এখন মজা বুঝুক।
আপ্নের জন্য আছে সুপার গ্লু
ভাল লাগলো। সচলদের ছবিগুলোও একটা বড় প্রাপ্তি।
অনেক
১) মুস্তাফিজ ভাই আর রীতা ভাবির ভয়াবহ ব্যস্ত স্কেজিউলের মইধ্যে সময়ের অভাবে আড্ডা ঠিকমতন হয় নাই। সবচেয়ে মজার ছিল মুস্তাফিজ ভাই মাহবুব ভাইয়ের ইমেইলঃ 'সেলিমের সাথে দেখা করার জন্য একমাত্র স্লটটাই তুমি দখল করে নিয়েছ তাইও তোমার বাসায় আড্ডা দেয়া ছাড়া আর কোণ উপায় নাই।' শেষ পর্যন্ত অবশ্য মাহবুব ভাই হাইওয়ের বাজে কন্ডিশনের জন্য আসতে পারেননাই।
২) আমার আর বউয়ের একাডেমিক ব্যস্ততার কারনে খাবার দাবারের এই দৈন্য দশা। পাপিষ্ঠ বাউল তার ছবি তুইলা সচলে দিয়া বিব্রতকর অবস্থা আরো বাড়াইয়া দিছে ( এইহানে জিব্বায় কামড় দেওয়নের ইমো হইবো)। তবে ধ্রুব বর্ননের অর্ধাঙ্গিনী লিসার বানানো চপ এখনো জিভে লেগে আছে। এই সুযোগে আবারো ধন্যবাদ জানাইয়া যাই।
৩) জলিল ভাই এই আড্ডা উপলক্ষে তার কাজ ফাঁকি দিয়া চলে আসছে। একেই বলে সচলায়তনের প্রতি টান।
৪) সবাই স্বাধীন ভাইরে ব্যাপক মিস করছি। আজ ফোনে কথা হচ্ছিল, বলল আমি থাকতে কোন আড্ডা হইলনা
৫) জমজমাট ছিল মুস্তাফিজ ভাই চলে যাবার পড়ে ফাহিম, ধ্রুব, আমার, আর বাঊলের আড্ডা।
সব কিছুর উপরে বাঊলরে ব্যাপক ধন্যবাদ চমৎকার এই লেখাটির জন্য।
শেষে একখান অনুরোধ মুস্তাফিজ ভাইরে, আপনার ক্যামেরাতে দুইখান গ্রুপ ফটুক ছিল। ফটুক দুইটা এই লেখার মন্তব্যে দিলে পোষ্টটা পূর্নতা পাইত । অন্তত বাউলের খোমাটা সবাই দেখতে পারত
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
দিলাম ছবি
...........................
Every Picture Tells a Story
লেখা অনুযায়ী ছবিতে বেশি মানুষ মনে হচ্ছে। -রু
দারুণ একটা ছবি।
এই ছবি লুকিয়ে রাখার অপরাধে আপনার শাস্তি হওয়া উচিত।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
এই ছবিতে আমি নাইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইই
আমার ধারণা ডানপাশ থেকে তৃতীয়জন (তিন সুন্দরীর মাঝে) আপনি।
ফারাসাত
ঐটা আমার ভায়ের ছেলে।
...........................
Every Picture Tells a Story
থুক্কু।
ফারাসাত
বাউলের গলায় গামছা দেখে চিনতে হবে
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
১। নো কমেন্ট।
২। আরেকদিন দাওয়াত দিয়া ভাল মন্দ রান্না কইরা এই গরীব বাঊলরে খাওয়াইয়া দিয়েন। অইগুলির ও ছবি আপ্লোডাইয়া দিবোনে। কাটাকাটি হইয়া যাইব।
৩। টান একটা ভ্রান্ত ধারমা। ফাঁকি মারার চান্সই আসল কথা।
৪। গেছে কেন? আগেই মানা করছিলাম, যাইয়েন না, শুনে নাই আমগো কথা। আমগো বুকে হিংসার যেই আগুন সে লাগাইয়া গেছে, তার কিছুই তো আমরা তারে ফিরত দিতারিনাই।
৫। আমি আর আড্ডা দিতারলাম কই? আপ্নেরা যেই গ্যানগর্ভ আলুচনা শুরু করলেন, আমি তো টিকতে না পাইরা ভুবনের লগে লেগো নিয়া খেলতে বসলাম।
আমিও আপ্নেরে রে বিশাল ধন্যবাদ দিলাম। কেন দিলাম সেইটা তো আপ্নে জানেনই। আমি আর হাটে হাড়ি ভাংতে চাই না।
আমি তো মনে করছিলাম সচল হও্য়ার আগে আমার এই কালা কুচ্ছিত খোমা কাউরে দেখামুনা। আপ্নেগো লাইগা আর পারলাম কই? লেখা পইড়া যাও দুই চাইরজন লেডিজ পাংখা হওয়ার চান্স আছিল, তার তো পুরাই ফালুদা বানাইয়া দিলেন মিয়া। ধুর, এইটা একটা কামই করলেন?
১। বাউলের ছবি নাই কেনো?
২। ফাহিম আর রূপম (ধ্রুব) তো নিতান্তই বাচ্চা!
৩। জলিল ভাইকে দেখে ভালো লাগলো। কবি সেই যে ডুব দিয়েছেন তার আর দেখা নেই।
৪। মুস্তাফিজ ভাই যথারীতি এভারগ্রীন। এই আড্ডার ওপর মুস্তাফিজ ভাইয়ের গল্প-ছবি পোস্ট চাই।
৫। রিপনের (জাহিদ) শরীর কিছুটা শুকিয়েছে কিন্তু মুখ শুকায়নি। সেই দুঃখে নাকি ক্রমাগত বরফ পড়ার দুঃখে কি সে লেখা পোস্টানো বা কমেন্টানো বাদ দিয়েছে?
৬। নির্ঝর দেখতে দেখতে কতো বড় হয়ে গেল! মাতিসের ঠোঁটের উপরে কি গোঁফের রেখা আভাস দিচ্ছে! সর্বনাশ, আমরা সত্যি সত্যি বুড়া হইয়া গেলাম!!
৭। মিতু, রীতা ভাবী, জলিল-জায়া আর রূপম-জায়া'র ছবি কেন দেয়া হলো না? অন্নপূর্ণা'র অন্ন গ্রহন করে বাউল তার ছবিই অপ্রকাশিত রাখলো!
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
পাবেন আশা করি
না, এখন আবার খেয়াল করলাম, ঐটা ঠোঁট কুচকাইয়া থাকার জন্য মনে হয়।
...........................
Every Picture Tells a Story
১। বাউলের কেলে কুচ্ছিত খোমা যাতে কেউ না দেখতে পারে, এই জন্য বাঊলের ছবি নাই।
২। এরা দুইজনও তাই দাবি করে। যদিও কথা সত্য না।
৩। নো কমেন্ট। সে লেখে না কেন এইটা জিগেস করলে ভুগোলের ক্লাস শুরু করে।
৪। সহমত। এক দফা এক দাবি, পোস্ট চাই, দিতি হবি
৫। শুকাইলে সমস্যা নাই, পানি মাইরা ভিজাইয়া দিমুনে। সে এখন টাকা গুইনাই তো শেষ করতারে না, লেখা দিব কখন?
৬। পোলাপান গুলি হুদাই বড় হয়া যায়। বড়ই দিগদারি। মাতিসরে তো আরো ছোট মনে করছিলাম।
৭। আরেকজনের বউ এর ছবি দিয়া বিপদে পড়ুম নাকি? এইটা কি কইলেন?
সবশেষে লেখা পড়া ও কমেন্ট করার জন্য অনেক অনেক
এম্নে লিখলে তো সমিস্যা!
অ(বি)চল থেকে ডাইরেক্ট সচল হয়া যাবেন।
খাবার আর চায়ের ছবিতে কইসা বিয়োগ।
আর সচলদের ছবিতে আর লেখায় পিলাস আর এক আকাশ তারা।
---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।
আপ্নে তো দেখি ইতিহাসের কিছুই জানেন না। হিস্টোরিতে কোনদিন কেউ কি অ(বি)চল থেইকা ডাইরেক্ট সচল হইছে? হয় নাই। সো, আমার ও কোন সম্ভাবিলিটি নাই। আর এত তাড়াতাড়ি হইতেও চাই না। তাইলে আর দাম থাকব না।
এক আকাশ তারার দেওয়ার জন্য আপ্নারে এক আকাশ
লেখা ছবি দুইটাই ব্যাপক হইছে বাউল ভাই।
ইশ, এত প্রশংসা কই রাখি? আমার তো কান লাল হইয়া যাইতেছে।
এই দেখা কি চর্মচক্ষে দেখা নাকি মোবাইলে শুনে অন্তর্চক্ষে দেখা? কারণ এর নিচের প্যারায় লেখা আছে -
আপনার হাস্যরসের জবাব নেই। সচল হতেও যে দেরী নেই তা বলাই বাহুল্য। দুর্দান্ত লেখা হয়েছে।
ফারাসাত
চর্মচক্ষেই দেখা। আমরা গাড়িতে ছিলাম। জায়গা ছিল না বইলা তারে বলা হইল, আমরা যাই, তুমি আস। তারও আধা ঘন্টা পর্যন্ত তার কোন খোঁজ নাই। তারপরই সে ফোন দিল।
হাস্যরস ভাল লাগছে শুইনা আমারও ভাল লাগতেছে। তবে সচল হইতে দেরী আছে। আমি যেই পরিমাণ আইলসা।
অনেক
আপনার রসবোধ অতি উচ্চমানের। মুস্তাফিজ ভাই 1Dx কিনেছেন দেখে লোভ হল। আরও আড্ডার পোস্ট আসুক।
লেখা খুব মজার আর এই চা না খেয়ে মরে যাওয়া উচিত হবেনা - আর ছবিগুলোর জন্য ধন্যবাদ বাউল!
আসেন এডমন্টনে, চা খাওয়াইয়া মাথার কিডনিতে গ্যাস্ট্রিক বানাইয়া দিমু, কত খাইবেন চা।
এইরাম সংগী-সাথী পাইলে এক্কেরে উত্তুর মেরুতে যাইতারি। কিন্তুক এই ্জর্জিয়াতে দেহি সোব রামগরুরের ।ছানা, না না, নানা-দাদা, পরদাদা। থ্যাংকু, ভাই।
এইটা ঠিক না, লাড়া দেন, দেখবেন সব রামগরুরের সাইজ হইয়া হা হা হি হি শুরু করছে, উত্তর মেরুত যাওন লাগত না, অইখানে তারেক অণু অলরেডি গিয়া আসছে।
লেখা চায়ের মতই মজারু হয়েছে বাউল ভাই।
শুভকামনা রইল- অচল থেকে হাচল এবং সেখান থেকে সচল হবার। পরে নাহয় আবার অ(বি)চল হয়ে যেয়েন
অনেক সচল একত্রে দেখতে পেয়ে আরজু খুশ হুয়া !!!
আরজু বেগম খুশ হইছে, মনে হয় ঘুশ খাইছে
বুঝচ্ছিলাম আপনের লেখা। ধইন্যাপাতা দিয়া মুড়ি বানাইয়া খাইয়েন।
অহন সমাবেশে আরামে খাড়াইয়া না থাইকা হাঁটা দেন দিকি। বাউল গো বইয়া থাকতে নাই।
মুড়ি কই? চানাচুর কই?
আরামে খাড়াইয়া থাকলে কি কেউ হাঁটা দেয়? এইডা কি কইলেন? খেলুম না
আপনি তো মশাই জটিল লিখেন!
এইরকম পেতিভা নিয়া এতোদিন না লিখে বসে থাকাটা রীতিমতো অন্যায়!!!
লাল লাল ফুলের ছবি তুলতেসে দুই ফটগফুর, এই ছবিটা দেখে মজা পাইলাম।
আর মুস্তাফিজ ভাইয়ের ক্যাম্রায় গ্রুপ ছবিটা।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
লেখা জটিল হইছে? আমি তো আরো সহজ কইরা লেখতে চাইলাম।
প্রশংসার জন্য
বরফ দেইখ্যা ঠাণ্ডার ভয়েই কুঁকড়ায় গেসিলাম, কিন্তু আপনার লেখা পড়তে পড়তে হাসতে হাসতে গা গরম হয় গ্যাসে। মিয়া, মসকরা করেন, এত ভাল লেখার হাত যার তার আবার লেখা নিয়া অজুহাত! ধন্যবাদ আপনেরে। অনেক অচেনা মানুষের সবুত দেখা গেল। সবার মত আমিও টাসকি খাইলাম ধ্রুব বর্ণনরে দেইখা। গ্রুপ ফটুখান দেইখ্যা খুব ভাল লাইগল। সচলাড্ডা জারি থাকুক দুনিয়ার প্রান্তরে প্রান্তরে।
অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।
জেনে রাখুন। আমি প্রত্যেকটা মন্তব্য আসলে হাসতে হাসতে লিখি। আমার প্রত্যেকটা লেখা আসলে রম্য রচনা। আমার লেখা এখন থেকে চরম উদাসের লেখার মতো বেশি বেশি করে পড়েন। আর এতোদিন ভুল বুঝার জন্যে টেকাটুকা ছাড়েন।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
স্বপ্ন স্বপ্ন লাগলো, প্রিয় মানুষগুলো বড় সৈন্দর্য!!!
আপনি সাংঘাতিক লিখেন, অনুগ্রহপূর্বক নিয়মিত লিখবেন!
_____________________
Give Her Freedom!
আপনে সাংঘাতিক প্রশংসা করতারেন, তয় আমি নিয়মিত লেখতারুম না, আইলসামি লাগে
চায়ের ছবিটা দেখেই খেতে ইচ্ছে করছে। আর আপনার লেখাও সত্যি দারুন। এরকম লেখার হাত নিয়ে না লেখা সত্যি অন্যায়। আরও লিখুন।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
চা খাইতে ইচ্ছা করলে খাইয়ালান। ইচ্ছা দাবাইয়া রাখতে নাই, হায়াত মউতের তো আর কোন ঠিক ঠিকানা নাই।
প্রশংসা করার জন্য
আড্ডা একটা ভ্রাম্ত ধারণা। এখন থেকে সচলাড্ডায় ১৪৪ ধারা জারি করা হইল।
সচলাড্ডা লই চুদুর ভুদুর চইলত ন, চইলত ন
লেখা আর ছবি ভাল হয়েছে।
আগামী বছর সামারে নুইইয়র্ক এ আমার বাসায় সচল আড্ডার প্ল্যান করছি। অচিরেই মেহবুবা জুবায়ের পোস্ট দিবেন।
আপনারা কানাডা বাসীরা চলে আসুন।
আপনার ছবি কোথায়?
আর সবসময় নিজেকে কালো কুৎসিত লিখেছেন কেন? কালোর সাথে কুৎসিতের কি সম্পর্ক?
আশাকরি দেখা হচ্ছে সামারে।
আগামী বছর তো চলে আসলো প্রায়, কবে হবে? আমি তো ঘোড়ায় লাগাম দিয়ে বসে আছি।
@ চরম উদাস, প্লিজ কল মেহবুবা ভাবী। উনাকে বলব তাড়াতাড়ি তারিখ জানিয়ে দিতে।
আমিও অপেক্ষা করছি।
ভাবীর বাসায় এই সপ্তাহে দাওয়াত খেতে যাবো, জোরপূর্বক দাওয়াত আদায় । দেখি দুই বগলে করে সবজান্তা আর উচ্ছলাকে নিয়ে যাওয়া যায় কিনা।
বগল চপ।
তারিখ জানাতে হবে আগে ভাগে, তাহলে আমিও একটু প্ল্যান প্রোগ্রাম সেট করতে পারতাম
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
ইউরোপে একটা সচলাড্ডার পুনঃদাবি জানাইয়া গেলাম, আমিও অ(বি)চল থেকে হাচলে আসুম বাউলভাইর নাহান পোষ্ট দিয়া।
ঢোনয়বাড ডিয়ে চওত কোরব না
(অভ্র ছাড়া লেখার চেষ্টা করছিলাম সচলের ডিফল্ট কোডে, ফলাফল বড়ই মর্মান্তিক। যাই হোক, দুর্দান্ত লিখেছেন, এরকম আরও লিখুন )
অঃটঃ আপনাদের ক্যামেরায় এত ঝলমলে ছবি কেন আসে কে জানে? দামী বলে নিশ্চয়ই নয়?
অনুগ্রহ করে সচল সমাবেশের পোস্ট সচল কিংবা সচলে অ্যাক্টিভেট হওয়া অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট করা বাঞ্চনীয়। যেহেতু আয়োজনটি "সচল সমাবেশ" সুতরাং সেটার বর্ণনা একজন অতিথির কাছ থেকে এলে সেটা দৃষ্টিকটু দেখায়। এরপর থেকে অতিথি লেখক একাউন্ট থেকে "সচল সমাবেশ" এর পোস্ট এলে সেটা প্রকাশিত নাও হতে পারে।
আপনাদের সহযোগীতার জন্য ধন্যবাদ।
গৃহবাসী বাঊল এরাম লেইখা ফাটায়ালাইতে থাকলে পরের বছরের সচলাড্ডার বর্ণনা উনার হাচল নয় পূর্ণ সচল অ্যাকাউন্ট থিকাই বাইরাইব। কুনো ছিন্তা নায়। কিপিটাফ!
..................................................................
#Banshibir.
বাঊল অবশ্য বেশ আগে থেকেই নিয়মিত সচল পড়েন। সত্যি কথা বলতে গেলে অ্যালবার্টাতে অনেকেই আছেন যারা সচলের নিয়মিত পাঠক, এমনকী মন্তব্য পর্যন্ত খুঁটিয়ে পড়েন।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
নতুন মন্তব্য করুন