আগের পর্বে টিক কি, কিভাবে খায় এসব নিয়ে আলোচনা করেছিলাম। আজ আলোচনা করবো তারা কিভাবে হোস্ট খুঁজে বের করে, এরা কেনই বা গুরুত্বপূর্ণ এবং বাংলাদেশে এদের অবস্থা কি তা নিয়ে।
হোস্ট খুঁজে বের করা (Host finding mechanism)
আগে বলেছিলাম হোস্ট খুঁজে বের করা একটা ছিরিংখলার ব্যাপার। হোস্ট খুঁজে বের করা ইন্সেক্টা গ্রুপের মধ্যে মোটামুটি একইরকম। যেহেতু বেশিরভাগেরই চোখ নেই, আর চোখ থাক্লেও তারা যেহেতু আলাদা আলাদা ভাবে তাদের খাদ্য চিনতে পারে না, তাই বেশিরভাগ সময়ই তারা তাদের অন্যান্য ইন্দ্রিয় (Sensory organs) ব্যবহার করে। এই ইন্দ্রিয়গুলোকে তাদের কাজ অনুযায়ী নাম দেয়া হয়। যেমন, যেই ইন্দ্রিয় দিয়ে তারা আলো বুঝতে পারে, তাকে বলা হয় Photoreceptor (যেহেতু তারা আলো গ্রহন করে), যে ইন্দ্রিয় দিয়ে তারা স্বাদ ও গন্ধ বুঝতে পারে তাকে বলা হয় Chemoreceptor (স্বাদ ও গন্ধ বিভিন্ন রাসায়নিক মৌল বা যৌগ দিয়ে বুঝতে পারে), আবার যেই ইন্দ্রিয় দিয়ে তারা হোস্ট বা অন্যান্য তল (Surface) অনুভব করে তাকে বলা হয় Mechanoreceptor। তো, এই ইন্দ্রিয়গুলো সব পোকায় একসাথে থাকতেও পারে, আবার নাও থাকতে পারে। টিকের ফটোরিসেপ্টর ধ্বজ, ও দিয়ে কোন কাজ হয় না। তাই তাদের নির্ভর করতে হয় কেমোরিসেপ্টর এবং মেকানোরিসেপ্টরের উপর। তাদের এই ইন্দ্রিয়গুলি আবার সেই মাপের কাবিল। তাদের কেমোরিসেপ্টর বেশ দূর থেকেই তাদেরকে সংকেত দিতে পারে, আর মেকানোরিসেপ্টরের কাজ শুরু হয় হোস্টের গায়ে উঠে যাবার পর।
যেই টিককে তার জীবন ধারণের জন্য হোস্টের উপর উঠতে হবে, তারা মোটামুটি দলবেঁধে থাকে। দলবাঁধা ব্যাপারটি অনেক পোকার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়, যেমন, পিঁপড়া, মৌমাছি। তারা কিভাবে এই কাজটি করে তা নিয় গবেষণার অন্ত নেই। তবে মোটামুটি ভাবে জানা গেছে, ফেরোমন নামের একটি প্রোটিন (হরমোন) তাদেরকে এই কাজে সাহায্য করে। একটা সময় পর্যন্ত সবার ধারণা ছিল যে ফেরোমন শুধুই সেক্স হরমোন (শুধুমাত্র যৌন মিলনের সময় সঙ্গী খুঁজতে বা বেছে নিতে কাজ করে), কিন্তু প্রচুর টেকাটুকা খরচ করে, প্রচুর গ্র্যাড স্টুডেন্টের নাকের পানি, চোখের পানি ঢেলে গবেষনা করে দেখা গেছে যে, দলবদ্ধ ভাবে যে কোন কাজের জন্য পোকামাকড় ফেরোমন ব্যবহার করে। এবং কাজ অনুযায়ী তাদের নামকরণ করা হয়। যেমন, আমরা মজার কিছু দেখলে, বা মুফতে কোন খাওয়া পেলে যেভাবে বন্ধুদেরকে “ওই ব্যাটা, ফ্রি খাইতে হইলে জলদি ওইখানে আয়” বলে ডাকাডাকি করি, পোকারাও তেমন। যেহেতু তারা ডাকাডাকি করতে পারে না, তাই তারা ফুস করে কিঞ্ছিত ফেরোমন ছেড়ে দেয়। ওই ফেরোমনের গন্ধ শুঁকে বাকিরা বুঝতে পারে তাদেরকে কোন উদ্দেশ্য ডাকা হয়েছে। তাই কোথাও দল বাঁধতে হলে তারা ছেড়ে দেয় Aggregation ফেরোমন। যখন তারা এই ফেরোমনের ডাকে একত্রিত হয়ে ঘোট পাকায়, তখন তাদের মধ্যে শক্ত পোক্ত একজন যে কোন একটি পাতা বা ঘাসের ডগায় উঠে যায় এবং হোস্টের আগমনের জন্য অপেক্ষা করতে থাকে। ইতোমধ্যে একতাই বল নিয়ম মেনে একজন আরেকজনের পায়ের সাথে পা পেঁচিয়ে নেয় (Cling)। তারপর তারা বসে থাকে হোস্টের পথপানে (Questing)। এখন প্রশ্ন উঠতে পারে, তারা কিভাবে বুঝতে পারে যে ওই পথ দিয়ে হোস্ট যাবে? এইটা তাদের জন্য কোন ঘটনাই না। তারা যখন হোস্টের গা থেকে খসে পড়ে তখন তাদের স্বাস্থ্য বেশ ভালো থাকে, তাই তারা যেই জায়গায় পড়ে সেখান থেকে বেশিদুর যেতে পারে না। আর প্রাকৃতিকভাবেই তারা থাকে হোস্টের হাঁটাপথের কাছাকাছি জায়গায়। আজ হোক, কাল হোক ওই পথ দিয়ে হোস্ট যাবেই। সুতরাং, পথপানে বসে থাক, দিবসও গুনিয়া গুনিয়া।
ঘাসের গায়ে শিশিরের মত লেগে আছে টিক, কখন আসবে হোস্ট?
অতঃপর, কোন এক সময় অপেক্ষার প্রহর শেষ হয় কোন একটা হোস্টের আগমনে। হোস্টের আগমন তারা বুঝতে পারে তাদের কেমোরিসেপ্টর ব্যবহার করে। তারা তো আর হোস্ট চেনে না। তারা চেনে হোস্টের গা থেকে আসা কার্বন-ডাই-অক্সাইডের গন্ধ, মাটির কম্পন কিংবা আগে থেকেই হোস্টের গায়ে লেগে থাকা জাত ভাইয়ের ফেরোমনের মন আকুল করা গন্ধ। হোস্ট যখনি সেই গাছ/ঘাস ঘেঁষে যায় তখনি সেই শক্ত পোক্ত টিকটি তার একটি পা উঠিয়ে দেয় হোস্টের গায়ে। তাদের পায়ে থাকে আবার আনুবীক্ষনিক লোম। সেই লোম তাদেরকে যে কোন সারফেসে আটকে থাকতে সাহায্য করে। একটু যদি কোনমতে হোস্টের গায়ে লেগে যায় তার টানে পায়ে পায়ে লেগে থাকা বাকিগুলিও উঠে যায় হোস্টের গায়ে। ব্যস, খেল খতম, পয়সা হজম। এইবার হোস্টের গায়ে একটি সুবিধাজনক জায়গা দেখে শুরু করে রাজভোগ। অইদিকে বেচারা হোস্টের তো দফারফা।
খানাখাদ্যের স্থান (Feeding site)
এতবড় হোস্টের গায়ে উঠেই তারা কিন্তু খাওয়া দাওয়া শুরু করে না। প্রথমে তাদের দরকার হচ্ছে এমন একটু জায়গা যেখানে তারা শান্তি মত থাকতে পারবে। হোস্ট জিভ দিয়ে চেটে, কিংবা গাছের সাথে ঘষাঘষি করে তাদেরকে ফেলে দিতে পারবেনা। আবার সেই জায়গাটি হতে হবে নরম, যেখানে তারা সহজেই তাদের করাতের মত দাঁত চালাতে পারবে। এই রকম জায়গা আছে কয়েকটি, যেমন, চোখের বাইরের চামড়া, কানের ভিতরের ও বাইরের দিকের চামড়া, কুঁচকি (যদিও বেশিরভাগ হোস্টই এই জায়গার নাগাল পায়), জননাংগের বাইরের দিকের চামড়া এবং ঘাড়। এই জায়গাগুলি পছন্দ করার কারণ শুধু নরম বলেই নয়, এসব জায়গায় বেশ নরম এবং ছোট ছোট চুল থাকে যা তাদেরকে লুকিয়ে থাকতেও সাহায্য করে। তবে জায়গা কোন ব্যাপার না, হোস্ট পাওয়াই হল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। যাই হোক, জায়গা পাওয়া গেল, তারপর শুরু হয় তাদের খাদ্য গ্রহন প্রক্রিয়া যা আগের পর্বেই বলেছি।
এতখন টিক নিয় প্রচুর বকবক করেছি, কিন্তু টিক কেন গুরুত্বপূর্ণ তা আমরা এখনো জানি না। চলুন জেনে নেয়া যাক। পোকামাকড়ের গুরুত্ব সাধারণত দুই ভাবে করা হয়ে থাকে। একটি হচ্ছে অর্থনৈতিক গুরুত্ব (Economic importance), অন্যটি হচ্ছে জনসাস্থ্যগত গুরুত্ব (Public health importance)। আসুন দেখি টিকের ক্ষেত্রে এরা কি অবস্থায় আছে।
অর্থনৈতিক গুরুত্ব
টিকের অর্থনৈতিক গুরুত্ব বিবেচনা করলে তার আলো পুরোটাই পরবে গবাদি পশুর ইন্ডাস্ট্রির দিকে। একটি গরুর গায়ে যদি টিক ভালভাবেই সংক্রমিত হয় তাহলে তা সেই গরুর বাজার মুল্যকে কমিয়ে দেয় অনেকাংশেই। উত্তর ও দক্ষিন আমেরিকা, আফ্রিকা, এশিয়া এবং অস্ট্রেলিয়ার অর্থনীতির একটি বিরাট অংশ হচ্ছে গবাদি পশু এবং গবাদি পশুজাত পন্য। ধারণা করা হয়ে থাকে, একটি সুস্থ গরুর চেয়ে প্রায় অর্ধেক পন্য উতপাদিত হয় একটি টিক আক্রান্ত গরু থেকে, যদি গরুটির আর অন্য কোন সমস্যা না থাকে। শুধু অস্ট্রেলিয়াতেই, ১৯৭৪ সালে টিকের আক্রমনে গবাদি পশুশিল্পে ৬২ মিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছিল। ব্রাজিলে প্রতি বছর ক্ষতি হয় প্রায় ২ বিলিয়ন ডলার। এই ক্ষতির মুল কারণ তিনটি। প্রথমত, টিক যেই পরিমান রক্ত খায়, তাতে পশুটি ভয়াবহ রক্ত শুন্যতায় ভুগে। ফলে তার শারিরিক বৃদ্ধি ব্যহত হয়, রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থার উপর প্রচন্ড চাপ পড়ে, ফলে তার উতপাদিত পন্যের পরিমান ও কমতে থাকে। দ্বিতীয়ত, টিক প্রচুর পরিমানে রোগ-জীবানু ছড়ায়। এতে করে গবাদিপশু রোগাক্রান্ত হয়ে যায়। আর রোগাক্রান্ত পশু মানেই কম উতপাদন। তৃতীয়ত, শুধু যে মাংস এবং দুধের উতপাদন কমায় তাও নয়, টিকের কামড়ে পশুর চামড়ায়ও অনেক ক্ষতি হয়। টিকের লালায় অনেক ধরণের প্রোটিন থাকে, যা ক্ষতস্থানকে বরবাদ করে দেয়। এই রকম একটি দুটি না, শত শত ফুটাওয়ালা চামড়ার আর কোন মূল্যই থাকে না। টিক সংক্রমনের আরেকটি বড় অসুবিধা হচ্ছে দ্রুত ছড়িয়ে যাওয়া। একটি এলাকায় যদি কোনমতে একবার টিক ছড়িয়ে যায়, তাহলে তা আয়ত্বে আনার আগেই আরো ছড়িয়ে যায়। এই জন্যই কবি বলেন, টিক একটি অভিশাপ।
গবাদি পশুর গায়ে টিকের আক্রমন
জনস্বাস্থগত গুরুত্ব
গবাদি পশু বা অন্যান্য প্রানীর ক্ষেত্রে টিক যতটুকু ভয়ংকর মানুষের ক্ষেত্রেও ঠিক ততটুকুই ভয়ঙ্কর। বলা হয়ে থাকে, মশার পর টিক হচ্ছে পৃথিবীর বুকে সবচেয়ে বেশি রোগজীবানূ বাহক, এবং নর্থ আমেরিকায় তা এক নম্বর। মানুষের জন্য ভয়ানক এমন সব ধরণের জীবানু যেমন, ব্যাক্টেরিয়া, ভাইরাস, প্রোটোজোয়া, রিকেটশীয়াহ সহ বিষাক্ত রাসায়নিক (Toxin) টিকের কামড়ের মাধ্যমে ছড়াতে পারে। এসব জীবানুর আক্রমনে মানুষের লাইম ডিজিজ (Lyme Disease), রকি মাঊন্টেন স্পটেড ফিভার (Rocky Mountain Spotted fever), টিক বওর্ণ রিলাপ্সিং ফিভার (Tick borne relapsing fever), মেনিঞ্জোএন্সেফালাইটিস (Meningoencephalitis), বেবসিওসিস (Babesios), টিউলারেমিয়া (Tularemia), কলোরাডো টিক ফিভার (Colorado tick fever), হেমোরেজিক ফিভার (Hemorrhagic fever) এবং টক্সিনের কারনে প্যারালাইসিস হয়ে থাকে। এমন না যে এসব রোগ একেবারে প্রাণসংঘাতী, আবার এদেরকে হেলা করে উড়িয়েও দেয়া যায় না।
মানুষের গায়ে টিকের আক্রমন
বাংলাদেশে কি অবস্থা?
সত্যিকথা বলতে বাংলাদেশে টিকের অবস্থা কি এই নিয়ে আমার তেমন কোন ধারণা নেই। তবে ২০০৭ এর একটি গবেষণায় বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্ছলে ১২ প্রজাতির টিক দেখা গেছে। এই গবেষণাটি একযোগে বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের হয়েছিল। শুধুমাত্র বাংলাদেশেই টিক নিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন গবেষক ইউনিভার্সিটি অফ ন্যুইশাতেল, সুইজারল্যান্ড (University of Neuchâtel) এর সাথে যৌথ উদ্যোগে রাজশাহী অঞ্ছলে গবেষণা করেছেন। তার গবেষণাপত্রটি আমি হাতে পাইনি। আশা ছিল স্পেনের কনফারেন্সে (যার জন্য আমার ইউরোট্রিপ হয়েছিল) তার সাথে দেখা হবে, কিন্তু কোন এক কারণে তিনি আস্তে পারেননি। তবে বিভিন্ন ইনফরমাল গবেষণা এবং আলোচনা থেকে অন্তত এতটুকু বোঝা যায় যে বাংলাদেশে টিক এবং টিক বাহিত রোগ জনস্বাস্থ্য এবং গরু-ছাগু স্বাস্থ্যের জন্য বেশ হুমকি হয়ে আছে এবং যে কোন সময় তা প্রকট আকার ধারণ করতে পারে।
কিভাবে রোগ ছড়ায়?
টিক তার সমস্ত রোগ ছড়ায় তার লালার মাধ্যমে। এটা সে করে থাকে সাধারণত তার খাদ্যগ্রহনের সময়। খাদ্যগ্রহনের সময় সে অনবরত লালা নিঃসৃত করতে থাকে হোস্টের গায়ে। লালার সাথে আরো থাকে রক্ত থেকে পরিশোধিত পানি, যা সে হোস্টের গায়ে ফেরত দেয়। এই পানি এবং লালার সাথে চলে আসে জীবানুসমুহ। তারপর সেই জীবানু রক্তের মাধ্যমে পৌঁছে যায় তার গন্তব্যে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার সাথে পাল্লা দিয়ে তার কার্যক্রম চালিয়ে যায়।
লেগে গেলে ছুটাবেন কিভাবে?
এইটা এমন এক জিনিস, যে কোন মুহুর্তে যে কারো গায়ে লেগে যেতে পারে। বাচ্চকে নিয়ে পার্কে গিয়েছেন, বন্ধুবান্ধব নিয়ে পাহাড়ে গিয়েছেন, প্রেমিকাকে নিয়ে ঘাসে বসেছেন কিংবা গ্রামের নানাবাড়ির গরুটি দেখে আবেগাপ্লুত হয়ে তার সাথে কোলাকুলি করেছেন, অথবা ঘরে কোন পোষা প্রাণি আছে যার আবার ঘাসের উপর গড়াগড়ি করার স্বভাব আছে , এই ধরণের যে কোন অবস্থায়ই আপনি গায়ে করে নিয়ে আস্তে পারেন এক বা একাধিক রক্তচোষা। প্রথমদিকে টের পাবেন না, আর পরে টের পেলেও তা ছাড়ানোও আরেকটি ছিরিংখলার ব্যাপার। শুধু মনে রাখতে হবে, এটিকে মশার মত থাবড়া দিয়ে মারলেন আর ফুঁ দিয়ে উড়িয়ে দিলেন, তা হচ্ছে না। এটিকে খালি হাতে টেনে তোলাও বিপদজনক। এতে করে তার মুখের কোন একটা অংশ ভেঙ্গে শরীরে রয়ে যেতে পারে। ভ্যাসেলিন, আগুন, এল্কোহল, শেভিং লোশন, লবন এসবের কোনটাই ব্যবহার করা যাবে না। কারন, এর সমস্ত ক্ষতি করার সরঞ্জাম ঢুকে আছে শরীরের ভিতরে। তাই আপনাকে যা করতে হবে তা হচ্ছে, সবার আগে মাথা ঠান্ডা করতে হবে (অবশ্য গরম হওয়ারও কিছু নাই), তারপর একটি চিমটা (ফরসেপ) খুঁজে নিতে হবে। এবার চামড়ার যেই জায়গায় টিকটি লেগে আছে সেখানে যথাসম্ভব চামড়ার কাছাকাছি টিক্টির মুখের অংশ চেপে ধরতে হবে। তারপর উপরের দিকে টান্তে হবে। হ্যাচকা টান নয়, আবার খুব আস্তেও নয়, তবে বেশ জোর দরকার হবে। প্রথম দিকে আসতেই চাইবে না। মনে হবে এ জিনিস ছাড়ানো যাবে না। কিন্তু ক্রমাগত টান্তে থাকলে এক সময় ছুটে আসবে। তারপর টিকটিকে একটি স্কচটেপের ভিতরে ভরে রেখে দিন স্যুভেনির হিসেবে। এখানে ছোট্ট একটি
ভিডিওক্লিপ দিয়ে দিচ্ছি কিভাবে টিক ছুটাতে হবে তার উপর।
এইতো...
টিক নিয়ে বলার মত আর তেমন কিছু খুঁজে পাচ্ছি না। তবে কারো যদি কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে মন্তব্যে উত্তর দেওয়ার আশা রাখি।
মন্তব্য
হুমম, আসলেই
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
হ, এইতো আপনি ধরতারছেন
-----------------------------------------------------------
আঁখি মেলে তোমার আলো, প্রথম আমার চোখ জুড়ালো
ঐ আলোতে নয়ন রেখে মুদবো নয়ন শেষে
-----------------------------------------------------------
ডরাইছি
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
কিয়ের ডর, ম্যা হু না?
-----------------------------------------------------------
আঁখি মেলে তোমার আলো, প্রথম আমার চোখ জুড়ালো
ঐ আলোতে নয়ন রেখে মুদবো নয়ন শেষে
-----------------------------------------------------------
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
-----------------------------------------------------------
আঁখি মেলে তোমার আলো, প্রথম আমার চোখ জুড়ালো
ঐ আলোতে নয়ন রেখে মুদবো নয়ন শেষে
-----------------------------------------------------------
ভয় পাইলাম।
ভয়ের কি আছে? ব্যাঙের গায়ে এই জিনিস লাগে, ব্যাঙের ছাতার গায়ে লাগে না।
-----------------------------------------------------------
আঁখি মেলে তোমার আলো, প্রথম আমার চোখ জুড়ালো
ঐ আলোতে নয়ন রেখে মুদবো নয়ন শেষে
-----------------------------------------------------------
হ, টিক নিয়া সব পয়েন্টে টিক মারা শ্যাষ। এই বার ঝে ঝে ঝার ঝার মত টিকা-টিপ্পনী দ্যান। আমার কাচে তো আগেই কইসি, টিক একটা দু:স্বপ্ন। এমন কি কেউ ঝদি কয় টিকালো নাক, আমার মনে টিক-ওয়ালা নাকের ছবি ভেসে উঠে!
লেখা খুব ভাল লাগলো। একটা অতি নচ্ছার জিনিস খুব-ই সরস ভাবে উপস্থিত করা হয়েছে।
পরের লেখার অপেক্ষায় থাকলাম।
- একলহমা
অপেক্ষায় থাকে কাউয়া, পাকিলে খাইবে ডেউয়া
-----------------------------------------------------------
আঁখি মেলে তোমার আলো, প্রথম আমার চোখ জুড়ালো
ঐ আলোতে নয়ন রেখে মুদবো নয়ন শেষে
-----------------------------------------------------------
বাপরে
ইসরাত
হ...বাপরে
-----------------------------------------------------------
আঁখি মেলে তোমার আলো, প্রথম আমার চোখ জুড়ালো
ঐ আলোতে নয়ন রেখে মুদবো নয়ন শেষে
-----------------------------------------------------------
আপনার লেখা তো ভালো হইছে কিন্তু এটা পড়ার পর থেকে তো আমি পরলাম এক যন্ত্রনায়। এখন যেদিকে তাকাই, যেদিকে বসি, সব জায়গায় খালি মনে হয় টিক আছে।
এইবার বুঝেন এই জিনিস নিয়া আমার দিন রাত কাটসে ৩ টা বছর। লাইফটা পুরা জেবন হয়ে গেছিল। তবে ভয়ের কিছু নাই। আপ্নের আশেপাশে এই জিনিস নাই।
-----------------------------------------------------------
আঁখি মেলে তোমার আলো, প্রথম আমার চোখ জুড়ালো
ঐ আলোতে নয়ন রেখে মুদবো নয়ন শেষে
-----------------------------------------------------------
বাপরে!!! পুরা গুষ্ঠির হিস্টুরী আসছে। , (স্বপ্নীল সমন্যামবিউলিসট)
হ, নাইলে তো আপ্নেরা আবার বিশ্বাস করবেন না।
-----------------------------------------------------------
আঁখি মেলে তোমার আলো, প্রথম আমার চোখ জুড়ালো
ঐ আলোতে নয়ন রেখে মুদবো নয়ন শেষে
-----------------------------------------------------------
হ্যাচকা টান নয়, আবার খুব আস্তেও নয়, তবে বেশ জোর দরকার হবে। প্রথম দিকে আসতেই চাইবে না। মনে হবে এ জিনিস ছাড়ানো যাবে না। কিন্তু ক্রমাগত টান্তে থাকলে এক সময় ছুটে আসবে। ব্যাপক ছিরিংখলা’র ব্যাপার!
আবার জিগায়। তবে মজার জিনিস হচ্ছে, এত টানাটানি করলেও কিন্ত ব্যাথা লাগে না। খালি টানটাই অনুভুত হয়।
-----------------------------------------------------------
আঁখি মেলে তোমার আলো, প্রথম আমার চোখ জুড়ালো
ঐ আলোতে নয়ন রেখে মুদবো নয়ন শেষে
-----------------------------------------------------------
টিক একটি অভিশাপ।
নতুন বাসায় যে বজ্জাতেরা ছিল বা আছে তাদের নাম (Cimex lectularius)
facebook
আপ্নের জেবন ত শ্যাষ। চিমেক্স লেক্টুলারিস হইল বেড বাগ। কন্ট্রোল না করলে জীবন বরবাদ। আর আপ্নের কেস তো আরও খারাপ। আপ্নে যেই হারে ঘুরাঘুরি করেন, আপ্নে নিজেই তো দুইদিন পর একটা অভিশাপ হয়া যাবেন পাব্লিকের কাছে। সাবধান। প্রটেকশন ( ) নেন। নাইলে কিন্তু শেষ।
-----------------------------------------------------------
আঁখি মেলে তোমার আলো, প্রথম আমার চোখ জুড়ালো
ঐ আলোতে নয়ন রেখে মুদবো নয়ন শেষে
-----------------------------------------------------------
বেড বাগের খাঁটি বাংলা নাম হইল ছারপোকা, দুনিয়ার সবচেয়ে ভয়ঙ্কর চীজ। একমাত্র চিকিৎসা হইল ডায়াটোমেশিয়াস আর্থ, ই-বে তে পাবেন।
-- রামগরুড়
-
ছবিতে, গরুর গায়ে এইগুলো টিক নাকি টিকের বাসা?
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
অইগুলি টিক। টিকের বাসা হয় না, বস্তি হয়। ছবি দেখতে চাইলে একটু কষ্ট করে গুগুল করেন। এইখানে ছবি দিলাম না, অনেকে সহ্য করতে পারবে না।
-----------------------------------------------------------
আঁখি মেলে তোমার আলো, প্রথম আমার চোখ জুড়ালো
ঐ আলোতে নয়ন রেখে মুদবো নয়ন শেষে
-----------------------------------------------------------
ডরাইছি
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ডরাইলেই ডর, হান্দাইয়া দিলে কিয়ের ডর? ডরের কিছু নাই, ডরকে আগে জিত হ্যায়...
-----------------------------------------------------------
আঁখি মেলে তোমার আলো, প্রথম আমার চোখ জুড়ালো
ঐ আলোতে নয়ন রেখে মুদবো নয়ন শেষে
-----------------------------------------------------------
খুব ভালো পোস্ট লেখা দারুণ উপভোগ্য। যেহেতু এটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় নিয়ে লেখা। আপনি মজা করে কিছু বানান লিখেছেন দেখলাম। বলা তো যায় না একাডেমিক কাজেও এটা ব্যবহার হতে পারে। যারা আমাদের মত ব্লগীয় ভাষায় রপ্ত নন, তারা ভাববেন ব্যাটা দেখি ভানামই জানে না ঠিকমত
আপনার উল্লেখিত কাহিনি বাদে অন্যভাবে কী টিক উড়ে এসে জুড়ে বসতে পারে? যেমন পাশের বাড়ির অতি গায়েপরা কুকুরটার কাছাকাছি আছি কিন্তু তারে একদমই ছুঁইনাই। ধুরো! এখন তো সদাই থাকবো ত্রাসে, টিক নচ্ছার কখন আসে, কখন আসে বুট পরা থাকলে তো ব্যাটার আসতে পারার কথা না নাকি? কি যন্ত্রণা এই গরমে বুট পরবে কে রে
এইটা তো একাডেমিক গ্রেডের লেখা না। কারো একাডেমিক কাজে লাগ্লে প্রোপার রেফারেন্সসহ ঝাপাইয়া পড়বোনে। আর বানান একটা ঘোচু
টিকের সবচেয়ে বড় অসুবিধা এইটাই। টিক উড়তে পারেনা। যদি পারতো তাইলে এইটাই পৃথিবীর সবচেয়ে ভয়ংকর জিনিস হইত। টিক কখন আসে এইটা কেউ কইতারেনা। পাশের বাড়ির গায়ে পরা কুকুরের সাথে যদি ঘষাঘষি না করেন তাইলে সম্ভাবনা অনেক কম। বুট পরা থাকলে আসতে পারে। তবে বুট পরে তার ভিতর প্যান্টস গুজে দিয়ে, প্যান্টস এর উপর সুপারম্যানের মত মোজা পরলে সম্ভাবিলিট কম থাকে। আবার বাজারে কিছু রিপিল্যান্ট পাওয়া যায়। তবে অইগুলি তেমন একটা কামের না। কামের জিনিস ছিল ডিডিটি, কিন্তু ওইটা ত পৃথিবীর সব দেশে বন্ধ কইরা দিসে। আফসুস...বিরাটা আফসুস।
লেখা পড়ার জন্য
-----------------------------------------------------------
আঁখি মেলে তোমার আলো, প্রথম আমার চোখ জুড়ালো
ঐ আলোতে নয়ন রেখে মুদবো নয়ন শেষে
-----------------------------------------------------------
আতংকে আসল প্রশ্ন করতেই ভুলে গেছি আচ্ছা কিভাবে বুঝবো আমি কিংবা অন্য কেউ টিক্রান্ত?
সেরকম কোন লক্ষন থাকে ? যেমন ইচি হওয়া, মাথা ঝিমঝিম পিনপিন টাইপ কিছু?
খুবই ভাল প্রশ্ন। সাধারণত বাইরে থেকে আসলে আগে চেক করে নিতে হবে যে শরীরের কোথাও কিচু লেগে আছে কিনা।
যদি লেগে থাকে আরে কামড়ায়, এবং রোগ ছড়িয়ে দেয়, তাহলে কমন উপসর্গ হচ্ছে জ্বর, গায়ে ব্যাথা, গায়ে র্যাশ উঠা, মাথা ব্যাথা। এরপর আরো গাঢ় হয়ে গেলে রক্তক্ষরণ সহ আরো জটিল উপসর্গ দেখা দিতে পারে।
-----------------------------------------------------------
আঁখি মেলে তোমার আলো, প্রথম আমার চোখ জুড়ালো
ঐ আলোতে নয়ন রেখে মুদবো নয়ন শেষে
-----------------------------------------------------------
এমনিতেই পলেন আর ডাষ্ট এলার্জি নিয়ে বাঁচিনা তার উপ্রে এই টিকের যন্ত্রণা। মাথা খ্রাপ কুকুর আমার একটুও পছন্দ নয়। কেন জানিনা কুকুরটা আমাকে পছন্দ করে কী আজব ব্যাপার এতদিন এ বিষয়ে সেভাবে জানা ছিল না বলেই হয়ত সেরকম কোন চিন্তা হয়নি। পোস্ট দিয়ে দিলেন তো চিন্তা ধরায়ে লক্ষণ গুলো বলায় খুব ভালো হলো ভাইয়া। অনেক ধন্যবাদ। এইবার সেই আড্ডা পোস্টের মত উড়াধুরা একটা পোস্ট দিন তো
আরে বাউল ভাই,
টিক আর টকের মাঝখানে আপনারে হাচলাভিনন্দন জানাই নেই এইবেলা।
লেখা ভালু হইছে তয় আপনার সেই ঐতিহাসিক ভ্রমন কাহিনী কই গেল?
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
ধন্যবাদ, ধন্যবাদ...
ঐতিহাসিক ভ্রমনকাহিনি এখন নিজেই একটা ইতিহাস।
আসবে...ইতিহাস আবার জেগে উঠবে।
-----------------------------------------------------------
আঁখি মেলে তোমার আলো, প্রথম আমার চোখ জুড়ালো
ঐ আলোতে নয়ন রেখে মুদবো নয়ন শেষে
-----------------------------------------------------------
শেষ ছবি দেখে ভয় পাইছি।
ভয়ের কিছু নাই, ওইটা ব্লাড পুলের ছবি। ব্যাপার না।
-----------------------------------------------------------
আঁখি মেলে তোমার আলো, প্রথম আমার চোখ জুড়ালো
ঐ আলোতে নয়ন রেখে মুদবো নয়ন শেষে
-----------------------------------------------------------
এইটার আঞ্চলিক নাম কি হ্যারা পোকা? (স্বপ্নীল সমন্যামবিউলিসট)
কইতারিনা তো। আগের পর্বে কয়েকজন কইছিলেন এইগুলিরে নাকি দেশে আঠালি কয়। আপনি তো আবার নয়া নাম নিয়া আইলেন। আমি তো এখন কিঞ্ছিত কনফিউজিতো।
-----------------------------------------------------------
আঁখি মেলে তোমার আলো, প্রথম আমার চোখ জুড়ালো
ঐ আলোতে নয়ন রেখে মুদবো নয়ন শেষে
-----------------------------------------------------------
হ্যাপা পোকা হইলে আরো বাস্তবসম্মত হইত
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
ফেরোমোনের কথা পড়ে পিঁপড়া নিয়ে একটা বইএর কথা মনে হল -- বার্ট হোল্ডোবারের "এন্ট", পুলিৎজার পুরষ্কার পাওয়া (নন-ফিকশন ক্যাটাগরিতে)। সংগ্রহে রাখার মত বই।
-- রামগরুড়
লেখা পোস্ট করার আগেই গাট্টি -বোঁচকা বাইন্দা বাড়িত চইলা আইছিলাম। নেহাত কপালজোরে গরিবের হাতে একখান এন্ড্রয়েড ফোন আসাতে আইজকা এই জিনিস চউক্ষে পড়লো। এখন ক্যামুন জানি গা চুল্কায়। কি ডর দেখাইলেন মামু!!!!
ফেলিসিতাশিওঁ, গৃহবাসী বাউল। আপনি কবে সম্মানিত গেস্ট হয়েছেন বুঝতে পারিনি! এখন আপনার নামের পাশের এক্সটেনশনটা দেখে যার পর নাই খুশী হ’লাম
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
নতুন মন্তব্য করুন