গত তিন বছর ধরে প্ল্যান করছি শিব চর্তুদশীর মেলার সময় চন্দ্রনাথ যাব। কিন্তু নানান ঝামেলার কারনে যাওয়া হয়ে উঠেনি। অবশেষে ঈদের পরের দিন চন্দ্রনাথ ধাম দর্শন করে আসলাম। সাথে বোনাস হিসাবে সীতাকুন্ড ইকোপার্ক। আমরা ছয়জন ঈদের দিন সন্ধ্যায় ফেনীতে এক বন্ধুর বাসায় উঠলাম। পরদিন ভোর ৬.৩০ টায় আমরা ৭ জন সীতাকুন্ডের উদ্দ্যেশে যাত্রা করলাম।
‘প্রার্থনা’ নাম দিয়ে রবিঠাকুর ওই যে কথাগুলো বলেছেন তা নেহাতই অস্বাভাবিক। প্রার্থনা মানেই হল মাথা নিচু করে, হাঁটু গেড়ে বসে, শক্তিশালী কারো কাছে কিছু চাওয়া-পাওয়ার জন্য অনুনয়-বিনয়, পীড়াপিড়ি করা। আর প্রার্থনা ব্যাপারটাই ভয় থেকে উদ্ভূত। প্রিয়জনের অমঙ্গল হওয়ার ভয়। জীবন-যৌবন-সম্পদের ক্ষতি হওয়ার ভয়। মৃত্যুভয়। মৃত্যুর পরে স্বর্গলাভ থেকে বঞ্চিত হওয়ার ভয়। দেবতার স্নেহচ্ছায়া থেকে বিচ্যুত হওয়ার ভয়। কে না জানে, উনি অত্যন্ত স্নেহবান ও প্রীতিপরায়ণ, কেবল তাঁকে পাল্টা ভালবাসতে এতটুকু বিচ্যুতি বা অস্বীকৃতি মানেই ইহকাল ও পরকালে অনন্ত নরক...
প্রার্থনা শব্দের ভদ্র, প্রচলিত অর্থখানা নিয়েই বরং আজকের ফটোগ্রাফি দিবসে দুটো ছবি আপনাদের দেখাই।
লেদ্রো হ্রদের নাম আমার পরিচিত অনেকে শুনে থাকলেও যায়নি বা যেতে পারেনি কোনদিন। যাবার একমাত্র রাস্তাটা অনেকেই চিনে …… ইতালির বিখ্যাত গারদা হ্রদকে না ছুঁয়ে বা না দেখে লেদ্রো উপত্যকায় পা ফেলার কোনও উপায় নেই। ঝামেলাটা ওখানেই, গারদা লেকের(lago di garda) বিশালতা আর এর চারপাশ ঘিরে গড়ে উঠা পর্যটন শিল্পের অত্যাধুনিক অবকাঠামো আটকিয়ে দিবে ছুটির আনন্দ অন্বেষণে ঘরছাড়া টুরিস্টকে। কে যাবে বলুন ৩৭০ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের গারদা লেক ছেড়ে ওই ২ বর্গকিলোমিটার আয়তনের পুঁচকে লেদ্রো লেকে? আমি কিন্তু যাই, আমার মত যারা পাহাড় ঘেরা এক শান্ত উপত্যকায় একটু আপন করে পেতে চায় প্রকৃতিকে তারা গরমের ছুটিতে ভিড় করে লেদ্রো উপত্যকায়। শখের ট্র্যাকিং জুতোজোড়া আর কাঁধের ঝোলা ছাড়াও এবার সাথে থাকছে DIANA।
মেলায় যাবেন? আরে, নানা, এক্সপো-টেক্সপো নয়। এ হল গিয়ে আপনার রাসমেলা। বাংলা অঘ্রান মাসের পূর্ণিমা তিথিতে শুরু হয়ে টানা পনের দিন। তারপর ভাঙা মেলা তো আছেই। না, ভাঙা মেলা থাক। আজ বরং একটা গোটা মেলার গল্প শোনাই। গল্প অল্পই আছে, সাথেথাক কাঁচা হাতের ক-খান হাতেগরম ছবি।
কাম্পোফনতানা(campofontana)এক পাহাড়ি জনপদ যেখানে একাধিক গুচ্ছগ্রাম(contrada)মিলিয়ে সর্বমোট ১১২ জন মানুষের বসবাস। পাহাড়ের ঢালে ৫/৬টি পরিবার নিয়ে গড়ে উঠে এক গুচ্ছগ্রাম। জীবিকার তাগিদে এই পরিবারগুলি বংশ পরস্পরায় করে আসছে পশুপালন আর কৃষিকাজ। আদিম এই পেশায় নেই কোনও ধরাবাঁধা ঘণ্টাসূচী, শহুরে মানুষদের মতন উইকএন্ডের সকালে লেপমুড়ি দিয়ে বিছানায় একটু আড়মোড়া দেয়ার অবকাশ নেই কাম্পোফনতানাবাসির। দুধ ধোয়াতে উঠতে হবে বছরের প্রতিটি দিন ভোরের আলো না ফুটতেই।
[justify]লিসবেথ নামের আমাদের এক বয়স্ক সহকর্মী তার প্রতিদিনের পত্রিকাটি পড়া শেষ হলে আমার বউ এর টেবিলে রেখে যায় যেন অন্তত হেডলাইন গুলোতে চোখ বুলাতে গিয়ে অথবা কোন পৃষ্ঠার ছবি দেখে উৎসাহী হয়ে খবরটি পড়ার চেষ্টা করে এবং ধীরে ধীরে নরওয়েজিয়ান ভাষাটা শিখে ফেলে!
না কোন আলাদা রাজ্য নয়। বরং বাংলা, মানে পশ্চিমবঙ্গের মধ্যেই উত্তর দিকের জেলাগুলো নিয়ে অশোকস্তম্ভের ছাপমারা সরকারী দপ্তর কিংবা ঘেমো আম আদমির প্রাত্যহিক আলাপচারিতা – সবেতেই হাজির উত্তরবঙ্গ। প্রথমেই বলে রাখা ভালো, আজকের প্রবল গ্লোবাল ঝড়ে ভাসতে ভাসতেও যেখানে জন্মেছি, বড় হয়েছি, কাজকম্ম করে বেচে বর্তে আছি, মন ভালো লাগলে বা খারাপ লাগলে যে পথ, জনপদ বা পাহাড়ে ছুটে যাই বারংবার, একটু সফট কর্ণার থাকবে না