পালাজ্জো রেজ্জোর ভেতরে। অসংখ্য ফ্রেস্কো সমৃদ্ধ এই বিশালাকার ঘরে একটি দানবাকৃতির ঘোড়া অতীতকে জানান দিয়ে যাচ্ছে যেন।
গল্পটা শুরু হোক ভারতীয় আলোকচিত্রী রঘুবীর সিং কে দিয়ে। বলা হয়ে থাকে রঘুবীর সিং পশ্চিমা কোনো দেশে জন্ম নিলে রঙিন আলোকচিত্রের ইতিহাস অন্যরকম হতে পারতো।
তো সেই রঘুবীর সিং হাইস্কুলে পড়ার সময়ে কোনো এক অলস দুপুরে পারিবারিক লাইব্রেরীতে আবিষ্কার করেন অঁরি কার্তিয়ে ব্রেসোর “বিউটিফুল জয়পুর” নামের বইটি। এই বইটিই পরবর্তিতে রঘুবীর সিং-এর ভবিষ্যত যাত্রাপথ নির্ধারন করে দেয়। তারও একযুগ পরে একদিন বিকেলে রঘুবীর তাঁর সদ্য প্রকাশিত দুটি আলোকচিত্রের বই বগলদাবা করে হাজির হলেন তার প্রিয় আলোকচিত্রী কার্তিয়ে ব্রেসোর ভিলায়। ততোদিনে রঘুবীর নিজেও প্যারিসে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেছেন।
সারা দিনের কাঠফাঁটা রোদ, ধূলো, ধোঁয়া এর পরে যখন আকাশ কালো করে বৃষ্টি নামে তখন নিজের ভেতরে সত্যিই এক অদ্ভুত অনুভূতি হয়। যেন, প্রকৃতির সাথে সাথে নিজের ভেতরটাও ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে যায়। রবি ঠাকুরের ভাষায়-
বরিষ ধরা-মাঝে শান্তির বারি ।
শুষ্ক হৃদয় লয়ে আছে দাঁড়াইয়ে
ঊর্ধমুখে নরনারী ।।
না থাকে অন্ধকার, না থাকে মোহপাপ,
না থাকে শোকপরিতাপ ।
ফ্লোরেন্সের অনবদ্য গির্জা সান মিনিয়াতো আল মন্তের পাশেই রয়েছে ছোট্ট একটি কবরস্থান। সেখানে বিভিন্ন কবরের ওপর নানান ভাস্কর্য পুরো গির্জাটির সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিয়েছে বহুগুণ।
রেমা'র জঙ্গলে পেয়ে গেলাম প্রায় হারিয়ে যেতে বসা বাংলা শকুন
আমাদের ছোটবেলায় শকুন নিয়ে অনেক স্মৃতি ছিল।
এই ডাঙা ছেড়ে হায় রূপ কে খুঁজিতে যায় পৃথিবীর পথে।
বটের শুকনো পাতা যেন এক যুগান্তের গল্প ডেকে আনে:
ছড়ায়ে রয়েছে তারা প্রান্তরের পথে পথে নির্জন অঘ্রানে;-
আসলেই তাই! আজকের পর্বের সব ছবি তাই বাংলার পথে প্রান্তরে তোলা, যা দেখে কবি এঁকেছিলেন সেই সব অসাধারণ শব্দমালা।
পৃথিবীর অন্ধকার অধীর বাতাসে গেছে ভ’রে —
শস্য ফলে গেছে মাঠে — কেটে নিয়ে চলে গেছে চাষা;
নদীর পারের বন মানুষের মতো শব্দ করে