আফ্রিকা ছেড়েছি বেশ কমাস হল। কাজের ফাঁকে আর নানা ব্যস্ততার মাঝে প্রকৃতি আর মানুষের গড়ে তোলা নানা মুহূর্তরাই ধরা দিয়েছে ফেলে আসা দিন গুলোতে। অনেক কিছু আজও রয়েছে এই মনের ফ্রেমে বন্দী আর যা পেরেছি তার ছিটেফোঁটা ধরে রাখতে চেষ্টা করেছি ক্যামেরার ফ্রেমে।
নদী কি শুধু একটা ভৌগলিক বর্ণণা? উৎস, উচ্চগতি, মধ্যগতি, নিম্ন গতি, মোহনা? অথবা শূণ্যস্থান পূরণ কর: ............ হিমবাহ থেকে তিস্তা নদী উৎপন্ন হয়েছে?
অনেক দিন লেখা হয়না। কারণটা মূলত সময়াভাব। তার উপর আমি যেসব বিষয় নিয়ে লিখি তার জন্য দরকার উপযুক্ত পরিবেশ। শতশত মৃত্যু, রাজনৈতিক অস্থিরতা, আবারো মৃত্যু, পিটিয়ে হত্যা, গুলি করে হত্যা, আগুন দিয়ে হত্যা ইত্যাকার ঘটনাপ্রবাহের মধ্যে প্রকৃতিপ্রেম-ট্রেম মানুষ খুব একটা পছন্দ করে না। তার উপর আমি দিনকে দিন মানসিক ভাবে দূর্বল হয়ে যাচ্ছি। এত মৃত্যু আর হতাহতের ছবি কিংবা খবর সবই সযতনে এড়িয়ে চলি। নিজেকে ফাঁ
মাথাভর্তি যন্ত্রণা। সারাদেশে একের পর এক দুর্ঘটনা। নির্মম মৃত্যু। হাহাকার। সাভার ট্র্যাজেডি কাঁপিয়ে দেয় ভেতরটা। আজকাল নিজের মুখোমুখি হতে ভয় হয়। আয়নার নিজের চেহারাটা দেখে অপরাধ বোধ হয়। কেন বেঁচে আছি, এই মৃত্যুপুরীতে! এ এক ট্রমাটিক পিরিয়ড। পত্রিকা, টিভি, ব্লগ, ফেসবুকে রাতদিন মুখোমুখি বসে থাকি দুঃসময় আর অসহায়ত্বের হাত ধরে। মুক্তি নেই!
বন্দী হয়ে আছি কতদিন; চারদেয়াল নয়, হাজার হাজার দেয়ালে বন্দী! ভাবলাম, আজ অন্তত ঘরের দেয়ালটা ছেড়ে কোথাও যাবোই। বাইরে ঝাঁ-ঝাঁ রোদ। মধ্য বৈশাখের দুপুরটা তেঁতিয়ে উঠেছে তীব্রভাবেই।
রিকশায় চেপে লালদীঘি। গন্তব্য জব্বারের বলীখেলা।