নির্ঘুম রাতগুলি আমাকে অতীতের কাছাকাছি নিয়ে যেতে পারেনা। আবার আমি হতে পারি না বাস্তবমুখী। কিংবা 'আলাদা' কিছু করে দেখানোর রুচিও নেই আজকাল। তাহলে ? বিশ্বাস এবং অবিশ্বাস এই দুই এর পরের কোন যায়গা আছে কি? থাকবে নিশ্চয়ই; আপাতত সেই যায়গাই আমার জন্যে বরাদ্দ থাকুক। ভয়, সংশয়, আঁধারের পর আলোর জন্য প্রতীক্ষা করা ছেড়েছি সে বহুদিন আগে। তবে আলো এবং আঁধারের মাঝেও তো কিছু থাকতে পারে?
শীতের মধ্যে হুট করে কুয়াকাটা যাওয়ার পিনিক উঠলো- সাগর দেখিনা বহুদিন। পোলাপাইন অর্থাৎ রিমন,কিরন, আমি মিলে সিলেট থেকে রওনা দিলাম ঢাকা, ঢাকায় তাবু রাখা ছিল- ঢাকায় জুটলো দুইজন- রফি ভাই এবং তুর্য। ঠিক হল তিন দিন এর ট্যুর হবে সুতরাং তিন দিনের রসদ কিনে নিলাম রেডি মিক্স খিচুড়ি, নুডুলস- চকোলেট, চা চিনি ইত্যাদি- বালিশ ছিলনা পাঁচ টা ইনফ্লাটেবল বালিশ কিনে নিলাম বায়তুল মোকাররম থেকে। সিলেটে এবং ঢাকায় তখন
চারদিকে উঁচু পাহাড়। মাঝে উপত্যকা। একটু উচুতে একটা হেলিপ্যাড। এখানে ওখানে মিলিটারির টলদারি। জলপাইরঙা সেনা ট্রাক। অনেকটা কম্পিউটার গেমস আই জি আই এর মত মনে হচ্ছে না সেটিংটা? হ্যা, ‘অনেকটা’ই লিখলাম। সেনা আছে, টহলদারিও আছে। কিন্তু সাইরেন নেই। লুকোনো শত্রুপক্ষ নেই। রক্ত নেই। ঠাঁ ঠাঁ বন্দুকবাজি নেই। তাহলে?
স্বর্ণমন্দির থেকে বের হয়ে আমরা মধ্যাহ্ন ভোজনের জায়গা খুঁজতে লাগলাম। আমাদের দলের নতুন সদস্য উজ্জ্বলের উপদেশে “ফিস্ট” নামের রেস্টুরেন্টে ঢুকলাম। বান্দারবান এসে পোলাউ করমা খাওয়ার আগ্রহ কারও দেখা গেল না। তার চেয়ে সাদা রূপচাঁদা মাছ, চিংড়ী শুঁটকী ভর্তা (যদিও আমি এই দলের না), টাকি মাছের ভর্তা আর সবজি ভাজি হ্যাঁ ভোটে জয়যুক্ত হল। মাছের স্বাদের তুলনা নেই