লেখাটি গতকাল দিতে চেয়েছিলাম কিন্তু পারিনি। একাত্মতা জানিয়েছি আন্দোলনের শুরুতেই। সশরীরে যতটুকু সম্ভব চেষ্টা করছি থাকার। কয়েকটি জিনিস লক্ষ্য করলাম। হয়তো আমার দৃষ্টিভঙ্গিটা ভুল, অন্য কোনও দিক থেকে দেখলে অন্যরকম দেখাবে; এটা শুধুই আমার কাছে যা মনে হয়েছে সেটা বলছি। আশা করি কেউ ব্যক্তিগত ভাবে নেবেন না।
কাদের মোল্লাসহ সকল যুদ্ধাপরাধী সকল রাজাকারের ফাঁসির একদফা এক দাবিতে বুধবার সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়। এতে কাদের মোল্লাসহ মানবতাবিরোধী সব অপরাধীর ফাঁসির দাবিতে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) থেকে কয়েক শ’ সংস্কৃতিকর্মীসহ সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জড়ো হয়েছে ছাত্র জনতা। রাত সাড়ে ৭ টায় বক্তব্যে জনপ্রিয় লেখক ও আমাদের প্রিয় শিক্ষক ড.
০৫-০২-২০১৩
কিংকর্তব্যবিমূঢ়
হ্যাঁ, কালকে রাজাকার কসাই কাদের মোল্লার রায় শোনার পরে এটাই ছিল আমার মানসিক অবস্থা। কতক্ষণ এদিক ওদিক করলাম, ইন্টারনেট এ খবরগুলো একে একে দেখলাম, পরে বাসায় টিকতে না পেরে গেলাম বইমেলা। সেখানে একা একাই ঘুর ঘুর করছিলাম, দেখা হয়ে গেল সুহান এর সাথে। সেই একই আলোচনা, কি হলো এটা!! এরপরে রাতে হিমুদার থেকে সংগ্রহ করা রায়ের কপি পড়ে কাটলো। রায় দেখে, যুক্তি দেখে, কিছুক্ষণ চুপ করে বসে রইলাম।
কুখ্যাত রাজাকার কাদের মোল্লার একাত্তরে ৩৪৪টা খুনের ঘটনা প্রমাণিত হবার পরেও নামমাত্র যাবজ্জীবন শাস্তি ঘোষণার প্রতিবাদে ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ তারিখ বিকাল সাড়ে তিনটায় ঢাকার শাহবাগে জড়ো হন ব্লগার এবং অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টরা। পরে সেদিন রাত থেকেই এটা কাদের মোল্লাসহ সব যুদ্ধাপরাধী রাজাকারের ফাঁসির দাবীতে সর্বস্তরের মানুষের গণআন্দোলনে পরিণত হয়। সেখান থেকে তোলা কিছু ছবি-
দুইদিন আগে এক লাফানোতে ওস্তাদ মানুষ খবর দিল, "জানিস নাকি ২ তারিখে সকালে কার্নিভাল আছে। যাবি?"
চিন্তা করলাম সারা সেমিস্টার পড়ি নাই, ছুটির দিনে একটু পড়লে পরের সপ্তাহের পরীক্ষাটা উৎরানো যাবে।তাছাড়া ছুটির দিনে সকাল ১০টায় ঘুম থেকে উঠলে লোকে কি বলবে? বলে দিলাম, "না!!"
জবাব আসল, "সাম্বা কিন্তু!!"
উত্তর দিলাম,"সেটা আগে বলতে হবে তো, ঘুম থেকে ডাইকা তুইলো।"
গান শিখতে হলে নিয়মমাফিক রেওয়াজ করা বাধ্যতামূলক, ছবি আঁকতে গেলে প্রচুর খসড়া স্কেচ করা লাগে হাত পাকানোর জন্য। অথচ ফটোগ্রাফির ক্ষেত্রে আমার ভাবটা এমন যে বেঢপ-বিশাল একটা ক্যামেরায় টিপি দিলেই ছবি উঠবে। কোন পূর্ব-প্রস্তুতি ছাড়া ভাল ছবি তোলা কঠিন, কারণ ফটোগ্রাফির কোন রুল অফ থাম্ব নাই। এই কথাটা টের পাই যখন কাউবয় স্টাইলে আমি ক্যামেরাটা ড্র করি, বিল্ট-ইন মিটারের উপর ভরসা করে শাটার টিপে মেমোরি কার্ড ছবিতে ছব
আগে যেখানে থেমেছিলাম
অনেক দূর হেঁটে এসেছি বলে তো মনে হয়না। তবুও পেছনে তাকালেই দেখি মাইলের পর মাইল পথ। কত কথা বলার তো বাকি ছিল। কিন্তু ফুরিয়ে যাচ্ছে কেনো? কেনো 'কেউ কথা রাখেনি'? কেন সব পরবাস্তব আমার আস্তিনেই এসে ভিড় করে? কেন সব যায়গায় গিয়ে আমিই হেরে যাই? মানুষ হিসেবে বোধ আর প্রত্যয় নিয়ে শুধু 'মানুষ' হবার রাস্তাটা মসৃণ নয় সেটা অনেক আগেই জেনেছিলাম। কিন্তু কখনো কখনো এত ক্লান্ত লাগে কেনো? একটু আশ্রয় আমার জন্যে জুটেনা কেন?