কতদিন ভোরের বাতাসে কাঁঠাল পাতা ঝরতে দেখি না, কুয়াশা ফুঁড়ে বের হওয়া গাঙশালিকের দল কেমন অপরিচিত হয়ে গেছে, মাথার উপরে সোনালি ডানার চিল ভর দুপুরে উড়ে না কেঁদে কেঁদে, চালতাফুল শিশিরের নরম গন্ধের ঢেউয়ে ভিজে না- কিন্তু আমি ভিজি, বছরের প্রতিটি দিন জীবনানন্দের কবিতা আমাকে সিক্ত করে, আপ্লুত করে, সেই ফেলে আসা চেনা জগতে ফিরিয়ে নিয়ে যায়।
সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণঃ ছবি দিয়ে হাতী পোস্ট। মোট ৩১ টা ছবি।
গতমাসের শেষদিকে খোমাখাতায় একটা বন্ধুত্ব চেয়ে নোটিশ পাই। প্রেরকের বক্তৃতা দাওয়ার ছবি এবং নাম দেখে আমি ধরেই নেই যে ইনি নির্ঘাত কোনও রাজনৈতিক দলের পাণ্ডা। কাজেই পত্র পাঠ তাকে 'নট নাউ' বলে দেই। কিছুক্ষণ পরেই দেখি ইনবক্সে একটা মেসেজ। রাতঃস্মরণীয়দা দাবী করেছেন যে ওই আসাদুজ্জামান আসাদ ব্রাকেটে তাজ আসলে উনিই। আর ওই বক্তৃতা দাওয়ার ছবিটাও উনার। তো আর কী করা! এইবারতো এ্যডাইতেই হয় বন্ধু হিসেবে। তারপর বেশ কিছুদিন চলে গেল। হটাৎ করেই এই মাসের (সেপ্টেম্বর ২০১২) ৪ তারিখে উনাকে একটা মেসেজ পাঠাই। বলি যে 'আমাদের না কী সব ল্যাটিচিউড / লংগিচিউড মারকিং করতে যাওয়ার কথা। কবে যাব?' সচলেই তানভীর ভাইয়ের দাওয়া পোস্টে এটা নিয়ে কথা হয়েছিল।
১ম পর্বে সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ উৎসাহ দেবার জন্য, সেই আনন্দ থেকেই ২য় পর্ব পোস্ট করে ফেললাম পথে থেকেই, মোট ১৫টা আলোকচিত্র আছে এখানে। ইচ্ছামত মন খুলে সমালোচনা করুন। জানান কোথায় কমতি আছে। আর যদি আপনাদের ভাল লাগে, একটি ছবি দেখেও যদি নির্জনতম কবির নির্জনতর কবিতা মনে আসে, তাহলে ভবিষ্যতেও সিরিজটি চালু রাখার আশা করি, সবাইকে বিলেতের বৃষ্টিভেজা শুভে
দূর পৃথিবীর গন্ধে ভ'রে ওঠে বাঙালির মন
আজ রাতে; একদিন মৃত্যু এসে যদি দূর নক্ষত্রের তলে
অচেনা ঘাসের বুকে আমারে ঘুমায়ে যেতে বলে,---
…
[স্বীকারোক্তি : এটি একটি ছবিযুক্ত দীর্ঘ আর্কাইভ-পোস্ট। তাই অখণ্ড পোস্টের দীর্ঘতার জন্য পাঠক উদাস হয়ে গেলে লেখককে দায়ী করা চলবে না। হা হা হা !]