আজকে অনেক কিছু লিখব ভেবে বসেছিলাম, অথচ কেন জানি উপরে শিরনামটা লিখেই হাত থেমে গেছে! যদিও এটা আমারই দোষ, চরিত্র মাফিক রাগ-জেদ, আহ্লাদ, আব্দার সব বাজে স্বভাব খুব সহজে বাড়াবাড়ি মাত্রায় প্রকাশ করতে পারলেও, কখনো নিজের ভালোবাসার কথাটাই সুন্দর করে গুছিয়ে বলতে পারিনা!
সতর্কীকরণ- কেবলই ছবি, লেখার কোন বালাই নেই। বিলাতফেরত এবং লন্ডনের অধিবাসীদের জন্য অবশ্য দর্শনীয় নহে!!
ক'দিন আগে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম.... সাদা-কালো ছবি নিয়ে। তাই আজকে আবার লিখতে বসলাম। বরাবরের মতই ছবি নিয়ে। নাহ.... এইবার ঠিক সাদা-কালো না। বলা চলে পাঁচ মিশালি।
ভোরে কুয়াশায় চাদরে ঘুমিয়ে থাকা পাহাড়গুলো, যেন অদ্ভুত ধোঁয়াটে রহস্যময়তায় ঢেকে রাখতে চায় পুরো জগৎ!
রোজার মধ্যে ইফতারির ছবি না তুললে কেমনে কি? এই কথাটা আমি এই বৃহস্পতিবার রাতে চিন্তা করলাম। মহামতি ওডিনের পরীক্ষা শেষ। ওনার তাই সময়ের অভাব নাই। আলোচনা করে ঠিক করা হলো শুক্রবার বিকাল চারটায় আমরা চকবাজার যাবো। ইফতারি করতে নয়, ছবি তুলতে!
ক্যামেরা হাতে এসেছে খুব বেশীদিন হয় নি। মাত্র কয়েক মাস। তাও যদি ধুমছে ছবি তুলতে পারতাম, তাহলেও দুঃখ থাকতো না। (উন্নত প্রজাতীর অলস হলে যা হয় আর কি :D ) । তারপরেও মাঝে মাঝে ক্যামেরা হাতে নিয়ে বের হই। যেহেতু ছবি তোলার জন্য তেমন সময় পাই না ..... তাই ছবি তোলার প্রধান বিষয় হিসেবে বেছে নিয়েছি 'দৈনন্দিন জীবন'-কেই। চলতে ফিরতে চোখের সামনে যা পাই সেটাই তোলার চেষ্টা করি।
আগের পর্বেই কইছিলাম যে সমস্ত পক-পকান্তিস শ্যাষ। এখন কাজ হাতে কলমে। এই পর্বে আপনাদের সামনে নায়িকারে ঘষা-মাজা দেওনের পয়লা স্টেপটা দেখামু। আমাদের হাতে আছে ক্যাম্রা, কম্পুতে আছে কতগুলা সফটওয়্যার আর মাথায় আছে ক্যাম্নে কইরা আলাদা আলাদা এক্সপোজারে Image Bracketing কর্তে হপে। এখন আমাদের জানা লাগবে এইসব Bracketed Image গুলারে ক্যাম্নে কইরা HDR ইমেজে মার্জ করা লাগে আর Tone Mapping কইরা ক্যাম্নে এইগুলারে মানুষ বানান যায়।
[ছবি কৃতজ্ঞতা হাল্টন সংগ্রহশালা]