অবগাহন
ম্যাডোনা থেকে স্টিভ জবস কেন এসেছিলেন এ শহরে?
কিসের আশায় সকলেই এখানে ভিড় জমায়?
কেন ভূবন বিখ্যাত মানুষ গুলো এখানেই ঘুরতে আসে?
এখানে গঙ্গার পবিত্র জলে অবগাহনে কিসের শান্তি?
আমাকে সিটি অব লাইট ডাকছে। আমাকে যেতেই হবে। তাই এবারের আমার গন্তব্য বারণসী।
[এই পোস্টটা গতকাল প্রায় পাঁচ ঘন্টা অনেক পরিশ্রম করে লিখেছিলাম, কিন্তু প্রিভিউ করতে গিয়ে এরর আসে, এবং যখন পিছনের পেজে যাই পোস্ট তখন হাওয়া! কান্দা বাকি ছিল শুধু জানিনা এবার লিখলে আগের বারের মতন ভাল হবে কিনা]
এইবার যে ছবিগুলা দেখাব বা যেই ট্যুর নিয়া আলাপ করব সেইটা অনেক আগের। অনেক মানে আবার অনেএএএএএএক না, ছোট্ট কইরা অনেক। এক বছরের কিছু বেশি হইসে হয়তো। তখন আমি কাতারে নতুন।খালি শুনি মানুষের কাছে মরুভূমি মরুভূমি, আর চিন্তা করি হায় আমি কবে দেখব?
এটা আমার প্রথম পোস্ট হবে এইখানে। ব্লগিং করতাম আগেও কিন্তু এখানে না, সামুতে। কেন ওখানে আর লিখা হয়না মনে হয় সবাই জানে, নতুন করে বলার কিছু নেই। যাই হোক, আমি কাতার প্রবাসী। পেশায় প্রকৌশলী, তড়িৎ কৌশল বুয়েট থেকে ২০০৭ এ পাশ দিয়েছি। এখন টেলিযোগাযোগ সেক্টরে কামলা দিই। এটা একটা ছবি ব্লগ হবে, নিকট অতীতে তোলা কিছু ছবি। আমি পেশাদার ফটোগ্রাফার না, নিজেই ক্যামেরা টিপাটিপি করে শিখেছি। ২/১ জন বন্ধু আছে ফয়সা
সচলায়তন এর পাঠক আমি অনেকদিন ধরে। লেখার ইচ্ছা যে হয় না তা নয় কিন্তু আলসেমি আর ঠিক
সচলায়তন এর পাঠক আমি অনেকদিন ধরে। লেখার ইচ্ছা যে হয় না তা নয় কিন্তু আলসেমি আর ঠিক
রোজার মাসটা কোনো ছুটি ছাড়া টানা অফিস করে একটা কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিলাম আর তা হলো এবার ঈদের ছুটিতে অবশ্যই কোথাও যাবো। ক্যাম্রার অবস্থা ভালোনা, তার মধ্যে রোয়েনা বর্তমানে ক্যাম্রাহীনতায় ভুগছে, তারপরও এই সঙ্কল্প থেকে এক চুলও টলবোনা বলে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হলাম। কিন্তু শালার, যাবোটা কোথায়? ঈদের পর তো বাংলাদেশের ঘুরাঘুরি করার মতো সর্ব অঞ্চলে মানুষের ভীড়ে টেকা দায় হয়ে যায় ... তবে ... তবে ... আমাদের কি আর কোথাও যাওয়া হবে না? পরিস্থিতি যখন এতটাই ঘোলাটে ঠিক তখন প্রমিথিউসের মতো এক খাবলা আগুন হাতে আসমান থেকে নেমে এলো ‘কাউয়া’। কা ... কা ... রবে জানান দিলো যে এবার ঈদের পর বিক্রমপুর যেতে নাকি কোনো বাধা নেই। কারন, আবুইল্লা বা ফারুইক্কা কেউ ‘এই ঈদে কম কম বিক্রমপুর যান, জীবন উন্নত হবে’ টাইপ বক্তব্য দেননি। সুতরাং আমাদের সামনে সম্ভাবনার সমস্ত দুয়ার চিচিং ফাক করে খুলে গেলো।