[justify]ডুম্বুরভ্যালীতে দ্বিতীয় দিনের শুরুটা খুবই সুখকর হয়নি। সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠেই দেখি চরম বৃষ্টি। এমনিতেই হাতে মাত্র একদিন সময় আছে। খুব ভয় করছিল, আসলে তিন দিনের সময় নিয়ে এসেছি এখানে। এর মধ্যে আমার যে প্রধান কাজ তাই করা হয়নি। মানে ডিপার্টমেন্ট থেকে আমাকে কাজ দেওয়া হয়েছে এখানকার জল বিদ্যুৎ প্রকল্পের উপর একটা রিপোর্ট করার জন্য। আর আমি ব্যস্ত আছি আমার ডকুমেন্ট্রি এবং অন্যান্য কাজ নিয়ে। সকালে কোন
[justify]হাতে টাকা ছিলনা। ডুম্বুরভ্যালীতে গিয়ে থাকা এবং শুটিং এর কাজ সারতে যে পরিমাণে টাকা দরকার তার চার ভাগের একভাগও আমার কাছে ছিলনা। কি করা যায় তাই ভাবছিলাম। যদিও শুটিং এর ক্যামেরাম্যান থেকে শুরু করে স্পটবয় সব আমি নিজে, তবুও অনেক খরচ আছে। আর আমার পকেটে টাকা নেই। বাড়িতে টাকা চাইতে লজ্জা করে। কয়েকজন বন্ধুর কাছে চাইলাম। একেবারেই যে নিরাশ হলাম তা নয়। কিন্তু..., আচ্ছা একটা ঘটনা বলি তাহলেই বোঝা যাবে।
আমার ফটুকবাজি শুরু হয় ফিল্মি । যুগে। ছবি তোলার পর ফিলম শেষ হলে পরে ডেভেলপ করো, এই করো, সেই করো তারপর দেখতে পাব কি ছবি আসলো। ফিল্মের র ASA কমবেশি হলে পরে তার সাথে অ্যাপারচার, সাটার স্পীড মিলানোর নানা ঝামেলা। তাও কেন জানি ছত্রিশটা স্ন্যাপ নিতে যত মজা লাগত, তত মজা পাইনা ডিজিটাল ক্যামেরায় ছবি তুলে। এখন শুধু ক্লিক ক্লিক তুলেই দেখ কেমন ছবি আসলো। একই ছবি দশটা তোল কি বারটা কোন সমস্যা নেই।
প্রচারমাধ্যমের খবর অনুযায়ী প্রখ্যাত আলোকচিত্রী রশীদ তালুকদারের মৃত্যু হয়েছে [লিঙ্ক], কিন্তু বাংলার ইতিহাসচর্চায়, আলোকচিত্রের ইতিহাসচর্চায় রশীদ তালুকদারের মৃত্যু কখনোই হবে না। অসম্ভব।
মানুষ জীবনে ধাক্কা খেয়ে নাকি সাধু সন্নাস্যি হতে চায়। আমার বেলায় ঘটনাটা ঘটল এমন যে আমি হতে চাচ্ছি