আর্নেস্ট হেমিংওয়ে- মহাকালের বুকে অমর, অব্যয়, অক্ষয় হয়ে আলো ছড়ানো এক লেখক। কেবলই কি একজন কালজয়ী লেখক হেমিংওয়ে না সেই সাথে সাথে উঠে আসে তার সৈনিক পরিচয়টিও? অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয় মানুষটির দুর্দমনীয় শিকারের নেশা? সাগরের সাথে যুদ্ধ করে বড় মাছ শিকারের প্রতি তার প্রগাঢ় ভালবাসা? কিংবদন্তীতুল্য ভ্রমণের অভিজ্ঞতাও?
চোখ জুড়ানো ঘন সবুজ পাহাড়ের সারি ঘেরা, যেন রূপকথার পাতা থেকে উঠে আসা এক অঞ্চল, ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের সবচেয়ে বড় দ্বীপ পৃথিবীর চিনির পাত্র খ্যাত কিউবার সবচেয়ে উর্বর ভূমি এটি। সেই সাথে সারা বিশ্বের অন্যতম নয়নাভিরাম ও সবুজতম এলাকা বলে খ্যাত। সারি সারি আকাশ ছোঁয়া চুনাপাথরের পাহাড় তৈরি করেছে মোহিনী সব ঘন সবুজ উপত্যকা, তার ফাঁকে ফাঁকেই গড়ে উঠেছে মানব বসতি।
গতবছর রাঙ্গামাটি, বান্দরবন ঘুরে অবশেষে স্বপ্নের কক্সবাজার আসলাম। কক্সবাজারের মূল আকর্ষণ সূর্যাস্ত। কিন্তু আমাদের কপাল এতই খারাপ ছিল যে দুইদিন থেকেও এই চরম দৃশ্য দেখতে পারিনি। সূর্য মামা আসল সময়ই মেঘের আড়াল থেকে বের হয়নি। যাইহোক কাঁচা হাতের তোলা কিছু ছবি শেয়ার করে আমার সাহসের পরিচয় দিলাম !
সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণঃ ইহা একটি হাতি পোস্ট
উচ্চশিক্ষার উদ্দেশ্যে অ্যামেরিকা এসে এমনি বিনোদনের জন্য ঘুরে বেড়ালে তো হবে না, তাই ট্যুরের এবারের অংশটাকে শিক্ষা সফরের রূপ দিতে পরবর্তী গন্তব্য বেছে নেয়া হয় হার্ভার্ড আর এমআইটি ক্যাম্পাস । নিউ ইয়র্ক ছেড়ে এবার পা বাড়াই বোস্টনের দিকে, বাহন মেগাবাস। বাসে উঠার পর নিজেকে সবজী আর বাসকে ডীপ রেফ্রিজারেটর মনে হতে থাকলো। কোন উত্তেজনা ছাড়াই কাঁপতে কাঁপতে ভোরবেলা যখন বোস্টনে পৌঁছালাম তখন হাত পা পুরোপুরি জমে গেছে।
ধলপহর। নিশ্চুপ নিস্তব্ধ চারিদিক, মৃদুমন্দ হাওয়ায় কুণ্ডলী পাকানো ধোঁয়ার মত রহস্যঘন কুয়াশা ঘিরে আছে চারিপাশ, চোখের দৃষ্টি কয়েক গজ সামনে সেই ধোঁয়াটে পর্দার অন্য পারে কি আছে সেই সুলুক সন্ধানে ব্যকুল। এর মাঝে আমরা চলেছি শিমুল কাঠের ক্যানুতে চেপে রূপতি নদী বিহারে, উদ্দ্যেশ্য সত্যিকারের বুনো কুমির আর ঘড়িয়াল দর্শন! স্থান- নেপালের সুবিখ্যাত চিতোয়ান বন।
সর্পিল পাহাড়ি রাস্তা দিয়ে গাড়ী ছুটে চলেছে আফ্রিকা মহাদেশের সর্ব দক্ষিণের প্রান্তবিন্দু কেপ পয়েন্টের উদ্দেশ্যে, কেপ পয়েন্ট থেকেই নাকি আটলান্টিক মহাসাগর আর ভারত মহাসাগরের মিলন স্থল দেখা যাবে, দুই বিপুল জলরাশির মিলনস্থলে চলছে প্রতিনিয়ত এক বিশাল কর্মযজ্ঞ, দুই স্রোতের জলের রঙটাও আলাদা, যেমন আলাদা লাগে পদ্মা- মেঘনার মিলনস্থলে, এখানে শুধু আরও অনেক ব্যপক আকারে।
গোটা দেয়াল জুড়ে একটাই ছবি, তাতে একটাই মুখ- সমুদ্রের অতল গভীর থেকে উঠে আসা তরঙ্গের বেলাভূমিতে আছড়ে পড়ার আগমুহূর্তের তুঙ্গস্পর্শী ঢেউয়ের বিষণ্ণ সবুজ বর্ণ থৈ থৈ করছে চোখের তারায়, ছিন্ন বিবর্ণ লাল ওড়নায় ঘেরা মুখখানা যেন ঘুমন্ত আগ্নেয়গিরি- ভাবলেশহীন, কিন্তু যে কোন সময় ফুসে উঠতে পারে অন্তদহনের তীব্র ক্রোধে। এ এক যুদ্ধবিধবস্ত দেশের মর্মস্পর্শী পারিপার্শ্বিকতার শিকার এক কিশোরীর মুখ, ১৯৮৪ সালে পা
ফটোগ্রাফির ক্ষেত্রে আমার একটি বিশাল দূর্বলতা আছে আর সেটি হলো আমি লাইফস্টাইল একদমই পারি না। কিন্তু এবার যখন কিশোরগঞ্জ যাচ্ছিলাম তখন মাথায় একটা জিনিশই ঘুরপাক খাচ্ছিলো যে আমাকে এইবার লাইফস্টাইল ছবির এক বিরাট চ্যালেঞ্জ নিয়েই মাঠে নামতে হবে। কেননা এই সময়ে লেন্ডস্ক্যাপ একটা দুইটা তোলার পর একদম মনোটোনিক হয়ে যাবে। আর মাঠে মাঠে মানুষের ব্যাস্ততার ছবি তো আর লেন্ডস্ক্যাপ নয়!