[justify]এই গ্রীষ্মে - ক্যালগেরির পথে ।। ক্যালগেরি পৌছলাম। ক্যালগেরির সময় অনুযায়ী তখন প্রায় সাড়ে বারোটা। আগেই বলেছি, আমাদের এই ট্যুরের থীম ছিল, 'সময়ের সর্বোচ্চ সদ্ব্যাবহার', তাই আমরা কোন হোটেল টোটেলের ঝামেলায় যাইনি। আমরা দরিদ্র গ্রাজুয়েট স্টুডেন্ট; টাকা পয়সা বেঁচে যাওয়াও যে এর অন্যতম কারণ ছিল না, এটা অবশ্য আমি বলছি না। যাই হোক, আমা
প্রাইমারী স্কুলে পড়ি তখন, প্রতিনিয়তই নতুন কিছু জানার, নতুন কিছু দেখার স্বপ্নাবিস্ট সোনালী উতল মুগ্ধতায় আচ্ছন্ন এক সময়, জীবনে সবচেয়ে মধুর অংশ আর কি হতে পারে বাল্যকালের চেয়ে! স্কুল থেকে ফেরার পথে মা একদিন জানালেন আগামীকাল বইমেলায় নিয়ে যাবেন আমাদের। বইমেলা! কচি মনে প্রশ্নের ঢেউ উঠেছিল, বইয়ের আবার মেলা হয় নাকি?
…
ঢাকার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ল্যান্ডমার্ক হিসেবে আহসান মঞ্জিলের (Ahsan Manzil) নাম শোনেন নি এমন শিক্ষিত বাঙালি খুঁজে পাওয়া ভার। বুড়িগঙ্গার তীর ঘেষে দক্ষিণমুখী হয়ে দাঁড়ানো আগুনে লালরঙা এই অসাধারণ কারুকার্যময় অট্টালিকা কেবল অমূল্য স্থাপত্য হিসেবেই নয়, ঢাকা নগরের অতীত ইতিহাস ও তৎকালীন জীবনযাত্রায়ও রেখেছে ব্যাপক প্রভাব। উনিশ শতকের মধ্যভাগ থেকে বিশ শতকের দ্বিতীয় দশক পর্যন্ত ঢাকায় তো বটেই, গোটা পূর্ববঙ্গেও প্রভাব বিস্তার করেছিলো আহসান মঞ্জিল। স্থানীয়ভাবে ঢাকাবাসীদের কাছে এর পরিচয় নবাববাড়ি নামে। অর্থাৎ এটা শুধু মঞ্জিল নয়, নবাব পরিবারের আভিজাত্য, বৈভব ও প্রভাবের প্রতীক এই অট্টালিকা। পাশাপাশি দুটো বিশাল দ্বিতল ভবনের পূর্ব পাশের ভবনে ছিলো নবাব পরিবারের বাস এবং পশ্চিম পাশেরটি ছিলো দরবার হল।
[justify]কানাডায় সামারটা হুটহাট, আর তারচেয়েও হুটহাট করে শুরু করলাম আমি। উইন্টার টু সেশানের শেষ পরীক্ষা ছিল ছাব্বিশে এপ্রিল, আর আমার দেশে যাওয়ার টিকেটও ছিল ওইদিন রাতেই। পরীক্ষার আগে তাই পড়াশোনা গোছানোর চেয়ে ব্যাগ গোছানোর তারা ছিল বেশী, পরীক্ষা থেকে এসে গোসল করেই ছুটতে হবে এয়ারপোর্টে। তো যাই হোক দেশে যাওয়ার গল্প নাহয় অন্যদিন করা যাবে। দেশ থেকে ফিরে এসে কি করলাম আজকে নাহয় সেই গল্প করা যাক।
…
বাংলায় ঔপনিবেশিক আমলে নির্মিত ধর্মনিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠান ও ভবনগুলোর মধ্যে ঢাকার ফরাশগঞ্জে বুড়িগঙ্গার তীরে অবস্থিত লালকুঠি (Lalkuthi) হিসেবে পরিচিত নর্থব্রুক হল (Northbruck Hall) অন্যতম। ভারতের তৎকালীন ভাইসরয় বা গভর্নর জেনারেল লর্ড নর্থব্রুক (১৮৭২-৭৬ খ্রিঃ) ১৮৭৪ সালে এক সফরে ঢাকায় এসেছিলেন। নর্থব্রুকের এই ঢাকা সফরকে স্মরণীয় করে রাখার জন্যে ঢাকার প্রখ্যাত ধনী ব্যক্তি ও জমিদারগণ ‘টাউন হল’ ধাঁচের একটি হল নির্মাণের উদ্যোগ নেন।
…
গুরুদুয়ারা (Gurdwara) হচ্ছে শিখ সম্প্রদায়ের প্রধান উপাসনালয়। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবাই গুরুদুয়ারায় প্রবেশ করে প্রার্থনায় অংশগ্রহণ করতে পারে। গুরুদুয়ারায় প্রার্থনাস্থলকে বলা হয় ‘দরবার সাহেব’। এর চারদিক দিয়েই ভেতরে প্রবেশের ব্যবস্থা থাকে। ফলে অন্যান্য ধর্মীয় স্থাপত্যের তুলনায় গুরুদুয়ারা উপাসনালয়ে প্রবেশদ্বারের সংখ্যা সাধারণত বেশি থাকে। প্রত্যেক গুরুদুয়ারায় হলুদ রঙের পতাকা টাঙানো থাকে। একে বলা হয় ‘নিশান সাহেব’। নিশানের দু’দিকে তলোয়ারের ছবি আঁকা থাকে, যা ‘খাণ্ডা’ নামে পরিচিত। এই নিশানকে শিখ-জীবনের জাগতিক ও আধ্যাত্মিক মিশ্রনের প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
একজন মালির মূল দায়িত্ব গাছে রঙ-বেরঙের ফুল ফোটানো। সকল ঋতুতে, সব ধরনের আবহাওয়ায়- গ্রীষ্মের দাবদাহ, বর্ষার জলসমারোহ, শীতের কনকনে ঠাণ্ডা উপেক্ষা করে আপাত ঊষর মাটিতেও জীবনের ফল্গুধারা নিয়ে আসাতেই তার সার্থকতা, এর ব্যতিক্রম বিশ্বের কোন দেশে তো নেই-ই, এমনকি বন্দীশালা কারাগারেও নেই। তবে সাধারণত কারাগারের কোন বন্দীর কাঁধেই এই সুকঠিন দায়িত্ব অর্পিত হয়, লৌহকঠিন দেয়াল ঘেরা হলেও ছোট্ট গরাদের ফোকর থেকে
সিঁড়ি বেঁয়ে গাড়ীবারান্দায় এসে দাঁড়িয়েছি। অফিস যাব কিন্তু বাইরে ঝুম বৃষ্টি হচ্ছে! আমাকে দেখে বৃষ্টি তার গতি আরও বাড়িয়ে দিলো। উপরওয়ালা মনে হয় আমাকে বিশেষ একটা পছন্দ করেন না, আমি যখন সিরিয়াস মুডে থাকি তখনি দেখা যায় উনি এধরনের ইয়ার্কি করেন! গেট থেকে মাথা বাড়িয়ে রিক্সা খোঁজার চেষ্টা করলাম!
ঢাকা শহরে বেড়াতে আসলে মিরপুর চিড়িয়াখানায় ঘুরতে যাওয়া ফরজ, নিউইয়র্কের ক্ষেত্রে সেটা স্ট্যাচু অফ লিবার্টি। ভ্রমণের দ্বিতীয় দিনকে তাই এইজন্য বরাদ্দ রাখা হলো। প্রথম দিন অনেক রাত পর্যন্ত শহর ঘুরা হয়েছে, তাই সকালে ফেরি ছাড়ার আগে ঘুম থেকে উঠতে পারব কিনা ব্যাপারটা সম্পূর্ণ অনিশ্চিত ছিলো। প্রসিদ্ধ গবেষক মাহদি ব্যাপারটা থেকে ননডিটারমিনিজম পুরোটা মুছে ফেলতে, সকাল হতে না হতেই তার বিদঘুটে অ্যালার্ম বাজিয়ে সবাই
…
দুর্গ ও দুর্গ প্রাকার:
কেল্লা বা দুর্গ বলতে বোঝায় শক্ত বেষ্টনী প্রাচীরবেষ্টিত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। উদ্দেশ্য আক্রমণকারীর হাত থেকে নিজেদের সুরক্ষা। ফলে দুর্গ স্থাপত্যের সাধারণ বৈশিষ্ট্য সব সময়ই প্রায় এক রূপ হতে দেখা যায়। যেমন আভ্যন্তরীণ বৃত্তাকার বেষ্টনী প্রাচীর বহিঃপ্রাচীর দ্বারা পরিবেষ্টিত হয়, সাথে প্রয়োজন অনুযায়ী পরিখা দ্বারাও পুনঃবেষ্টিত থাকে। আক্রমণ ও প্রতিরক্ষা উভয় ক্ষেত্রেই দুর্গের সর্বাপেক্ষা শক্তিশালী অঙ্গ হিসেবে বিবেচিত হতো সাধারণত দুর্গের প্রবেশফটক ও পার্শ্ব-বুরুজ। তাই প্রবেশফটক এবং প্রতিরক্ষা প্রাচীর বা বুরুজ হয়ে থাকে প্রহরা কক্ষ সংবলিত। বেষ্টনী প্রাচীরের উপরিভাগে চলাচলের জন্য চওড়া পথের ব্যবস্থা থাকে যাতে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান থেকে আক্রমণকারী শত্রুর আগমন লক্ষ্য করা যায়।