ভোর পাঁচটায় ঘুম ভেঙে গেলে কাঠের সিঁড়ি বেয়ে নিচে নেমে এলাম, বাইরে টিপ টিপ বৃষ্টি। শুনেছি জুনের এসময়টাতে ভূটানে বৃষ্টি হয় প্রচুর। ঠাণ্ডাও থাকে। ভূটান এমনিতেই ঠাণ্ডা, পারো আর থিম্পুতে যে হোটেলে ছিলাম কোনোটাতেই এসি তো দূরের কথা ফ্যানও ছিলো না। গরম ঠিক না লাগলেও ভেতরে কেমন যেন একটা গুমোট মতো ভাব। টিপ টিপ বৃষ্টি আর ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা বাতাস মন্দ লাগছিলো না আমার।
…
লালবাগ কেল্লা থেকে উত্তর-পশ্চিমে সামান্য দূরে আতিশখানায় এই সুদৃশ্য খান মহম্মদ মির্ধা মসজিদটির (Khan Muhammad Mirdha Mosque) অবস্থান। মূলত এটি চারদিকে দেয়াল দ্বারা বেষ্টিত একটি আবাসিক মাদ্রাসা-মসজিদ কমপ্লেক্স। কাজী ইবাদুল্লাহর নির্দেশে জনৈক খান মহম্মদ মির্ধা এই মসজিদটি নির্মাণ করেন। ধারণা করা হয় কাজী ইবাদুল্লাহ ছিলেন ঢাকার প্রধান কাজী। তবে মসজিদটির নির্মাণকাল নিয়ে গবেষক মুনতাসীর মামুনের ‘ঢাকা স্মৃতি বিস্মৃতির নগরী’ গ্রন্থের তথ্যমতে ফররুখসিয়ার যখন ঢাকার উপ শাসনকর্তা তখন ১৭০৬ সালে মসজিদটি নির্মিত হয়। প্রাচীনত্বের দিক থেকে এর অবস্থান সপ্তদশ। বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি থেকে প্রকাশিত ‘বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক সমীক্ষামালা-২’ স্থাপত্য শীর্ষক গ্রন্থে এই কমপ্লেক্সটির নির্মাণকাল উল্লেখ করা হয়েছে ১৭০৪-০৫ সাল।
অনেকদিন লিখা হয়না কিছুই। মনে হলো একটা ছবির গল্প লিখি ! শুরু করেই ফের মনে হলো, এ গল্প তো আমার একার লিখার কথা নয় !
অতএব, সব সচলকে আমন্ত্রণ জানাই, আসুন সবাই মিলে এ গল্পটা এগিয়ে নেই ! গল্পের সূত্র এই ছবিটা।
শৈশবে অঙ্কন বিষয়ে আমাকে প্রথম যেদিন গ্রামের ছবি আঁকতে দেয়া হল, আমি হাজির হলাম আমার বড় বোনের কাছে। আপু তখন ম্যাট্রিক পরীক্ষা দিচ্ছেন, ব্যাবহারিক খাতায় বেশ কিছু কারিশমা দেখিয়ে আমাদের তাক লাগিয়ে দিয়েছেন! আপু প্রথমে যেটা আঁকালেন সেটা একটা কুঁড়ে ঘর, তার উপরে কলা গাছের পাতা এসে পড়েছে, পাশে একটা খড়ের গাদা! এরপরে সেটা নকল করার জন্য আমি উঠেপড়ে লাগলাম!
খানিক আগেই এবড়ো-থেবড়ো লাল ধুলোর রাস্তা ছেড়ে মসৃণ কালো পীচ ঢালা পথে উঠেছি, প্রচণ্ড রৌদ্রে সহযাত্রীরা সবাই অস্থির হয়ে উঠলেও ভাল রাস্তার কারণে বাহনের গতি খানিকটা বৃদ্ধি পাওয়ায় সবাই খুশী, এমন সময় বলা নেই- কওয়া নেই বেমাক্কা ধা করে এক সজোর ব্রেক চেপে দাড়িয়ে পড়ল আমাদের চার চাকার গাড়ী! ঘটনা কি ?
ইদানিং মোটাসোটা বই দেখলেই ভয় পাই । তাই খুজে খুজে দোকান থেকে একটা চিকন বই বের করলাম । শিরোনাম – “বিষয়ঃচলচ্চিত্র” সত্যজিৎ রায়ের লেখা চলচিত্র সমালচনা। বইটি পড়ে যেটা মনে হলো - কিছু বিষয় স্থির কিম্বা চলমান দুটি ক্ষেত্রে সত্য । যেমন- বিষয়বস্তু যেমনই হোকনা কেন দশর্ককে সেটা বোঝানোর ক্ষেত্রে যে ভাষা ব্যাবহার করা হয়, ক্যামেরার সাথে সাথে কম্পোজিশন, কালার এবং আধুনিক টেকনোলোজি সেই ভাষা প্রকাশে সাহায্য
নিউ ইয়র্ক সিটির পাশেই একটা লম্বাটে দ্বীপ আছে লং আইল্যান্ড নামে, এবং সেখানকার স্টোনি ব্রুক ইউনিভার্সিটিতে আমার তিনটা বন্ধু নিরন্তর গবেষণার মাধ্যমে দেশের মুখ উজ্জ্বল করে যাচ্ছে। তাদের জ্ঞান সাধনায় বিঘ্ন ঘটিয়ে নিউ ইয়র্কে আমাদের প্রথম দিনটাতে আমাদের সংগ দিতে রাজী করিয়ে ফেলি। বিকাল নাগাদ স্টোনি ব্রুকের বিরাট একটা দল এসে আমাদের সাথে যোগ দেয় দুইটি গাড়ী নিয়ে, আমাদের বন্ধুদের সাথে আরো চার জন। কুন্তল ভাই আর
একদম এইরকমই উৎসাহ নিয়ে শিকাগোর উদ্দেশ্যে প্লেনে চড়ে বসেছিলাম। মনে আরো ফুর্তি ছিল, কারণ আমার পুরো প্লেনভাড়া ছিল মাত্র ১০ ডলার – ট্যাক্সটুকু – আসলটা ফ্রিকুয়েন্ট-ফ্লায়ার জমিয়ে কাটা। কিন্তু আমার প্ল্যানটা ছিল একটু ঘুরপথ। আমার এক বন্ধু পড়ে পারডু ইউনি’তে, সেখানেই প্রথমে গিয়ে, তার এবং এক সিনিয়রের সাথে শিকাগো যাওয়া হবে পরের দিন, ওই দাদাই ড্রাইভ করবে।
বাসে ঝুলে ঝুলে মহাখালি পার হবার সময় একদিন হঠাৎ একটা দোকানের নাম পরে অনেক ভালো লাগলো - সিল্ভার রেইন। ভেবে দেখলাম বর্ষার সময় আসলেই পৃথিবী অনেকটা রুপলি হয়ে যায়। পৃথিবীতে রুপলি জিনিস কি কি আছে ভাবতে ভাবতে কিছু সাদাকালো ছবির চিন্তা মাথায় এসেছিল।
[ডিস্ক্লেইমারঃ সবুজ পাহাড়ের কোলে অবস্থিত বান্দারবন শহর।এর এক পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে শংখ নদী। বান্দরবন শহর সুন্দর তবে রাঙ্গামাটির শহরের মত এতটা সুন্দর নয়। বান্দরবনের আসল রূপ ছড়িয়ে আছে শহরের বাইরে প্রতিটি পাহাড়ের বাঁকে বাঁকে। এই ভয়াল সুন্দর রূপের বর্ণনা দেওয়া আমার সাধ্য নাই। ক্যামেরার ফ্রেমে কিছু দৃশ্য ধরে রাখার ব্যার্থ চেষ্টা করেছি মাত্র।]