ফটোগ্রাফিতে বেশ মজার কিছু ব্যাপার আছে। এর মধ্যে আমার সব চেয়ে ইন্টারেস্টিং আর আজব লাগে লং এক্সপোজার বা লং শাটার। এ নিয়ে বিস্তারিত লিখেছিলাম আগে।ছবিগুলা কেমন অন্যরকম বানায় দেয়। সন্ধ্যায় বা রাতের বেলায় আলোর অভাবে শাটার স্পীড বাড়িয়ে দেয়া বা স্লো করে দিয়ে আলো ঢুকানো ছবিতে
মানুষের চোখ নাকি মনের কথা বলে। কবিরা চোখ নিয়ে লিখে গেছেন কত কাব্য । এক চোখের মাঝেই রাগ, কষ্ট, আনন্দ, প্রেম, বেদনা, ভয় সহ দুনিয়ার সব অনুভুতি ফুটে উঠে, একজন মানুষের ভিতর কি চলে তা হাজার চেষ্টা করেও চোখ থেকে লুকাতে পারেনা। প্রেম করার দিনগুলাতে প্রেমিক-প্রেমিকার চোখের দিকে তাকিয়ে পার করে ফেলে কত ঘণ্টার পর ঘণ্টা ...মুখে কোন কথা না হলেও চোখে চোখেই গাথা হয়ে যায় জীবনের কাব্য।
এবার কিশোরগঞ্জ গিয়ে চোখ জুড়ানো সোনালী ক্ষেতে মানুষের ব্যাস্ততা দেখে অবাক হলাম। যতটুকু সময় পেলাম শুধু শাটার চেপেই গেলাম ... ৪ দিনে ১২ গিগাবাইট মেমরি ফুল! কিন্তু আমি আবার খুব আলসে টাইপ, তাই প্রসেসিং-এ অনেক টাইম নেই। অনেক গুঁতাগুঁতির পর কয়েকটা রেডি করতে পারলাম। সেগুলো নিয়েই এই ব্লগ।
বাড়ির কাছেপিঠে দারুন কোন জায়গা থাকলে আপনি চান বা না চান আপনার অনেকবার সেখানে যেতেই হবে। আর সেটি যদি হয় বিশ্ববিখ্যাত কোন কিছু তাহলে তো কথাই নেই। আমি যেখানে থাকি সেখান থেকে দুই-আড়াই ঘন্টা দূরে নায়াগ্রা ফলস। দেশ থেকে তো বটেই একটু দুরের শহর থেকে কেউ বেড়াতে এলেই নায়াগ্রা ফলস যেতেই হয়। গোটা ১৫/২০ বার দর্শন হয়ে গেছে বোধহয়। প্রতিবারই ভাবি ধুর “ফরফর” করে পানি পড়ে, এইটা দেখতে আর ভাল লাগবেনা। কিন
আমি প্রফেশানাল ফটোগ্রাফার না... তবে ছবি তুলা আমার নেশার মত...। তাই সময় সুযোগ পেলেই ছবি তুলি...।
এটা বাহারি কোন ফুল না এটা আনারস । আনারস সাধারণত সিলেটের বাগানে দেখে থাকবেন কিন্তু এটা আনারসের বাগানে তোলা না । এটা বড়ই নিঃসঙ্গ ...
সবুজ পাহাড়ের কোলে অবস্থিত বান্দারবন শহর।এর এক পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে শংখ নদী। বান্দরবন শহর সুন্দর তবে রাঙ্গামাটির শহরের মত এতটা সুন্দর নয়। বান্দরবনের আসল রূপ ছড়িয়ে আছে শহরের বাইরে প্রতিটি পাহাড়ের বাঁকে বাঁকে। এই ভয়াল সুন্দর রূপের বর্ণনা দেওয়া আমার সাধ্য নাই। ক্যামেরার ফ্রেমে কিছু দৃশ্য ধরে রাখার ব্যার্থ চেষ্টা করেছি মাত্র।
[ডিস্ক্লেইমার : সচলে অনেক বাঘা বাঘা ফটুরে আছে। তাদের ফটুক দেখলে অন্য ফটুক দেখতে মঞ্চায় না। তারপরেও সাহস করে আমার অ-ছবি গুলো আপ্নাদের পাতে দেওয়ার দুঃসাহস দেখাচ্ছি।]
গত আগস্টে আমরা চারজন ফেনী-নিঝুম দ্বীপ-চট্টগ্রাম-রাঙ্গামাটি-বান্দরবন-কক্সবাজার জয় করতে বের হলাম। আমাদের পরিকল্পনার ভুলে নিঝুম দ্বীপ অদেখাই থেকে গেল। তো যাই হোক ফেনীতে বন্ধুর বাড়িতে এক রাত থেকে চট্রগ্রাম গেলাম। চট্রগ্রাম ঘুরে পাহাড়ীকা-ই চড়ে রাঙ্গামাটি। গাড়ি থেকে লেক-পাহাড় পরিবেষ্টিত রাঙ্গামাটি দেখে এক কথায় বলা চলে বাকরুদ্ধ হয়ে গেলাম। তখন ছিল রমজান মাস। পুরো রাঙ্গামাটিতে পর্যটক বলতে আমারা চারজন। রাতে থাকার জন্য পর্যটনে হানা দিলাম। আমাদের পরম দূর্ভাগ্য যে বউ ছাড়া হানিমুন কটেজে রাত্রিযাপন করতে হলো।
অবেলার ঘুমের পর বিষণ্ণতায় অবশ বেমানান আমি নীরবতায় ডুব দেই,
আমার চারিদিকের নানা কোলাহল কমতে কমতে একসময় মিলিয়ে যায়।
ধীরে ধীরে নৈঃশব্দ্য দীর্ঘতর হতে হতে অনুভব করি
ক্ষীণকায় জীর্ণ নিঃস্ব আমি...
নিঃশব্দতার অবুঝ জাতক।
সিগারেটের আগুনে সময় পুড়ে পুড়ে ছাই হয়ে জমতে থাকে অ্যাস্ট্রেতে।
হঠাৎ হঠাৎ উদয় হয় এলোমেলো ভাবনা।
টুকরো টুকরো মুখ, ঘটনা আর অস্থির সময়ের ছবি।
আবার ফটোব্লগ (এই ব্লগের সবগুলো ছবি পয়েন্ট এন্ড শুট ক্যামেরায় তোলা)। গতবছরের মাঝামাঝি গিয়েছিলাম বান্দরবান। সেখান থেকে তোলা কিছু ছবি তুলে দিলাম এই খানে।
এই এলবাম এর সকল ছবি কপিরাইট মুক্ত.....যে কেউ যে কোন ভাবে ছবি গুলো ব্যাবহার করতে পারবেন.......
-চতুরকাউয়া-
অন্ধকার দুনিয়া.........
(শ্রীমঙ্গল স্টেশন থেকে তোলা)