…
‘মসজিদেরই পাশে আমায় কবর দিয়ো ভাই
যেন গোড়ে থেকে ঐ মুয়াজ্জিনের আযান শুনতে পাই।…’
বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম (১৮৯৯ – ১৯৭৬) এই গানের মধ্য দিয়েই হয়তো তাঁর অন্তিম ইচ্ছাটা জানিয়ে রেখেছিলেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীন বাংলাদেশে কবি নজরুলকে জাতীয় কবির মর্যাদা দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে নিয়ে আসার উদ্যোগ নেন এবং অসুস্থ কবিকে যথাযোগ্য সম্মান ও পরিচর্যায় এদেশে স্থায়ীভাবে ...
পাহাড় বেয়ে উপরে উঠতেই চারদিকে রঙের মেলা। চমক লাগে চোখে, মনে। বাতাসে দুলে লাল, নীল, সবুজ, হলুদ। রঙ মেখে ঘুরে বেড়ায় প্রজাপতি আর মৌমাছি। দুপুরের কড়া রোদে ফুলগুলো তখনও জীবন্ত। গান গায় ফিস্ফিসিয়ে। সুগন্ধি ছড়িয়ে দেয় বাতাসে। সে বাতাস দূর পাহাড়ে বাধা পেয়ে আবার ঘুরে এসে ঘুরপাক খায় আমাদের চারপাশ, অচেনা সুগন্ধি গায়ে মেখে শরীর জুড়িয়ে যায়। আমি আর মাতিস ক্যামেরা হাতে ছুটে বেড়াই এক ফুল থেকে অ...
তখন শুধইু মেঘের ছবি তুলতাম। এগারো তলার বারান্দা থেকে ক্যামেরা বাড়ালে মেঘেদের দেখা মিলত সবার আগে। আকাশের মেজাজ বদলালে মেঘেরা রং বদলে সেজে গুজে ছবি তুলতে ডাকত।
সে অনেক আগের কথা। ক্যামেরার জাতপাত বুঝতাম না। মুঠোফোনের দুবলা ক্যামেরাই ছিলো ভরসা। এরপর মুঠোফোন বদলেছে কয়েক দফা। মেগাপিক্সেল এগিয়েছে কদম দুয়েক। মেঘেরাও রং বদলেছে বহুবার। বারান্দায়, পথেঘাটে, নদীর বুকেও ডাক দিয়েছে অনে ...
ছবিঃ ১। মাধবপুর লেক, সন্ধায় পদ্ম ফুলের সাথে আলোছায়ারা যেখানে লুকোচুরী খেলে
ছবিঃ ২। পাত্রখোলা বাংলো, ভোরে ঘুম ভাঙ্গাবে পাখির ডাক
ছবিঃ ৩। বাংলো থেকে নেমে আসা মাটির রাস্তা, একদিকে সূর্যের আলো অন্যদিকে কুয়াশায় ঢাকা
ছবিঃ ৪। প্রকৃতির ডাকে মাতিস জেগেছে খুব ভোরে
ছবিঃ ৫। ওদের সকাল হয় আমাদের আগে, বাগানের ভেতর দিয়ে কুয়াশা মেখে হেঁটে যায় কর্মস্থলে
ছবিঃ ৬। মাগুরছড়া, যেখানে গ্যাস বিস্...
#১. গতকাল সারাদিন যাব না, যাব না করেও হঠাৎ দুপুর ২টার দিকে সিদ্ধান্ত এবার ছাত্রাবস্থায় শেষবারের মত শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানানোর যে লোকদেখানো ব্যাপারটা সেটা সেরে আসি। ছেলেপিলেদের সাথে আগেই যোগাযোগ করা ছিল, তারা রওয়ানা দিল, আমিই বরং সবার শেষে তাদের সাথে যুক্ত হলাম। ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিযে আসলাম। কিছুক্ষণ ছবি তুলে যার যার মত, হলে ফিরে আসা। কিছু সময় পর আরেক বন্ধুর সাথে কর্পোরেট প্রচ...
ছবিগুলো ২০০৭ তোলা। অটোয়া, কর্নওয়ালের দিকের কিছু জায়গায় তোলা। অটোয়াকে কেমন যেন নিরিবিলি শহর লাগে; অগোছালোভাবে গোছানো! কর্নওয়ালে যেখানে গিয়েছিলাম সেটা বনভোজনেরই জায়গা। ছোট্ট নদীর (লেক-ও বলা চলে) কিনারে গড়ে তোলা হয়েছে। ছোটখাট পাহাড়, তার উপরে ভাস্কর্য; দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে নিহত কানাডিয়ান সৈনিকদের স্মরাণার্থে নির্মিত কয়েকটি স্থাপনা। খুদে ট্রেন; গ্রামীণ সংস্কৃতি নির্ভর শপি...
"আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙ্গানো একুশে ফেব্রুয়ারী, আমি কি ভুলিতে পারি?" - না ভুলতে পারিনি। তাইতো এই দিনটি এলেই শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি আমারা সেই অকুতোভয় ভাইদের, যারা তাদের বুকের তাজা রক্ত ঢেলে স্বাধীন করে গেছে আমাদের কথাকে, আমাদের লেখাকে, আমাদের গান, কবিতা, সুর, স্বপ্ন, আনন্দ, বেদনা, হাসি, কান্না ... সব ... সব ...সব! আমরা তাঁদের ভুলিনি - যারা প্রতিটি বাংলা অক্ষরকে করে গেছে তাঁদের তরে চির ঋণী।
আজ গিয়ে...
[বহুদিন কিছু লিখিনা, কলমের কালিতে জং ধরেছে। আজ একটু সময় পেলাম, কারণ বাসায় এসে রাত অব্দি অফিসের কাজের সাথে সহবাস করতে হবে না। তাই তাড়া নিয়ে আবোল-তাবোল একটা লেখা দিলাম। সচলের নীড় পাতাটা আমার লেখা না পেয়ে খুব হা-হুতাশ করেছে বলে গোপন তথ্য পেয়েছিলাম। আজ সেই দুঃখ ঘোঁচাতে এগিয়ে এলাম। কিন্তু ঝুলিতে এলে-বেলে কিছু ছবি ছাড়া আর কিছুই পেলামনা। কি আর করা, ঐসব ছবি নিয়েই আবলু-ঝাবলু লেখার ধান্দা কর...
…
যে কোনো মেলার ক্ষেত্রেই হয়তো দর্শক হিসেবে প্রথমবার আমাদের একটা মনস্তাত্ত্বিক সঙ্কট তৈরি হয়। অবশ্য এটা কোনো জটিলতা নয়, অত্যন্ত সাধারণ একটা ব্যাপার। আমাদের মানসিক চাওয়া হয়- মেলা থাকবে সুশৃঙ্খল, গোছানো। কিন্তু মজার বিষয় হচ্ছে, আমাদের মনটাই থাকে সবচাইতে অস্থির, গোলমেলে। কৌতুহল আর আগ্রহের আতিশয্যে আমরা নিজেরাই যেকোনো শৃঙ্খলা মানতে খুব অজান্তেই নারাজ হয়ে যাই। আর এই প্রবণতাটা অ...
…
বইমেলা মানেই হচ্ছে হরেক রকমের অগুনতি বইয়ের মেলা। তবে এটা কোন শেষ কথা নয়। আসলে নানা রঙের দর্শনার্থী মানুষেরই মেলা এটা। এবং চূড়ান্ত বিচারে লেখক-পাঠক-ক্রেতার মেলা। একজন দর্শনার্থীকে পাঠক থেকে ক্রেতার ভূমিকায় টেনে আনার কৌশলই হচ্ছে বইমেলার মূল দর্শন। আর এই দর্শনটাকে সফল করে তোলার লক্ষ্যেই যা কিছু আয়োজন। শেষ বিচারে মেলার সার্থকতাও ওখানেই। তাই একজন ব্যক্তি হিসেবে আমরা যখনই মেলা...