টাল বাদশা জাহাঙ্গীরের বউ নূর জাহান ছিলেন ব্যাপক চালাক মহিলা। তার আগের ঘরের একটা মেয়ে ছিল, মোগলাই খুঁটি শক্ত করার উদ্দেশ্যে তিনি সেই মেয়ের সাথে বিয়ে লাগালেন জাহাঙ্গীরের ছোট ছেলে শাহরিয়ারের। এইবার নূর জাহান ভাবলেন জামাতা শাহরিয়ার বাদশা হলেই কিল্লা ফতে!
মুস্কিল বাধালেন নূর জাহানেরই ভাই আসফ খাঁ সায়েব, তার মেয়ে মুমতাজ মহলের সাথে তখন জাহাঙ্গিরের তিন নং ছেলে খুররমের ব্যাপক ভালোবাসাবাসি। আসফ খাঁয়ের টার্গেট পরিষ্কারঃ শাহরিয়ারের গুলি মারি, তখতে বসাতে হবে জামাতা খুররমকে।
এই লাগল ভাইবোনে জামাতা ঘটিত গিয়াঞ্জাম।
ওমর শেহাব ভাইয়ের কল্যাণে বাংলাদেশের কিছু খবরের কাগজগুলোর আর্কাইভ আমার হাতে আসে কয়েক মাস আগে। ব্যস্ততার মধ্যে সেগুলো ভালো করে ঘেটে দেখা হয়নি অনেকদিন ধরে। শেষমেশ সময় পেলাম কিছুদিন আগে আর্কাইভ নিয়ে একটু সময় নিয়ে বসার। ১৫ই আগস্টে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যার ঘটনা তৎকালীন মিডিয়াতে কিভাবে রিপোর্ট করা হয়েছিল তা জানবার কৌতূহল ছিল অনেক বছর ধরে। কোন খবরের কাগজেই যে ঘটনার আসল নির্মম চিত্র তুলে ধরা
দুর্গাপূজা বাঙ্গালি হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব।
২০০১ সালেও দুর্গাপূজা এসেছিল এই জনপদে। সেবার মহালয়া ছিল অক্টোবরের ১৭ তারিখ, সোমবার। ২২ তারিখ ষষ্ঠী পূজার মাধ্যমে পূজা শুরু আর ২৬ অক্টোবর শুক্রবারে বিসর্জনের মাধ্যমে পূজা শেষ।
জেমস চার্লস জ্যাক ১৯১৮ সালে তৎকালীন বাকেরগঞ্জ (বর্তমান বরিশাল) জেলার বিস্তারিত বর্ননা BENGAL DISTRICT GAZETTEERS, BAKARGANJ এ লিপিবদ্ধ করেন। বাকেরগঞ্জ জেলার তৎকালীন আয়তন ছিল ৪৮৯১ বর্গমাইল। বর্তমান পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, ভোলা, পটুয়াখালি এবং বরিশাল জেলা তৎকালীন বাকেরগঞ্জ জেলার অংশ ছিল। এই অংশে সেই সময়কালীন বাকেরগঞ্জ জেলার যেসব প্রাণী পাওয়া যেত তার বর্ণনা অনুবাদ করা হয়েছে। -
(F A Sachseর তত্ত্বাবধানে ১৯১৭ সালে প্রথম প্রকাশিত হয় ময়মনসিংহ গ্যাজেটর। সেখানের Fauna অংশটি এখানে দুর্বল বাংলায় দিলাম। এই অংশটি অনুবাদ করতে যেয়ে মূল সমস্যা হয়েছিল নাম নিয়ে, গত ১০০ বছরে প্রাণীদের বিশেষ করে পাখির জগতে নিত্যনতুন আবিষ্কারের ফলে, বিশেষত অধুনা ডি এন এ অ্যানালাইসিস করে দেখা গেছে অনেকে পাখির গোত্র এবং পরিবারের ক্ষেত্রে আমরা ভুল ভেবেছিলাম, তাই ইংরেজি নাম তো বটেই, সঙ্গত কারণেই বৈজ্ঞানিক না
খুলনার বুনো প্রাণীদের মধ্যে ছিল বাঘ, চিতাবাঘ, গণ্ডার, বুনো মহিষ, বন্য শুকর, বনবিড়াল, হরিণ, সজারু, ভোঁদড় এবং বানর। এই সমস্ত প্রাণীগুলোই সুন্দরবনের দক্ষিণে অধিকাংশ এলাকাতেই দেখা যেত, কিন্তু উত্তরের দিকেই এদের সংখ্যা বেশ কম ছিল। গণ্ডারের দেখা বেশ ভালই মিলত তখন, ১৭২৭ সালে আলেক্সান্ডার হ্যামিল্টন সুন্দরবনে গণ্ডারের প্রাচুর্য সম্পর্কে লিখেছিলেন “ 'গণ্ডারের জিভ' এক বিরল জিনিস কারণ যে কোন শত্রুর পতন ঘটাতে
সম্ভবত ১৯৭১ সালের পর বিশ্বের বৃহত্তম শরণার্থী-স্রোত দেখছে পৃথিবীর মানুষ। এই হতভাগ্য মানুষগুলোর প্রায় সবাই মধ্যপ্রাচ্যের ইয়াজিদী, কুর্দী, বাঙালি, আরবীয়, শিয়া, সুন্নী আরও কত সম্প্রদায়ের মুসলিম, অমুসলিম; এক কথায় আদম সন্তান। আরবের রাজনীতি সিরিয়া, ইরাক, লিবিয়া, জর্ডান, তুরস্ক, ইয়েমেনসহ সবদেশকে তছনছ করে দিয়
বঙ্গবন্ধুকে মেরে ফেলার পরের দিন বিভিন্ন পত্রিকার সম্পাদকরা যেসব সম্পাদকীয় লিখেছিলেন সেগুলো হল বিশ্বাসঘাতকতার এক একটি অনুপম নিদর্শন। বাংলাদেশের সাংবাদিকতার ইতিহাসে এর চেয়ে কলংকিত অধ্যায় মনে হয় নেই। আমি এই লেখায় কয়েকটি সম্পাদকীয় আর তার সম্পাদকদের নামগুলো দিয়ে দিচ্ছি।
যদি কেউ এখনও বেঁচে থাকে আমি মনে করি জাতির সাথে তাদের বোঝাপড়ার এটাই সময়।
দৈনিক ইত্তেফাক
সম্পাদক: নুরুল ইসলাম পাটোয়ারী
এই সিরিজটি ইউভাল নোয়া হারারি রচিত Sapiens: A Brief History of Humankind এর ধারাবাহিক অনুবাদ।
সত্যি বলতে কি, সেপিয়েন্স ও নিয়ান্ডারথালের মধ্যে প্রথম যে লড়াইয়ের ব্যাপারে জানা যায়, সেখানে নিয়ান্ডারথালরা জয়ী হয়েছিল। প্রায় ১০০,০০০ বছর পূর্বে, কিছু সেপিয়েন্স দল আফ্রিকা ছেড়ে উত্তরের লেভান্তে (আজকের দিনের লেবানন, জর্ডান, ইজরায়েল) পাড়ি দেয়, যা ছিল নিয়ান্ডারথাল রাজ্য। কিন্তু সেখানে ওরা শক্ত খুঁটি গাড়তে পারে নি। এর পেছনে সেখানকার হিংস্র অধিবাসী, রুক্ষ জলবায়ু কিংবা স্থানীয় কোনো পরজীবীর হাত থাকতে পারে। তবে যে কারণই এর পেছনে থাকুক না কেন, সেপিয়েন্সরা অবশেষে পিছু হটতে বাধ্য হয় এবং নিয়ান্ডারথালরা রয়ে যায় মধ্যপ্রাচ্যের হর্তাকর্তা।