বন্ধু হাসনাত শাহরিয়ার প্রান্ত আমাকে একটি বই দিয়েছে। এখানে ৭২ থেকে ৭৫ পর্যন্ত ইত্তেফাক, সোনার বাংলা, জনপদ, গণকণ্ঠ এসব পত্রিকার ক্লিপিংস দেয়া আছে। ওর ব্যক্তিগত অনুমান ৭২ থেকে ৭৫ পর্যন্ত ইত্তেফাকের আচরণ অনেকটা এখনকার প্রথম আলোর মত। বইটির নাম হল বাংলাদেশ বাহাত্তর থেকে পঁচাত্তর। এর সম্পাদক হলেন মুনির উদ্দীন আহমদ। ঠিকানা হিসেবে দেয়া হয়েছে লন্ডনের একটি ঠিকানা। মাঝে মাঝে আমি বইটি উল্টে দেখি। অল্প ক
নতুন বছরের পয়লা দিনেই প্রথম আলোর স্পোর্টস ডেস্কে কারবালার চাইতেও ভয়াবহ মাতম। ‘কোথাকার কোন’ কোরি এন্ডারসন বিনা মেঘে বজ্রপাতের মত গেলমান সর্দার শাহেদ আফ্রিদি কে এবারে রেকর্ডের খাতায়ও দুই নম্বুরী মাল বানিয়ে ছেড়েছে। আরে বেটা, তুই হলিগে ‘সেই দেশ দুধের দেশ’ নিউজিল্যান্ডের খেলোয়াড়। কোথায় গরুর যত্নআত্মি করবি তা না, গুঁতো দিতে গেলি কিনা পাহাড়ি ছাগলের দ্রুততায় করা ১৭ বছরের কচি রেকর্ডটায়।
জয়-যুক্ত না হইয়া খন্দকার রাশিদ সাহেবের স্বপ্ন দুষ-যুক্ত হইলো: স্বপ্ন’র আগে এবং পরে।
কিন্তু এই স্বপ্ন তো শুধু খন্দকার রাশিদ (কেআর) সাহেবের একার হয়ে থাকে নাই। ‘স্বপ্ন’ নামক সংস্থাটি ব্যাক্তির সীমাবদ্ধতা ছাড়িয়ে কখন যে সমাজ, এমনকি রাষ্ট্রের সমকক্ষ হইয়া উঠলো; তা কেআর সাহেব নিজেও টের পাননি। কিন্তু কীরূপে? তাহা জানিতে হইলে আমাদিগকে পিছনে যাইতে হইবে।
কোন দেশ স্বাধীনতা যুদ্ধের স্মৃতিকে ধরে রাখতে নানা ধরনের কাজ করে থাকে। এর মধ্যে সবার উপরে থাকে ভাস্কর্য তৈরি। জার্মানী ও রাশিয়ার রাস্তায় এ ধরনের ভাস্কর্য অনেক বেশি করেই চোঁখে পড়ে। রাস্তায় রাস্তায় বীরদের বীরত্ব আর দেশের ইতিহাসের কাহিনী। সেদিক থেকে বাংলাদেশ কিছুটা হলেও পিছিয়ে ছিল। সে সময় অনেকের চোঁখে দেশকে নতুন করে গড়ার চিন্তা থাকলেও কিছু ব্যতিক্রমী মানুষ ছিলেন। যাদের চিন্তা ভাবনায় থাকত কিভাবে স্মৃতিকে সমুজ্জল করা যায়। জাগ্রত চৌরঙ্গী মুক্তিযুদ্ধের মহান শহীদদের অসামান্য আত্মত্যাগের স্মরণে নির্মিত তেমনি একটি ভাস্কর্য।মতিঝিলের শাপলা চত্বরের ভাস্কর আবদুর রাজ্জাক জাগ্রত চৌরঙ্গীর ভাস্কর। এ স্মৃতিসৌধটি ১৯৭৩ সালে নির্মাণ করা হয়। মুক্তিযুদ্ধের প্রেরণায় নির্মিত এটিই প্রথম ভাস্কর্য।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃতি এবং বিভিন্ন রকম প্রোপাগান্ডার পেছনে যে অপশক্তি অনলাইনে তৎপর, বিশেষ করে ধর্মের ছদ্মাবেশে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে যে বিশেষ গোষ্ঠী তৎপর – সেসব দাতাল শুওরদের কাজ কর্মের কিছু উদাহরণ দেখেছি আমরা এ লেখার গত পর্বে। আজ আমরা জানবো এসব শুওরছানাদের নিয়োগ, বিকাশ এবং অনলাইন প্রোপাগান্ডার কিছু নমুনা।
১।
২৩ বছরের একজন যুবক কেমন হওয়া উচিত? বুকভরা দেশপ্রেম থাকবে, মানুষের প্রতি ভালবাসা থাকবে, নম্র হতে পারে কিংবা উদ্ধত। যেমনই হোক না কেন, ২৩ বছরের যুবক শুনলে আমরা কল্পনা করি দু’চোখ জোড়া বিশাল বিশাল স্বপ্ন নিয়ে বেঁচে থাকা প্রাণপ্রাচুযর্ময় একজন মানুষকে। আসুন আমরা দু’জন ২৩ বছরের যুবকের সাথে পরিচিত হই।
আদর্শ আর নীতি নিয়ে ওদের অনেক বড়াই ছিলো
ওদের কাছে মুক্তিযুদ্ধ ‘দুই কুকুরের লড়াই’ ছিলো!
চিরকালই এই দাদারা ইহার উহার লেজুড় ছিলো
এই দাদাদের পোটলায় লাল খোর্মা এবং খেজুড় ছিলো!
“রাজনীতিবিদদের জন্য জটিল করে যাব রাজনীতি” বলে ছিলেন মেজর জিয়া। কিন্তু তা পূর্ন বাস্তবে পরিণত করে দেখিয়েছে এরশাদ। “মুক্তিযোদ্ধারা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ সন্তান”। নীচে লেখা ছিল হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদ। এই ধরণের ব্যানারে সাজানো ছিল রাজধানী ঢাকার পথ-ঘাট। ঠিক একই সময়ে অনেক সময় এরশাদের ব্যানারের নীচেই ঝুলত; মেজর ফারুক- রশিদের ফ্রিডম পার্টির বক্তব্য; “ শেখ মুজিবকে হত্যা করে দেশ স্বাধীন করেছি ১৫ই আগস্ট ১৯৭৫।