অনেক দিন আগের কথা। আমি তখন ক্লাস এইটে। একদিন দেখি আমার এক চাচা ও তার বন্ধু 'লাল-সালু' উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র মজিদের সংলাপগুলো আওরাচ্ছে আর হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খাচ্ছে। আমার ঐ চাচা তখন ইন্টারমিডিয়েটের শিক্ষার্থী ছিল। আমার মনে আছে, আমার ঐ চাচা যখন বিএ (ডিগ্রি)র শিক্ষার্থী ছিল, তখন এমনি করেই একদিন সৈয়দ আবুল মনসুর আহমেদের 'হুযুর কেবলা' নিয়ে দারুণভাবে আমোদিত হয়েছিল। কিন্তু আমার সেই চাচা এখন আর মজিদ ব
গ্রীক পুরাণ পড়তে গিয়ে একটা ব্যাপারে শান্তি পেয়েছি এই জেনে যে, শুধু আমরা বাংলাদেশীরাই ইতিহাসের ব্যাপারে গিট্টু লাগাতে ওস্তাদ নই। এই ব্যাপারে আরো বহু ওস্তাদ আছেন। সেই গ্রীক আমলেরই এমন এক ওস্তাদোকা ওস্তাদ হলেন ওভিড। ওভিড গ্রীক পুরাণ রচয়িতাদের মধ্যে সেরাদের কাতারেই পরেন কিন্তু তার কিছু কাহিনী অন্যদের কাহিনীর বিপরীত দাবী জানায়। এই ওভিড একাই মজার এক কাহিনী বর্ণনা করলেন যেখানে পার্সিয়াস সেরিফাসে ফেরার পথ
আগের পর্বঃ গ্রীক পুরাণের মহানায়কেরা - পর্ব ০১
এরপর...
শিশু পালন একটা চব্বিশ ঘণ্টার কাজ। তার সাথে অন্য কোন কাজ করতে হলে চব্বিশ ঘণ্টায় আর কুলিয়ে উঠতে পারি না। মনে হয় দিনটি ৮৪ ঘণ্টার হলে ভাল হতো। বড়টাকে ঘুম পাড়িয়ে ভাত নিয়ে বসেছি। ছোটটা মায়ের দুধ খাচ্ছে। ফোন বাজছে। তাড়াতাড়ি ধরতে হবে, না হলে মেয়েটার ঘুম ভেঙ্গে যাবে। বাঁহাতের মুঠোয় ধরা কাঁচা লংকা টেবিলে রেখে ফোন ধরে বললাম; কায়সার বলছি...
বসন্ত কাল। জ্বলন্ত হলুদে ঝলসে আছে প্রকৃতি। চারপাশে এতো হলুদ যে চোখ ঝাঁঝিয়ে যায়। কৃষ্ণচূড়ায় ছেয়ে থাকা বন। হঠাৎই গাছে গাছে বিদ্রোহ শুরু হল। চারপাশ দাউদাউ করে আগুন জ্বলে উঠে। হুতাশন, সর্বত্র হুতাশন। নাকে এসে পোড়া গন্ধ জ্বালা ধরায়। ধড়মড় করে জেগে উঠলেন রংবালা। ততক্ষণে আগুন স্নানঘর, রান্নাঘর ছাড়িয়ে পাশের ঘরের পূবদিকের আলমিড়া পর্যন্ত চলে এসেছে। স্বপ্ন ও জাগরণের দ্বিধান্বিত সাঁকো পার হতে কয়েক সেকেন্ড সময়
৪২ বছরেও আমাদের ঘুম ভাঙেনি। অনেক হয়েছে এবার আমরা ভোর দেখতে চাই। প্রসঙ্গতই আমার এই লেখাটা যুদ্ধাপরাধী আর জামাত-শিবির নিয়ে। ব্যক্তিগত ভাবে জামাত-শিবির আমার খুবই অপছন্দের। মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে জামাতে ইসলামের রাজনীতি বাংলাদেশে নিষিদ্ধ ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে এই নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে দেয়া হয় আর ধীরে ধীরে বিভিন্ন কলাকৌশল অবলম্বন করে তারা আজ বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় রাজনৈতিক দলের একটি। ২০০১ সালের সালে