বাবুর লোদীর লড়াই। ইয়া ঢিশুমা!
সম্পূর্ণ রঙ্গীন সামাজিক অ্যাকশনধর্মী ভিডিও ব্লগ। ঢাকাসহ সারাদেশে শুভমুক্তি।
২১ নভেম্বর, ১৯৭১। লেলাং স্তব্ধ হয় পাকস্তানী বাহিনীর গণহত্যায়। চট্টগ্রামে ফটিকছড়ির কয়েকটি স্থানে চলে গণহত্যা। এরমধ্যে আছে লেলাং ইউনিয়নের শাহনগর গ্রাম, কাঞ্চননগর, নানুপুর বিনাজুড়ি খাল, হাসনাবাদ, আজিমনগর, নিউ দাঁতমারা চা বাগান।
সাম্প্রতিককালের ভারতীয় চলচ্চিত্র ‘সিংঘম’-এর হিন্দী ভারসান যারা দেখেছেন তারা হয়তো লক্ষ করে থাকবেন সেখানে একবার পুলিশের হাতে অপরাধীচক্রের এক সদস্য ধরা পরে। ইন্টারোগেশনে ঐ অপরাধী তার মাতৃভাষায় যা কিছু বলে তার কিছুই পুলিশ অফিসাররা বুঝতে পারেন না। তখন এক কনস্টেবল এগিয়ে এসে বলেন যে, ভাষাটা ‘তুলু’ এবং তিনি এই ভাষাটা জানেন। এই ভাষাটার নাম আগে কখনো শুনিনি। ভারত বহু ভাষার দেশ, সেখানে ‘তুলু’ নামে একটা ভাষা থাকতেই পারে। কিন্তু কোন জায়গার মানুষ এই ভাষায় কথা বলে? এই ব্যাপারে একটু আগ্রহী হয়ে খোঁজ নিতে দেখি সে এক বিরাট কারবার!
আগস্ট ১২, ১৯৭৫। ঢাকা গলফ ক্লাবের একটা সন্ধ্যা। দোতালা আজকে কেমন যেন একটু বেশী উজ্জ্বল মনে হচ্ছে। দু’একটা তারাবাতি দরজার চারপাশে ছড়ানো। ত্রস্তপায়ে বাটলাররা দৌড়দৌড়ি করছেন। ক্যান্টনমেন্টের মূল রাস্তা থেকে একটু দূরে। মেইন রোড ধরে কিছু দূর আগালে চোখে পড়ে গলফ ক্লাবের দিকে যাবার সংকেত। সবুজে উপর হলুদ অক্ষরে লেখা “ঢাকা গলফ ক্লা-”। ব টি কেমন যেন একটু ঝাপসা হয়ে গেছে।বাঁ দিকে ঘুড়ে কিছু দূর আগালেই বাঁধ
ভাস্কো দা গামা কালিকটে ভিড়ার প্রায় এক শতাব্দী পরে ওলন্দাজ ইয়ান হাউখেন ফন লিন্সখ্যোতেন ১৫৮৩ এর সেপ্টেম্বরে গোয়াতে আসেন। লাইন ধরে সকল পর্তুগীজ রমণী মহানন্দে ভারতীয় খাবার খাচ্ছে দেখে তিনি তো অবাক। মূল খাবার ছিল সিদ্ধ ভাতের উপর পানির মত পাতলা স্যুপ ঢেলে তার সাথে মাছ, টক আমের আচার আর মাছ বা মাংসের ঝোল। ষোড়শ শতাব্দীর ইয়োরোপীয় যার মূল খাবার ছিল রুটি আর ঝলসানো মাংস, তার এইসব অচিন খানা দেখে অবাক লাগারই কথা। ভারতের পর্তুগীজেরা আপাত অপরিচিত খাবার খেয়ে হজম করত শুধু তাই নয়, একবারে খাঁটি ভারতীয়ের মত হাত দিয়েই খেত। রমণীরা কারো হাতে চামচ দেখলে তাই নিয়ে ভারি হাসাহাসি করত।
মোগল বাদশাদের সবসময়ই ধারণা ছিল সফরের সময় পাত্রমিত্রসিপাইসান্ত্রী কাঁধে নিয়ে ঘুরলে বিপদেআপদে কাজে আসবে। সফরের মূলমন্ত্র ছিল গতি, থামা চলবে না। বলা হত এমনকি চমৎকার দিলখোশ নদীর পারের সূর্যাস্তের ভিউওলা স্থানেও এক রাতের বেশী দুরাত আরাম করে তাঁবু গেড়ে বসা যাবেনা অযথা। আওরঙ্গজেব বলেনঃ “সম্রাটের কখনোই আয়েসে গা ঢেলে আরামে মত্ত হওয়া যাবেনা। এভাবেই একের পর এক দুর্বল রাজ্য হার মেনেছে। সবসময় চলার উপর থাকতে হবে যথাসম্ভব। উত্তম রাজা বহমান পানির ধারার মতই, থেমে গেলে সর্বনাশ।”
আওরঙ্গজেব এই সর্বদা দৌড়ের উপর থাকার পলিসি খাটিয়ে নিজের বাপকেও কোণঠাসা করে এনেছিলেন, পিতা শাজাহান আগ্রা আর দিল্লীতেই ছিলেন গ্যাঁট হয়ে বসা।
প্রতিদিন দুপুর বারোটায় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সুরাট কুঠির ইংরেজ অফিসারেরা বিরাট হলরুমে খেতে বসতেন লাইন ধরে। এক চাকর বদনা হাতে ঘুরে ঘুরে সকলের হাত ধুইয়ে দিত। ১৬৮৯ সালে জন অভিংটন নামে এক পাদ্রী খেতে বসেছিলেন ঐ খানাঘরে বাকীদের সাথে। ঝরঝরে চাউলের পুলাউ পরিবেশিত হয়েছিল, দানাগুলো একে অপরের সাথে লেগে ধরেনি আর তাতে মেশানো ছিল চৌদ্দরকম মশলা। টেবিলে আরো ছিল “দমপোখত”, মুর্গীর ভিতর কিসমিস বাদাম ঠেসে ভরে কড়াইয়ে ঘিতে চুবিয়ে রান্না হত এই খাবার। আরো ছিল কাবাব, নুন গোলমরিচ রসুন মাখা গরু আর খাসির গোস্ত তেলে ভাজা, যার “প্রতিটি টুকরার ভিতর মেশানো থাকত নানান মশলা।”