বর্তমান মানব সভ্যতার পিছনে যে কয়টি শহর ও সংস্কৃতির অবদান অনস্বীকার্য তাদের মধ্যে সবচেয়ে অগ্রগামীদের অন্যতম রোম। প্রায় তিন হাজার বছর আগে যাত্রা শুরু করা এই তিলোত্তমা শহর গত দুই হাজার বছর ধরে ইউরোপ তথা সমগ্র বিশ্বের প্রাণকেন্দ্র। এই শহরেই গোড়াপত্তন ঘটে রোমান সভ্যতার, যা শাসন করেছে তৎকালীন জানা বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশী, যার অবদান আমরা এখনো প্রতিনিয়ত অনুভব করি প্রতিদিনের নিত্য জীবনে। চলুন পাঠক ঘুরে
২৬ জুলাই, ১৯৫৩। নিজ দেশের স্বৈরশাসক সেনাবাহিনী প্রধান বাতিস্তার নির্মম শাসনের বিরুদ্ধে বিপ্লবের অগ্নিশপথ নিয়ে মোনকাদা নামের এক সেনাব্যারাকে আক্রমণ করলেন একদল বিপ্লবী, নেতৃত্বে ফিদেল কাস্ত্রো নামের এক তরুণ আইনজীবি। দেশমাতৃকার উপর চলমান দমন পীড়নের বিরুদ্ধে হাতের অতি অপ্রতুল সম্পদ নিয়েই ছোট ভাই রাউল ও অন্যান্য বন্ধুদের মন দ্রোহের মন্ত্রে উদ্দীপ্ত করেই সেই আক্রমণ থেকে বার্তা পৌছাতে চাইলেন শাসক গোষ্
প্রশান্ত মহাসাগরের সুনীল জলরাশি, যে দিকেই তাকানো যায় না কেন থৈ থৈ অতল নীল জল দিগন্ত পর্যন্ত বিস্তৃত। এই উথাল-পাথাল ঢেউ-এর মাঝেই গাছের গুড়ি দিয়ে তৈরি ক্ষুদ্রাকৃতির নেহাৎ পলকা দর্শন এক ভেলা বিপুল জলসীমানা চিরে ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছে আপন গন্তব্যে, ছয় জন দুঃসাহসী নাবিক এর সওয়ার, তাদের মধ্যমণি হয়ে আছেন প্রাতঃস্মরণীয় এক নরওয়েজিয়ান, স্ক্যান্ডিনেভিয়ার পুরাণকথার হাতুড়ির আঘাতে বজ্রপাত ঘটানো দেব
খুব গল্প শুনি স্টকহোমের। সেখানে যেই ঘুরতে যায়, ফিরে এসে উচ্ছাস ভরা কণ্ঠে বলতে থাকে স্টকহোমের কথা, যাকে বলা হয় City on Water। নোবেল প্রাইজের কথা, সেখানকার গামলা স্টানের (পুরনো শহর) বর্ণিল বাড়িঘর, সরু সরু আঁকাবাঁকা শত বছরের পুরনো রাস্তা, রাজার প্রাসাদ, অসংখ্য সেতু আর শহরের বুক চিরে যাওয়া খালের অপূর্ব সমন্বয় আর সদা হাস্যরতা স্বর্ণকেশী সুইডিশ তরুণীদের কথা। মুগ্ধ হয়ে তাদের বয়ান শুনতে থাকি, কল্প
“মানুষ কীভাবে এই শহরে যেত যিকালী?”
“আমার মনে হয় সমুদ্র পথে, মাকুমাজন। তবে আমার ধারনা তোমার ঐ পথে না যাওয়াই ভালো। সমুদ্র পাঁড়ের জলাপথ এখন পার করা অসম্ভব। তোমার পায়ে হেঁটে যাওয়াই তোমার পক্ষে নিরাপদ”
“যিকালী তুমি কেন আমাকে এই অভিযানে পাঠাতে চাও? আমি জানি তুমি উদ্দেশ্য ছাড়া কিছু কর না।”
সবকটা জানালা খুলে দাওনা .. ‘জানালা’ খুলে দেবার বিষয়টা আমাদের গদ্যে,পদ্যে বিভিন্নভাবে বলা হয়েছে, বলা হচ্ছে, আরো বলা হবে। কিন্তু এই শব্দগুলো একসাথে শুনলে যে গানের কথা আমাদের মনে পড়ে তার সাথে আমাদের নিরাকার বোধ জড়িত। এই জানলা খুলে দেয়ার সাথে একটা দেশের কতটা আবেগ জড়িত হয়ে যাবে তাকি জানতেন প্রয়াত নজরুল ইসলাম বাবু যখন তিনি অক্ষরে অক্ষরে গেঁথেছিলেন এই অবিনাশী গান; কতটা বুঝেছিলেন আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল যখন তিনি ভেতরের সবটুকু আবেগ নিয়ে জল ছাপিয়ে যাওয়া দু’চোখে প্রথমবার সুরে গেঁথেছেন, কিংবা সাবিনা ইয়াসমিন, তিনি যখন প্রথম তার কিন্নর কণ্ঠে গানটা তুলেছিলেন। আমাদের ভাগ্য ভালো এখনো এই গানটির ফিউশন করার চেষ্টা কেউ করেনি।
(ছবিঃ কাযিমিরেয পি'হস্কি)