Warning: Creating default object from empty value in i18ntaxonomy_term_page() (line 34 of /var/www/sachalayatan/s6/sites/all/modules/i18n/i18ntaxonomy/i18ntaxonomy.pages.inc).

ইতিহাস

বাঁশিওয়ালার হ্যামিলন

তারেক অণু এর ছবি
লিখেছেন তারেক অণু (তারিখ: শুক্র, ১৫/০৭/২০১১ - ৯:৩৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১২৮৪ সাল। মধ্যযুগের জার্মানির ছায়া ঘেরা, পাখি ডাকা, শান্তিময় ক্ষুদে এক পাহাড়ি শহর হ্যামিলনে দেখা দিল আচমকা মহা উপদ্রব- ইদুর! হাজার হাজার, লক্ষ লক্ষ সুবিশাল ইদুরের পাল, তাদের অত্যাচারে বেড়াল তো বেড়াল, মানুষের অস্তিত্ব টেকানোই দায় হয়ে পড়ল সেই পাহাড় ঘেরা উপত্যকায়। অবশেষে রূপকথার গল্পের মত দেখা দিলেন মহান ত্রাতা, নানা বর্ণের ডোরাকাটা রঙচঙে নকশাদার পোশাক পরা এক বাঁশিওয়ালা। নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থের বিনিময়ে সে আশ্বাস দিল বিনাশ করে ছাড়বে ইদুরের দলকে।

প্রতিশ্রুতি মোতাবেক ব্যবস্থার অংশ হিসেবে ঝোলা থেকে এক অদ্ভুত বাঁশি বের করে অদ্ভুততর সুর সৃষ্টি করে চলল অবিরত, সেই মোহনীয় সুরেই মাতোয়ারা হয়ে দিকবিদিক ভুলে ইদুরের দল শুরু করল তার পিছু চলা। এক পর্যায়ে খরস্রোতা ভাইজার নদীর কিনারে এসে চতুর বাঁশিওয়ালার চালে সমস্ত ইদুরের পাল লাফিয়ে পড়তে লাগল সেই বহমান হিমশীতল জলে, খড়কুটোর মত ভেসে গেল তারা দূর কোন অঞ্চলে অথবা খরস্রোতা অথৈ জলের নিচে ঘটল সলিল সমাধি। হামিলন হল ইদুর মুক্ত।


নোবেল অশান্তি – অশান্তির নোবেল

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: সোম, ২০/০৬/২০১১ - ৮:৪৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

হিটলার, মুসোলিনি, স্টালিন – এ্যারা তিনজনেই নাকি নোবেল শান্তি পুরস্কারের লাইগা মনোনয়ন পাইসিলো! এখানে দেখুন

হেদিন কলকাতার এক সিনিয়ার সাংবাদিক কাইতাসিলো সে নাকি মাদার তেরেসা আর মিশনারিস অফ চ্যারিটিস-রে ব্যক্তিগতভাবে পসন্দ করে না। আমি তো হুইনা অবাক – এ্যাদ্দিন তো জানতাম নেলসন ম্যান্ডেলা, মাদার তেরেসা, মার্টিন লুথার কিং জুনিয়ার, অং সান সু চি – এ্যাগো নোবেল সব তর্কাতর্কির উপরে। সেই সাংবাদিক কয় মিশনারিজ অফ চ্যারিটিস-এর নাকি ঝামেলা আসে।


ইতিহাস পুনর্পাঠ (১ - ৮)

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি
লিখেছেন ষষ্ঠ পাণ্ডব (তারিখ: মঙ্গল, ১৪/০৬/২০১১ - ২:১১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১.

নাজাফি বংশের প্রতিষ্ঠাতা গাদ্দার-ই-আবরার নওয়াব মীর জাফর আলী খানকে বাংলার মানুষ “মীরজাফর” নামে চেনেন। এ’দেশে কাউকে “মীরজাফর” বলা হলে তাকে আসলে কী বলা হলো তার আর কোনো ব্যাখ্যা দেবার দরকার হয় না। নাজাফি বংশের শেষ নওয়াবের নাম মনসুর আলী খান। মনসুর আলী খানের ছেলে সাইয়্যেদ মুহাম্মাদ ফতেহ্‌ আলী মির্জা’র বড় ছেলের নাম ইস্কান্দার আলী মির্জা - সংক্ষেপে ইস্কান্দার মির্জা। মুর্শিদাবাদে জন্মানো এই নবাবপুত্তুর ছিলেন পাকিস্তানের সর্বশেষ বড়লাট (গভর্নর জেনারেল) আর প্রথম প্রেসিডেন্ট। পাকিস্তানে প্রথম সামরিক শাসন জারীর কৃতিত্বও এই হুজুরের। সামরিক শাসন জারীর বিশ দিনের মাথায় উনাকে ক্ষমতা আর দেশ দুইটাই ছাড়তে হয়। গাদ্দারদের প্রথম পুরুষ যেমন চতুর্দশ পুরুষও তেমনই তার নিজের দেশ-জাতির বারোটা বাজিয়ে গেছে, কিন্তু বেশি দিন ক্ষমতা ভোগ করতে পারেনি।