ইখতিয়ার উদ্দিন মুহাম্মদ বিন বখতিয়ার খিলজিকে ভারতবর্ষে সবাই চেনে। ভারতবর্ষের বাইরেও অচেনা নন তিনি। উপমহাদেশে মুসলমান রাজত্বের সূচনা তাঁর হাত দিয়েই হয়েছিল। কারো কাছে তিনি মহানায়ক, কারো চোখে তিনি মহাভিলেন। বখতিয়ার খিলজির বীরত্বের কিংবদন্তি সবাই জানলেও তাঁর শেষ অভিযান সম্পর্কে খুব বেশী মানুষ জানে না।
পর্ব = ৭
(পূর্ববর্তী পর্বের লিঙ্ক গল্পের শেষে)
ওরা লম্বা একটা তারের টুকরো ভেঙ্গে নিয়ে এক কোনায় লুকিয়ে রাখলো। সূখোভ কয়েকটা তক্তা পেরেক ঠুকে জুড়ে দিয়ে একটা মই বানিয়ে গপচিককে পাঠালো স্টোভের পাইপটা ঝুলিয়ে দেয়ার জন্য। ছোকড়াটা একেবারে কাঠবেড়ালির মত চটপটে, তরতর করে খাম্বা বেয়ে উঠে দু-একটা পেরেক ঠুকে তার মধ্যে তার জড়িয়ে সেটা পাইপের তলা দিয়ে ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে নিল। সে নিজ থেকেই পাইপটার প্রান্তের কাছটায় আবার বেঁকিয়ে দিলো, ছেলেটার উৎসাহ দেখে সূখোভ আর কিছু বললো না। আজকের বাতাসের গতি খুব বেশী না হলেও কাল যে হবে না সেটাতো আর বলা যায় না, আর এই বাঁকানোটা ধোঁয়া বেরুনো রোধ করবে। ভুলে যাওয়া যাবে না যে স্টোভটা সারানো হচ্ছে ওদের সবার নিজেদের স্বার্থেই।
১৯২৯ সালের এপ্রিল মাসের এক সন্ধ্যা। প্যারিসের আরসুলিন স্টুডিওর চারশো আসনের প্রেক্ষাগৃহ সেদিন কানায় কানায় পূর্ণ! আলো নিভে যেতে দর্শকরা এমন এক অনুভূতির মুখোমুখি হলেন যা এযাবৎ ছিল অনাস্বাদিত।
"একদা...
একটা ব্যালকনি। রাত। একটা লোক ব্যালকনির ধারে দাঁড়িয়ে ক্ষু্রে শান দিচ্ছে।
লোকটা জানলা দিয়ে আকাশের দিকে তাকাল।
পর্ব = ৬
(পূর্ববর্তী পর্বের লিঙ্ক গল্পের শেষে)
এই বিস্তির্ন তুষার ঢাকা প্রান্তরে জানালার কপাটগুলো তুলে লাগানোর মত কিছু খুঁজে পাওয়া কঠিন। কিন্তু কিল্গাস বললো, “ভান্যিয়া (আইভান নামের সংক্ষিপ্ত রুপ), আমি একটা জায়গার খবর জানি যেখানে দারুন ফেল্টের (Felt : পশম বা লোমকে চেপে তৈরী এক ধরনের মোটা কাপর) রোল আছে যেগুলো ফ্রেমের সাথে জুড়ে ছাদের কাঠামোর অংশগুলো তৈরী হচ্ছে। ওগুলো আমি নিজের হাতে সরিয়ে রেখেছিলাম। চল, ওগুলো চুরি করে নিয়ে আসি।”
কিল্গাস জাতে লাটভিয় কিন্তু রাশান ভাষায় কথাবার্তা বলতে পারে একেবারে স্থানীয়দের মত। ওদের গ্রামের কাছে একটা প্রাচীন মতাদর্শীদের (Old Believers, এরা ১৬৬৬ ইং সনে এই মতাদর্শীরা আদর্শগত বিরোধের কারনে রাশান অর্থোডক্স চার্চ থেকে নিজেদের বিচ্ছিন করে ফেলেছিল) একটা উপনিবেশ ছিল এবং একারনে শৈশব থেকেই তার রাশান ভাষা শেখা হয়ে গিয়েছিল। তার ক্যাম্পের জীবন মাত্র দুই বছরের, কিন্তু এরমধ্যেই সে সব কায়দা-কানুন বুঝে নিয়েছে। এখানে দাঁত দিয়ে কামড়ে আদায় করে নিতে না জানলে কিছুই পাওয়া যায় না। ওর আসল নাম জোহান এবং সূখোভও ওকে ভান্যিয়া বলেই ডাকে।
পর্ব = ৫
(পূর্ববর্তী পর্বের লিঙ্ক গল্পের শেষে)
১০৪ নম্বর দলটা মেরামত কারখানার একটা বড় ঘরে গেল যেটার জানালাগুলো গত শরৎকালেই ঘসেমেজে চকচকে করা হয়েছে আর সেটাতে ৩৮ নম্বর দলটা কংক্রিটের স্ল্যাব ঢালাইয়ের কাজ করছে। কিছু স্ল্যাব কাঠের ছাঁচের ভেতরে রাখা আর অন্যগুলো তারের জাল দিয়ে পোক্ত করে বানিয়ে দাঁড় করিয়ে রাখা। ছাদটা অনেক উঁচু আর মেঝেটা শুধুই মাটির। জায়গাটা একেবারে হিমশীতল হয়ে থাকতো, যদি না কয়লা জ্বালিয়ে উষ্ণ করে না রাখা হতো, অবশ্য সেটা কর্মীদের জন্য নয়, স্ল্যাবগুলো যাতে তারাতারি জমাট বাধঁতে পারে সেজন্য। সেখানে একটা থার্মোমিটারও আছে। এমনকি রোববারগুলোতেও, কেও যদি কোন কারনে নাও আসে, একজন সিভিলিয়ানকে সেখানে রাখা হয় শুধু উনুনটা জ্বালিয়ে রাখার জন্য। ৩৮ নম্বর দলের লোকেরা স্বাভাবিকভাবেই বাইরের কাউকে উনুনের আশেপাশে বসতে দিতে আগ্রহী না। তাদের দলের লোকেরাই সেটার চারপাশে বসে পায়ে প্যাঁচানোর ন্যাকরাগুলো শুকোচ্ছে। কি আর করা, ওই কোনায় বসা যায়, ওই জায়গাটাও খারাপ না।
ভণিতা:
ইতিহাস একজন বেচারা দর্শক মাত্র। তার বুকের উপর এফোঁড় ওফোঁড় করে কত নায়ক মহানায়ক কতশত কাণ্ডকীর্তি করে যায়, ফ্যালফ্যাল করে চেয়ে দেখা ছাড়া বেচারার আর কিছুই করার থাকে না। কিন্তু ইতিহাস পাঠক চাইলে সেই কীর্তিগুলো উল্টে পাল্টে যাচাই বাছাই করে দেখতে পারে, সত্যি-মিথ্যা নির্ণয়ের চেষ্টা চালাতে পারে। নগন্য ইতিহাস পাঠক হিসেবে সেরকমই একখানা দুঃসাহসিক চেষ্টার ফলাফল এই পোস্ট। এটি শতভাগ নির্ভুল এমন বোকাটে দাবী করছি না। পোস্টখানা একজন খুব জটিল রহস্যময় ঐতিহাসিক রাজনৈতিক ব্যক্তির বৈচিত্রময় উত্থান সম্পর্কে দু'পয়সার কিছু ভাবনা ভাগ করে নেবার চেষ্টা মাত্র।
[justify]সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে থাকা ত্রিশ কোটি বাঙালীর প্রত্যেকে জানেন ‘২১শে ফেব্রুয়ারি’ মানে কী। তারা এইটুকু অন্তত জানেন ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি বাংলা ভাষার মর্যাদার জন্য লড়াই হয়েছিল, সেখানে কিছু বাঙালী জীবন দিয়েছিলেন, শেষে বাংলা তার প্রাপ্য মর্যাদা অর্জন করে — যদিও প্রকৃত ইতিহাস শুধু এইটুকুতে সীমাবদ্ধ নয়। যারা আরেকটু খোঁজ রাখেন তারা জানেন ১৯৬১ সালের ১৯শে মে আসামের বরাক উপত্যকায়ও বাংলা ভাষার মর্
[justify]
পর্ব = ৪
(পূর্ববর্তী পর্বের লিঙ্ক গল্পের শেষে)
ভিড়টা হালকা হয়ে আসছে। গার্ড-হাউজের পেছনে প্রহরীদের জ্বালানো আগুনটা জ্বলছে। এরা সবসময়ই বন্দীদের বাইরে কাজে পাঠানোর সময় আগুন জ্বালায়। একদিকে গাটাও গরম রাখা যায়, অন্যদিকে আগুনের আলোর কারনে গুনাগুনির কাজের সময় দেখতেও সুবিধা হয়।
গেটের প্রহরীদের একজন দ্রুত গুনতে লাগলো, “প্রথম,দ্বিতীয়, তৃতীয়...”