১.
মোহাম্মদ আলী স্যারকে আমরা সার্কিটপাগল মানুষ হিসেবেই জানি। দীর্ঘদিন ধরে জটিল এবং ভয়ঙ্করদর্শন সব সার্কিটের নাড়িনক্ষত্র বের করা শেখানো এই আপাতগম্ভীর মানুষটিও যে বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ে ভাবেন এবং ভাবতে ভালোবাসেন- তার পরিচয় আমরা পাই, বাংলাদেশ যেদিন ওয়েস্ট-ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ৫৮ রানে অলআউট হয়, তার পরদিন। পাওয়ার ইলেক্ট্রনিক্স ক্লাসের স্বাভাবিক প্রথা ভেঙে স্যার নিজেই সেদিন আমাদের সাথে ক্রিকেট নিয়ে জম্পেশ আড্ডা দিতে শুরু করেন। স্যার সেদিন মজা করে বলছিলেন, বাংলাদেশের ছেলেদের ক্রিকেট খেলাই ঠিক নয়। ক্রিকেটের জন্য দরকার জার্মানদের মত ফিটনেস আর অসিদের মত কুলনেস, যার কোনোটাই বাংলাদেশি ছেলেদের নেই। বড় দুঃখ থেকে স্যার এই কথাগুলো বলেছিলেন-সন্দেহ নেই। আমরা অবাক হয়েছিলাম এই দেখে যে সারাজীবন সিংগেল থাকা এই মানুষটাও সাকিব, তামিম আর মুশফিকদের নিয়ে আমাদের চেয়ে এতোটুকু কম ভাবেন না।
"হ্যালো, সাকিব বলছেন?"
"স্লামালিকুম। আপনি কে ভাই?"
"আমাকে চিনবেন না। আমি অছ্যুৎ বলাই।"
"কি যে কন! আপনাকে না চেনার কি হলো উৎপাত ভাই! দেশের সবচেয়ে বড়ো ক্রীড়া সাংবাদিক আপনে, আর আপনেরে চিনুম না এইডা তো কবীরাহ গুনাহ হইবো রোজা-রমজানের মাস।"
সুপার কাপঃ আবারো সুপার ফাইনাল
বিপুল পরিমাণ অর্থ ঢেলে রাতারাতি গজিয়ে ওঠা দলগুলোর প্রতি আমার খানিকটা এলার্জি আছে। যে কারণে চেলসি বা রিয়েলের প্রতি আমার বিন্দুমাত্র সহানুভূতি নেই, যে কারণে ইদানীং শেখা জামাল দলটার উপর খানিকটা আক্রোশই তৈরি হয়েছে বলা চলে। মোফাজ্জল মায়া ও মঞ্জুর কাদের সাহেবরা যখন অর্থের জোরে আফ্রো-বঙ্গ তন্ন তন্ন করে দু রাজ্যের সমস্ত ভালো খেলোয়াড় জড়ো করেন এক সামিয়ানার নিচে, এদিকে দেশীয় খেলোয়াড়দের গোটা মৌসুম সাইডবেঞ্চে বসিয়ে রেখে ফুটবলকে পঙ্গু করার পাকা বন্দোবস্ত সম্পন্ন করেন, তখন আপনা থেকেই দলটির প্রতি এক ধরণের বৈরীভাব তৈরি হয়। সুপার কাপের সেমিতে তাই যখন দলটি মোহামেডানের কাছে নির্মমভাবে পরাজিত হয়, আমি তখন মোহামেডানের ঘোর বিরোধী হয়েও উল্লাস করি। উল্লাসটা দ্বিগুণ হয় যখন ফাইনালটা আবাহনী-মোহামেডানের ফাইনালে রূপ নেয়।
[justify]কালো মাণিক পেলে বেশি ভালো খেলতেন, নাকি ফুটবল ঈশ্বর ম্যারাডোনা ?? মিশেল প্লাতিনি তুলনামূলক কতটা এগিয়ে জিনেদিন জিদানের চাইতে, অথবা পিছিয়ে ?? ১৯৭০ এর ব্রাজিল বেশি ভালো, না ১৯৫৪ এর হাঙ্গেরী ?? স্বপ্নের দল হিসেবে ক্রুইফের বার্সেলোনা না সাচ্চির মিলান- কোন দলটি এগিয়ে ?? ...
প্রার্থনার শক্তি ও সামর্থে আমি মোটামুটি আস্থাশীল। আমার মনে আছে, বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের সাথে ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে এসে গোটা বাঙালীর সমস্ত আবেগ আর ভালোবাসা যেন কেন্দ্রীভূত হয়েছিলো ১১টি দামাল ছেলের মাঝে। নিজের অজান্তেই আমরা সবাই সেদিন এই ছেলেগুলোর জন্য প্রার্থনা করেছিলাম। চোখের জলে হয়তো ভিজে গেছি আমরা, কিন্তু শেষ বলটি না হওয়া পর্যন্ত আমরা প্রার্থনা করে গেছি। বাংলাদেশ ফুটবল দলের জন্য কিংবা দেশীয় কোন ক্ল
[justify]অদ্রোহ আনাড়ি হাতে ভুস করে আমার মুখের উপর সিগারেটের ধোঁয়া ছেড়ে বললো, "স্যার যা করেন, মঙ্গলের জন্যেই করেন।"
প্রতি বছর এই সময় সুইডেনের প্রায় সব গুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল স্কুলের ছেলে মেয়েদের মাঝে ইন্টার ইউনিভার্সিটি ব্রানবল টুর্নামেন্ট হয়। ব্রানবল খেলার সাথে ক্রিকেটের কিছু মিল খুঁজে পাওয়াতে কিছু না বুঝেই আগ্রহী হয়ে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি টিমে নাম দিয়ে ফেলি!
বাংলাদেশের সাবেক ক্রিকেট কোচ জেমি সিডন্স। মাত্র গত সপ্তাহেই তিনি নিজের দেশ অস্ট্রেলিয়ায় ফিরে গেলেন। চার বছরে বাংলাদেশকে তিনি কম চিনেননি। আমরাও তাঁকে কম জানিনি। যাওয়ার আগে এদেশের অনেক ক্রীড়ামোদীর শ্রদ্ধামিশ্রিত ভালোবাসা তাঁকে ঘিরে ছিল। কিন্তু নিজের দেশে ফিরে যেতে না যেতেই তিনি যেসব কথাবার্তা বলতে শুরু করেছেন তা শুনলে অবাক হতেই হয়।
জাহিদ ভাইয়ের কাছ থেকে আচমকা আমন্ত্রণ পেয়েছিলাম দাবা খেলার। উনি কানাডাতে থাকেন, আমি ইউরোপে। ইন্টারনেটের কল্যাণে দুরত্ব খুব সমস্যা করে না। আন্তঃমহাদেশীয় দাবা খেলতে থাকি আমরা। টুকটাক খেলাতে আর কথাতে আমরা আবিষ্কার করি, দাবা খেলেন এরকম পরিচিতজনের সংখ্যা নেহায়েত কম নয়। অনেকেই নিভৃতে দাবা খেলেন। অনেকেরই দারুণ পছন্দের খেলা এটি। আর সবার কথা জানি না, আমি দল পাকাতে দারুণ পছন্দ করি। দল পাকাতে পারলেই হৈ-হুল্লো
প্রিয় শচীন,
আমাদের ড্রইংরুমের শোকেসের কাঁচটায় আপনার একটা স্টীকার লাগিয়েছিলাম ক্লাস থ্রি-ফোরে পড়ার সময়। ১৬-১৭ বছর পরে স্টীকারটা এখন পুরনো হয়ে গেছে, কিন্তু পুরনো হয়ে যাননি আপনি। ছোটবেলা থেকে পেপার কাটিং জমানো শখ আমার- পুরনো কাগজগুলোর বেশিরভাগ জুড়েই আপনার ছবি আর খবর। আমার কাছে পৃথিবীতে দুই ধরণের ব্যাটসম্যান আছে — এক, পৃথিবীর শুদ্ধতম ব্যাটসম্যান শচীন টেন্ডুলকার; দুই, বাকি সবাই।