[justify]
১.
আজ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে পাকিস্তানের সাংবাদিক হামিদ মীরের একটি লেখা ছাপা হয়েছে দৈনিক প্রথম আলোতে ‘বাংলাদেশের কাছে ক্ষমা চেয়ে প্রস্তাব নেওয়া উচিত’ শিরোনামে।
পোস্ট খুব সংক্ষেপ।
আজ ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে পাকিস্তানের বিশ্বকাপ কোয়ার্টার ফাইনাল খেলা ছিলো।
খেলার আগে ইন্টারনেটের বদৌলতে এক চ্যানেলে শুনলাম ইমরান খান বলছে, বাংলাদেশিরা পাকিস্তানকে সমর্থন করবে। কারণ, ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে বাংলাদেশের হারের বদলা নিবে পাকিস্তান।
বিশ্বকাপ ক্রিকেট ২০১১র প্রথম রাউন্ড শেষে উৎপাত শুভ্রের মন ঝরঝরা, মেজাজ ফুরফুরা, দিল চনমনিয়া। এর কারণ অবশ্যই আশরাফুলের বোলিং সাফল্য কিংবা সাকিবের ক্যাপ্টেন্সি ব্যর্থতা নয়; বরং বাংলাদেশের বিদায়ে পাকিস্তানের খবরে মনো সংযোগের সুবিধা। বাঙালি এই এক দেড় মাস জ্বালায়া মারছে। মাশরাফি-সাকিব-আশরাফুল-তামিমের দাপটে কাকমল, উকমল, ম্যারিমিফ্রিদি, শোয়েবদের খবর নেহাত পানসে হয়ে গেছে। কিন্তু এখন বাঙালিদের একটা বিরাট অ
কে বলেছে ওয়ালশ- এমব্রোসদের উত্তরসুরী খুঁজে পায়নি ওয়েস্ট ইন্ডিজ?!
পেয়েছে তো! রোচ- রাসেল- বেন- বিশু। আরো কতজন! সে সময় যেমন ‘চিন মিউজিকে’র পতাকা বয়ে চলা এমব্রোস- ওয়ালশ- বিশপদের নিয়েই গড়া ওয়েস্ট ইন্ডিজের লেজ ছেটে দেওয়া ছিল জগতের সহজতম কাজগুলোর মধ্যে একটা, এখনো তাই।
আজকের নেদারল্যান্ডের সাথে বাংলাদেশের খেলা যে দিবারাত্রির নয় সেটা ভুলেই গিয়েছিলাম। সাড়ে এগারাটার দিকে যখন একটা হালকা ঘুম দিয়ে শেষ রাতে ওঠার চিন্তা করছিলাম, ঠিক তখনই টিভির স্ক্রীনের নীচের কোনায় দেখাচ্ছে নেদারল্যান্ড ১/০ ১.২ ওভার। আ-হা, খেলা তো দিনের বেলায়!
ক্রিকেটের সাথে বাংলাদেশীদের আবেগ জড়িত। আর এই বাংলাদেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় নাম অবশ্যই সাকিব আল হাসান। বলতে হয় আসলে সাকিবই আমাদের ক্রিকেটের ব্রান্ড এম্বাসেডর। কারণ দেড় বছর ধরে ওয়ার্ল্ড অলরাউন্ডার রাঙ্কিং এ ১ নম্বর পজিশন দখল করে রাখা চাট্টিখানি কথা নয়। কিন্তু বাংলাদেশের একদিনের খারাপ পারফরমেন্সেই আমরা ভুলে যাই এই সাকিব আল হাসান আমাদের কি দিয়েছে। ভুলে যাই বাংলাদেশের ক্রিকেটে এই সাকিব
আজ বাংলাদেশ জিতেছে। টাইগাররা আজ প্রমাণ করে দিল যে ইচ্ছার জোরে যেকোন কিছুই করা সম্ভব। আজ সারাদেশ আর দেশের বাইরে বাংলাদেশীরা আনন্দের জোয়ারে ভাসছে। ধন্যবাদ টাইগাররা, আমাদের আরেকটি আনন্দের, গর্বের উপলক্ষ এনে দেওয়ার জন্য। আমাদের এই পোড়া দেশটাকে মাঝে মাঝে তোমরাই পারো খুশির জোয়ারে ভাসাতে। অনেক অনেক অনেক ধন্যবাদ তোমাদের।
জয় এলো বাংলাদেশের। বিশ্বকাপে ২য় জয়। অনেক নাটক করে জয়টি ধরা দিলো। বিশ্বকাপটি ঘরে তুলতে হবে এমন কোন আবদার করেনি বাংলাদেশের মানুষ। শুধু একটু ভালো খেলুক এটাই চেয়েছে। প্রথম খেলায় ভারতের সাথে হারার পরও মানুষ খুশী। ২য় খেলায় আয়ারল্যাণ্ড এর সাথে জয়ে কে কতটুকু খুশী আমি জানি না। তবে আমি একটুও খুশী না। আয়ারল্যাণ্ড এই সেদিন ক্রিকেট খেলতে এসেছে, এখনও টেষ্টে সুযোগ পায়নি, কিন্তু এখন পর্যন্ত আয়ারল্যাণ্ডই চমক দেখিয়
অনেককিছু দেখলাম।
অনেককিছু শুনলাম।
অনেককিছু পড়লাম।
অনেক কিছু বুঝলাম।
অনেকদিন চুপচাপ ছিলাম।
এইবারও তাই মুখ খুললাম না।
শুধু- আমাদের শ্রদ্ধেয় ক্রীড়া সাংবাদিকগণ, বরেণ্য প্রাক্তন ক্রিকেটারবৃন্দ
আর যাঁরা অতিমাত্রায় ফালাফালি করছেন তাঁদের কাছে ছোট্ট একটা অনুরোধ!
হোল্ড থ্রি ফিঙ্গারস ইনফ্রন্ট অফ ইউ, অ্যান্ড ট্রাই টু রিড বিটুইন দ্য লাইনস!
প্রিয় টাইগাররা,