প্রথম আলোর ক্রীড়া সম্পাদক উৎপল শুভ্রের পাকিস্তান ক্রিকেটদল প্রীতি প্রায় সবারই জানা। এই ভদ্রলোকের প্রায় সমস্ত ক্রিকেট সংক্রান্ত রিপোর্ট জুড়েই থাকে তীব্র রকমের পাকিস্তান-বন্দনা, এমনকি এমন কোন ম্যাচ যাতে পাকিস্তান খেলেও নাই সেই খেলাতেও কোন না কোন উদ্ভটভাবে পাকিস্তানের কোন খেলোয়াড়কে টেনে আনতে তার জুড়ি মেলা ভার। যেমন, ম্যাচ রিপোর্ট লিখেছেন অস্ট্রেলিয়া আর ইংল্যান্ডের কোন ম্যাচের। কিন্তু তার মধ্যে হঠাৎ দ
মাঝে দুএকদিন আবহাওয়া আর ক্রিকেট বাদে গত দুই মাসের পুরোটাই একঘেয়ে বিরক্তিকর। মেঘলা আবহাওয়া, বিবৃতিভিত্তিক রাজনীতি, পেট্রোলবোমায় মানুষ পুড়িয়ে মারা, বইমেলার পথে লেখক খুন, বিশ্বরাজনীতিতে গুমোট এই সবের কিছুই নতুন না। পরিবর্তনের কথা ভাবতেও ভুলে গেছি।
১.
কদিন আগেই মনে হয় গেলো ডাকবাবা আফ্রিদির জন্মদিন। আর তার সাথে চলছে এখন বিশ্বকাপ, মাঝে মাঝেই হয়ে যায় পাকি শুয়োরের বাচ্চাদের খেলা। এই খেলায় তাদের মাঠের যা পারফর্মেন্স থাকে, তার থেকে ভাল পারফর্মেন্স দেখায় পরদিন এদেশের মিডিয়া, বিশেষ করে মইত্যা আলুর উটপোদ শুভ্র। এর সাথে হঠাৎ করে শুরু হয়েছে করপোরেট হাউজগুলোর পাকি ডান্ডু চোষন। পাকিপ্রেম এরা আর ধরে রাখতে না পেরে উগরে দিচ্ছে এক্কেবারে।
পাকিস্তানের বিশ্বকাপরঙ্গ চলার আগেই, এশিয়া কাপ চলার সময় এদেশীয় পাকি-পেয়ারুদের শীৎকারের আবেগ থামাতে একটা লেখা লিখেছিলাম। আজকাল আর পাকি সমর্থক তেমন পাওয়া যায় না, আড়ালে-আবডালে তাদের চাপা কান্না শুনি, তবে ফেসবুকে হাহাকার (পড়ুন ম্যাৎকার) কমে গেছে। এখন তারা কথা বলে ব্যালেন্সিং করে, ভারত হারলে খুশি হয়,কিন্তু পাকি হার-জিতে আবেগ প্রকাশ করলে আশেপাশে দুষ্টু 'খেলার সাথে রাজনীতি' মেশানো লোকজন দৌড়ে এসে ভরে দেয়।
সেই লেখার আর ২য় পর্ব লেখার আগ্রহ বোধ করিনি। কিন্তু অলস বসে আছি বলে মনে হলো, লিখেই ফেলি (অলস মস্তিষ্ক শয়তানের কারখানা)। পাকি-পেয়ারুদের যত বাগারম্বড় তো সেই এক বিশ্বকাপ জয় নিয়েই। শুরু করি পাকিস্তানের বিশ্বকাপ কাহিনী।
চিলতে ইতিহাস ১:
স্হান: শেরপুর জেলার সীমান্তবর্তী গ্রাম কামালপুর।
বকসিগঞ্জ-জামালপুর-টাঙ্গাইল-ঢাকা মহাসড়কের প্রবেশপথ কামালপুরের বিওপিতে ছিল পাকিস্তানীদের শক্তিশালী ঘাঁটি।এই ঘাঁটিতে আক্রমণ করে সেটা নিজেদের দখলে আনতে যে জিনিসটার সবচে' বেশি প্রয়োজন ছিল তার নাম দুর্জয় সাহস।
“তুমি কারও সাথে ছবি তুলতে যাবে না, সবাই তোমার সাথে ছবি তুলতে আসবে।“২০০৭ সালে প্রথম বিশ্বকাপ খেলতে গিয়ে সদ্য কৈশোরউত্তীর্ণ তামিম ইকবাল যখন সচিন, সৌরভ, দ্রাবিড়দের সাথে ছবি তুলতে ছুটে গিয়েছিল কোচ ডেভ হোয়াটমোর তাকে নিবৃত্ত করেছিলেন।
একযুগের বেশি হয়ে গেল, বাংলাদেশ টেস্ট খেলে, জয় আসে কালেভাদ্রে। তাও জিম্বাবুয়ে বা খর্বশক্তির ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে। তবে দেশের ক্রিকেট যে এগিয়ে যাচ্ছে, তাতে সন্দেহ নেই। একটি টেস্ট জয়, একটি বড় অর্জন, সেটি যা সাথেই হোক, আর যেভাবে, যে অবস্থাতেই আসুক। পাঁচ দিন টানা শুধু শারীরিক সামর্থ্য নয়, সাথে মনোসংযোগ ও মনোবলের পরীক্ষাও দিতে হয়।
টেস্টে জয়ের মূল শর্ত হচ্ছে প্রতিপক্ষকে দু'বার অলআউট করতে হবে, যেটি অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বাংলাদেশ করতে পারে না। আমরা অনেক সময়ই শুনে থাকি, আমাদের মূল শক্তি নাকি ব্যাটিং আর স্পিনাররা। কিন্তু শুধু ব্যাটিং দিয়ে আর যাই হোক, টেস্ট জেতা সম্ভব না, তার ওপরে আমাদের ব্যাটিং মোটেই আহামরি কিছু না। বরং বোলাররাই অনেকক্ষেত্রে আমাদের জয় এনে দিয়েছে, জয়ের সুবাস দিয়েছে, ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় জয় আসেনি। বোলাররাও যে ম্যাচ হারায়নি, তা না, তাদেরও দোষ রয়েছে, কিন্তু ব্যাটিং আমাদের যেভাবে লজ্জা দিয়েছে মাঝে মাঝে, বোলিং-এ মনে হয় তেমন দিন অত আসেনি।
(এই পর্বে থাকছে স্লাম বিডিং, প্রথম পর্ব এখানে)
আপনার এবং পার্টনারের হাতে মেলা পয়েন্ট জমে গেছে, আসল কিংবা সাইড অফ ধরে। খেলা শেষে দেখা যাবে আপনারা বারো বা তেরো ট্রিক পেয়ে গেছেন। অর্থাৎ স্লাম হবার সমস্ত উপকরণই আপনাদের হাতে ছিলো। এটা খেলা শুরুর আগেই বুঝবেন কিভাবে?
বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে কার্ড খেলতে একটা কমন সমস্যা হতো। টুয়েন্টি নাইন খেলার লোকের অভাব নেই, কিন্তু চারজন ব্রিজ খেলোয়াড় পাওয়া যায় না। টুয়েন্টি নাইন অল্পবয়সে খারাপ লাগে না, কিন্তু দীর্ঘদিন চালিয়ে যাবার মত মেরিট এটাতে নেই। কিছু কিছু সহপাঠীর অকশান ব্রিজ (বাংলাদেশে ইন্টারন্যাশনাল ব্রিজ বা আই বি নামে বহুল প্রচলিত) খেলার অভিজ্ঞতা ছিলো বটে, কিন্তু কন্ট্রাক্ট ব্রিজ খেলোয়াড় দুর্লভ।