১৯৯২ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেট চলছে।
তখনকার মিরপুর এত ইট কাঠের জঙ্গল হয়ে ওঠেনি। পাশের বিল্ডিংয়ে কেউ জোরে কথা বললে অন্য বিল্ডিং থেকে শোনে যেতো। পাকিস্তানের প্রতিটি রানে এবং ওয়াসিম আকরামের উইকেট লাভে আশেপাশে অনেক বাসা থেকে আনন্দ ধ্বনি আসতো। অনেক বারান্দায় ছাদে উড়তো পাকিস্তানের পতাকা।
আগের পর্বে শুধু কেনিয়ার সাথে বাংলাদেশের দুঃখজনক পারফর্মেন্স বর্ণনা করেই ক্ষান্ত দিয়েছিলাম। আজ বাকি দলগুলোর সাথে বাংলাদেশের বাজে পারফর্মেন্সের উদাহরণ দিতে যাচ্ছি।
জিম্বাবুয়েঃ
এক যুগের বেশি হয়ে গেছে বাংলাদেশ টেস্ট খেলা শুরু করেছে। তারও অনেক আগে থেকে খেলে ওয়ানডে। কিন্তু বহু জ্ঞানীগুণীজন এবং পণ্ডিত ব্যক্তিবর্গ এখনো মনে করেন বাংলাদেশের উপযুক্ত খেলার ময়দান হলো আই সি সি সহযোগী সদস্যদের সাথে, একদিনের ক্রিকেটও নয়। আর এটাকে সঠিক প্রমাণ করতেই বাংলাদেশও যেন উঠেপড়ে লেগেছে, সেই শুরু থেকেই। হতাশাজনক ও জঘন্য পারফর্মেন্স প্রদর্শন শুধু আফগানিস্তান নয়, বরং সব সহযোগী সদস্য ও সমমানের দলের
গল্পটা যদিও বেশ পুরানো তবুও না বলে আসলে থাকা যাচ্ছে না। সেদিন ১৭ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪। বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে বোধহয় নতুন এক মাত্রা যোগ হল। যার পর থেকে ক্রিকেট খেলায় জেতা যেন আমরা ভুলেই গিয়েছি। শুধু জেতা কেন আমরা বোধহয় খেলাও ভুলে গিয়েছি। গল্পটা না হয় একটু আগে থেকেই শুরু করা যাক। বেলা তখন বারোটা বেজে তেতাল্লিশ মিনিট। আমি টেলিভিশনের সামনে বসে চিন্তা করছি খেলাটা মাঠে গিয়ে দেখলে কেমন হয়। আগের রাতে আকাশের অবিরাম কান্নায় খেলার মাঠ প্রায় জলে থৈ থৈ করছে। দেড়টার দিকে মাঠ পরিদর্শন শেষে জানা যাবে বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কার ওয়ান ডে ম্যাচ সিরিজের প্রথম খেলা ঠিক ক’টায় শুরু হবে। মনে হল খেলা শুরু হতে যখন দেরীই হচ্ছে তাহলে মাঠে যাওয়ার একটা চেষ্টা দেয়া যেতে পারে। মাকে ডেকে বললাম,“চল খেলা দেখতে যাব।”
মা জবাব দিলেন, “ টিকিট?”
“মাঠে গেলেই আশা করি পাওয়া যাবে।”
কে বলেছে খেলাধুলায় আমরা র'ব পিছে?
জানো না কি হারা ছাড়া জিততে চাওয়া মিছে!
"হারতে হারতেই জিততে হবে" - সত্য চিরন্তন।
তবু কেন হারলে তুমি খারাপ করো মন?
যতই আমরা হই না কেন খেলায় পরাজিত,
হয়ো নাকো তবু তুমি একটুকুও ভীত।
সত্য কথা, ন্যায্য কথা, সবাই জেনে নাও -
বাংলাদেশকে হারতে দেখে লজ্জা কেন পাও?
‘He was mistakenly born in Bangladesh’—Otto Pfister
আজকের দিনে হাজারো ক্রিকেটারদের ভিড়ে মনে পড়ে গেল, বাংলাদেশের ফুটবলের স্বর্ণযুগের অসাধারণ ফুটবলার মুন্নার কথা। যারা তার খেলা দেখেনি বোঝা সম্ভব না তিনি কী অসাধারণ একজন ফুটবলার ছিলেন!!
১।
অনেক দিন আগে এক বন্ধুর কাছে শুনেছিলাম ভারতের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি আর ক্রিকেট মূল নিয়ন্ত্রক হচ্ছে আন্ডারওয়ার্ল্ডের মাফিয়ারা। তাদের মর্জিমাফিক তুমুল জনপ্রিয় আর অর্থের অবারিত এই দুই সাম্রাজ্যের গতিপ্রকৃতি নিয়ন্ত্রিত হয়।
গত দুদিনে মিডিয়ার কল্যাণে বাংলাদেশের আকাশে সবচেয়ে দুর্যোগের ঘনঘটা নিয়ে হাজির হয়েছে আইসিসিকে কাটাকুটি করে নোতুন করে সাজানো গোছানোর একটা থ্রিস্টুজেস আইডিয়ার ড্রাফট প্রস্তাব। ২৪শে জানুআরি প্রথম আলো ঘোষণা দিয়েছে ‘জমিদার’দের পক্ষে বিসিবি! আর একই তারিখে ডেইলি স্টার সরাস
"খুব জ্বলে, তাই না?"
এবারতো আমরা শুধু চাই শান্তিমতো নিজের ঘরের ময়লা-আবর্জনা পরিস্কার করতে। ওগুলাকে ডাস্টবিনে নিয়ে মাটি চাপা দিয়ে রেখে আসতে পারলে অনেক আরাম লাগতো; কিন্তু ঐদিকে খুব দূর্গন্ধ, একটু দুরেও, ঘরেও অনেক কাজ; তাই আবর্জনাগুলো ঘরেই মাটি চাপা দিচ্ছি। এতেও ডাস্টবিনের পিত্তি জ্বলছে; চোখের পানিতে সমগ্র ডাস্টবিনজুড়ে বৃষ্টিপাত শুরু হয়ে গেছে!
কয়েকদিন বাদেই কস্তুরের বিয়ে। তাই একটু অন্যমনস্ক হয়ে থাকে সে। অফিসে কেউ প্রথমবার ডাকলে সে সবসময় ঠিকমতো শুনে ওঠে না যেন, দ্বিতীয়বার একটু জোরে ডাকতে হয়।