আহমদ ছফা এই ধূলির ধরা থেকে বিদায় নেন শ্রাবণের ১৩ তারিখে বঙ্গতয় ১৪০৮ সালে । তখনই মনে এই প্রশ্ন উঁকি দেয় মরিবার জন্য ছফা ভাই কেন শ্রাবণকেই বেছে নিলেন? শ্রাবণ মানেই তো মেঘের ক্রন্দন যাকে আমরা মিষ্টি করে বৃষ্টি বলি । সেই বৃষ্টির দিনে আনন্দ করে ভেজা যায় কিংবা বাদুর ঝোলার মত বাসে চড়ে অফিস ঘরে কামলাগিরীও করা যায় কিন্তু মরা কি ঠিক ?
[কর্নেল তাহেরকে নিয়ে এই লেখাটি ২০০৮ সালে প্রথম সচলায়তনে প্রকাশিত হয় কিন্তু এটি আর সচলে নেই । পরে একুশে বইমেলা ২০০৯এ শুদ্ধস্বর হতে প্রকাশিত আমার 'স্বাধীনতা যুদ্ধের অপর নায়কেরা ' গ্রন্থে মুদ্রিত কিন্তু বইটি আর বাজারে নেই । গত ২১ জুলাই ছিল তাহেরের ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী তাই তাহেরের স্মরণে আবার দিলাম]
৪ ই ডিসেম্বর ১৯৭১ সকাল ৯ টায় মিত্রবাহিনীর অধিনায়ক কর্নেল রাও আমাদের ক্যাম্পে এসে নির্দেশ দিলেন সন্ধ্যা ৭টায় পাক বাহিনীর শক্তিশালী ঘাটি পানিহাতা আক্রমণ করতে হবে। তার নির্দেশ শুনে আমার কোম্পানির যোদ্ধারা কিছুটা ভড়কে গেল । কারণ, কিছুদিন আগে উক্ত ঘাটি আক্রমণ করতে গিয়ে মুক্তিবাহিনীর একজন কোম্পানি কমান্ডার সহ অনেক মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হয়েছে ।
ঐতিহাসিক ৭ মার্চ আজ। বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসের অবিস্মরণীয় একটি দিন। একাত্তরের এই দিনে স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রমনার রেসকোর্স ময়দানের জনসমুদ্রে ঘোষণা করেছিলেন পাকিস্তানের অপশাসন ও নিষ্পেষণ থেকে বাঙালির মুক্তির মূলমন্ত্র। এই ভাষণটির তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া ছিল তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের মানুষকে স্বাধীনতা যুদ্ধে উদ্বুদ্ধ করা। এটি একটি ভূখণ্ডের মানুষের হাজার বছরের নির্যাতন,
ঐতিহাসিক ৭ মার্চ বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসের অবিস্মরণীয় একটি দিন। একাত্তরের এইদিনে স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রমনার রেসকোর্স ময়দানের জনসমুদ্রে ঘোষণা করেছিলেন পাকিস্তানের অপশাসন ও নিষ্পেষণ থেকে বাঙালির মুক্তির মূলমন্ত্র। এই ভাষণটির তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া ছিল তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের মানুষকে স্বাধীনতা যুদ্ধে উদ্বুদ্ধ করা। এটি একটি ভূখণ্ডের মানুষের হাজার বছরের নির্যাতন, নিপীড়
বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলন বিশ্বের মুক্তির সংগ্রামের ইতিহাসে এক অনন্য ঘটনা। বস্তুত ভাষা আন্দোলন ছিল পশ্চিম পাকিস্তানি ঔপনিবেশিক শাসন শোষণের বিরুদ্ধে পূর্ববঙ্গের শোষিত জনগণের সুদীর্ঘ সংগ্রামের সংগঠিত সূচনা। এটি ছিল দেশের প্রথম গণতান্ত্রিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলন । সেক্যুলার এই আন্দোলনে পূর্ব বাংলায় জিন্নাহর দ্বিজাতিতত্ত্বের ধ্বংসের বীজ রোপিত হয়। এই আন্দোলনের মধ্যেই ছিল বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদী অনুভব।
বাঙালি জাতির ইতিহাসের সবচেয়ে নৃশংস হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত হয়েছিল ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট পাখি ডাকা ভোরে। বাংলাদেশের স্থপতি ও রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তাঁর পরিবারের সকল সদস্যকে সেদিন পৈশাচিক উন্মত্ততায় হত্যা করা হয়েছিল। ঘটনাক্রমে বঙ্গবন্ধুর দুই আত্মজা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা দেশের বাইরে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান। ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কের ঐতিহাসিক বাসভবনটিতে অবস্থানরত বঙ্গবন্ধুর পরিবারের যেস
ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর পশ্চিমা দেশগুলো অর্থনৈতিক অবরোধের পথে হেটেছে। কিন্তু এতদিন পর এসে সবার মনে একটাই প্রশ্ন-অবরোধ কী যুদ্ধের গতি স্লথ করতে পেরেছে?
করোনা ভাইরাস সাম্যবাদী ভাইরাস, সবার জন্য সমান, রাজা-প্রজা যেই হোক, কোন ভেদাভেদ নেই, আসলে এটা একটা ন্যাচারাল অর্ডার, মানুষের সৃষ্টি এই কৃত্রিম সামাজিক বৈষম্যকে ব্যালান্স করতে প্রকৃতি প্রদত্ত সমাধান। ফেসবুক ফিডে জনৈক বামপন্থী বন্ধুর অনেকটা এরকমই একটা স্ট্যাটাস পড়ছিলাম।