(১)
এই খবরটি দৈনিক বাংলায় এসেছিল ১৯৭২ সালের দোসরা জানুয়ারী। বিজয়ের পরপর জেনারেল রাও ফরমান আলীর ডেস্ক ডায়রী সরকারের লোকজনের হাতে আসে। রাও ফরমান আলী হল সেই পাকিস্তানী সামরিক কর্মকর্তা যে শহীদ বুদ্ধিজীবি হত্যার পরিকল্পনা সাজিয়েছিল। বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করার পরিকল্পনা যে সাময়িকভাবে কিছুটা সফল হয়েছে তার প্রমাণ হল দেশের সর্বাধিক প্রচারিত দৈনিক প্রথম আলোর [url=http://www.prothom-alo.com/opinion/article/4294
আমি একটু একটু করে স্বাধীনতার পর পর আমাদের নেতাদের দেয়া বক্তৃতাগুলো পড়ার চেষ্টা করছি। এই বক্তৃতাগুলো থেকে আমরা জানতে পারব কি করে ধর্মনিরপেক্ষতা, জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র এই জিনিসগুলো মুক্তিযুদ্ধের পর পর বাংলাদেশে বোঝার, বোঝানোর ও চর্চার চেষ্টা করা হচ্ছিল। অল্প কিছুদিনের মধ্যেই এই ধারণাগুলো একটি সর্বদলীয় কমিটির মাধ্যমে আমাদের বাহাত্তরের সংবিধানে জায়গা করে নেয়। বক্তৃতাগুলো থেকে আমরা বুঝতে পার
১৯৭২ সালের পত্রিকায় দুটি লেখার খোঁজ পেলাম। প্রথমটি ২রা জানুয়ারী প্রকাশিত তৎকালীন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা মেজর জিয়ার স্ত্রী, পরবর্তীতে স্বাধীন বাংলাদেশের একসময়ের প্রধানমন্ত্রী ও এই মুহুর্তে সন্ত্রাসী পদ্ধতিতে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে আগ্রহী রাজনীতিবিদ খালেদা জিয়ার পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর হাতে গ্রেফতার হওয়া নিয়ে।
১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর বিজয়ের পর থেকেই যুদ্ধাপরাধীদের গ্রেফতার করা শুরু হয়। এই গ্রেফতারের ঘটনাগুলো নিয়মিত পত্রিকায় আসত। আমি ঠিক করেছি এগুলো যতটুকু পারি একত্র করব। দেখা যাক কতদূর যায়। একটি ব্যাপার মনে রাখতে হবে যতজনের খবর আসবে দালালের সংখ্যা তত নাও হতে পারে। কারণ অনেকের খবরই ইংরেজী ও বাংলা দুই ভাষার পত্রিকাতেই আসতে পারে।
১. বি. আর. মজুমদার - জানুয়ারী ১, ১৯৭২, দৈনিক বাংলা
১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষের সময় জাল পড়া বাসন্তী যে একটা সাজানো নাটকের মঞ্চায়ন ছিল, সেটা আমরা এখন প্রায় সবাই জানি। বিশেষ করে সেই ছবির আলোকচিত্রি আফতাব আহমেদ খুন হওয়ার পর ছড়াকার লুৎফর রহমান রিটন ভাই এর এই লেখা থেকে আমরা সেই ব্যাপারে অনেক স্পষ্ট ভাবে জানতে পারি। লেখাটির ছোট্ট একটু অংশ এখানে দিচ্ছি পাঠকের সুবিধার্থে-
এই লেখাটি মূলত: আমাদের স্বাধীনতা ঘোষণার কিছু দলিলের স্ক্রিনশটের ডকুমেন্টেশন। স্বাধীনতা ঘোষণা নিয়ে বিস্তারিত জানতে হলে এই লেখাগুলো পড়তে হবে।
ছোটোবেলা থেকে শুনে বড় হয়েছি, যে দেশে গুণীর কদর নেই সেই দেশে নাকি গুণী জন্মায় না। কথাটা বিশ্বাস করতে ইচ্ছে হয়, কিন্তু বাংলাদেশের শিক্ষিত মানুষজনের কার্যকলাপে বিশ্বাসটুকু ধরে রাখা দুষ্কর। মুক্তিযুদ্ধের নয় মাসে ৩০ লক্ষ প্রাণ বিসর্জনে আমাদের যত না ক্ষতি হয়েছে, তার চেয়ে হয়তো বেশি ক্ষতি হয়েছে ১৯৭১-এর ১৪ই ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবি হত্যা দিবসে। নয়তো শিক্ষিত, সুশীল, বুদ্ধিজীবি, ইত্যাদি নামধারী কিছু ফাঁকিবাজ ও মেরুদণ্ডহীন মানুষের দৌরাত্ম্য থেকে বেঁচে যেতাম আমরা। এই বিরক্তি এবং বিবমীষার প্রেক্ষাপট হলো বাংলাদেশে বসবাসরত বিদেশি সাংবাদিক ডেভিড বার্গম্যানের সমর্থনে প্রায় ৫০ জন বুদ্ধিজীবির যৌথ বিবৃতি।
[justify]ইসলাম পূনর্জীবন লাভ করে প্রতিটি কারবালার পর। এরকম একটা কথা বাংলাদেশের মুসলমানদের কাছে খুব প্রচলিত এবং জনপ্রিয় বটে। এবং সেটা উর্দুতেই বলা হয়ে থাকে সবসময়। সে হিসাবে এটি সম্ভবত উর্দু থেকেই এসেছে।
১৯৭২ সালের ১৬ই ডিসেম্বর আমাদের প্রথম বিজয় দিবসে পত্রিকায় যেসব বিজ্ঞাপন এসেছিল সেগুলোতে এক নজর চোখ বুলালেই সেই সময় দেশের মানুষের আবেগ, আশা, স্বপ্নের ব্যাপারটি কিছুটা অনুভব করা যায়। আমি এরকম একশোর একটু বেশি বিজ্ঞাপন একত্র করেছি। তার মধ্যে যে আঠারোটি সবচেয়ে ভাল লেগেছি সেগুলো এখানে দিলাম। আপনার যদি অন্যগুলো আরো ভাল লাগে আপনিও আমার সংগ্রহ থেকে সেগুল