নির্বাচন জমছে না বলে ফেসবুকের অলিগলিতে হাহাকার শোনা যাচ্ছে। একতরফা এই নির্বাচন হওয়ার জন্য দায়ী করা হচ্ছে ত্রয়োদশ সংশোধনী নামক জাদুর কাঠিটি ভেঙে ফেলাকে। বলা হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে বিচার বিভাগকে প্রভাবিত করে এই কাজটি করিয়েছেন। আদালতও নাকি বলেছে ত্রয়োদশ সংশোধনীর অধীনে আরো অন্তত: দুইবার নির্বাচন করা যেতে পারে।
আদর্শ আর নীতি নিয়ে ওদের অনেক বড়াই ছিলো
ওদের কাছে মুক্তিযুদ্ধ ‘দুই কুকুরের লড়াই’ ছিলো!
চিরকালই এই দাদারা ইহার উহার লেজুড় ছিলো
এই দাদাদের পোটলায় লাল খোর্মা এবং খেজুড় ছিলো!
বিগত কয়েকদিন ধরে কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকর এবং অন্যান্য ঘটনাপ্রবাহে আবারও একদল মানুষের ব্যপক গাত্রদাহ আশা করি সবাই লক্ষ্য করেছেন। আমাদের তথাকথিত জাতীয়তাবাদী শক্তির ধারক বাহকেরা এখন ঝলসানো নরমাংস দিয়ে নৈশভোজ করে ক্ষান্ত নন, তারা নানা ভাবে ও নানা আঙ্গিকে কাদের মোল্লা তথা যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির ব্যপারটি হালকা করে কর্পূরের মত উড়িয়ে দেয়ার কিংবা ক্ষেত্রবিশেষে নিজেদের জামায়াত তোষণের দীর্ঘ ইতিহাসকে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে অন্যের ঘাড়ে ফেলার আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। যে কাজটি স্বাধীনতার পর শুরু হয়েছিলো কিন্তু বিশিষ্ট সামরিক শাসকদের ক্ষমতা আঁকড়ে রাখার ফাঁদে পড়ে ব্যহত হল তা আজ ৪০ বছর পর করতে দোষ কোথায়? যে জিয়াউর রহমান ইন্ডেমনিটি আইন দিয়ে আটক যুদ্ধাপরাধীদেরকে নির্বিচারে ছেড়ে দিলেন, যার কল্যাণে গোলাম আজম দেশে ফিরে এসে আবার রাজনীতি করার সুযোগ পেল, যার নিপুণ হাতে এই দেশে ধর্মভিত্তিক রাজনীতির বৈধতা এল তাকে বাদ দিয়ে ১৯৭১-১৯৭৫ সময়ে কেন সকল যুদ্ধাপরাধীদেরকে ফাঁসিতে ঝুলানো হল না এই মায়াকান্নার কি আসলেই কোন অর্থ আছে?
জয় বাংলা !
দেশী বিদেশী হরেক মানবাধীকারবারীর চিল্লাবাল্লার চোটে আমার ধারনা ছিল দুর্নীতি, অপশাসন, বিশৃঙ্খলা ইত্যাদি বিষয়ের মতো এই বিষয়েও বাংলাদেশ প্রথম কাতারেই থাকবে। তাই ইচ্ছা ছিল প্রদত্ত তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষন করে কয়েক কিসিমের গ্রাফ প্রস্তুত করবো, বেলাজ ও অমানবিক বাঙ্গালির যদি তাতে একটু লজ্জার উদ্রেক হয় এবং মানবাধিকার জাগ্রত হয়। কিন্তু প্রতিযোগীতায় বাংলাদেশের অবস্থা সুবিধার না বিধায় সে বিষয়ে কোন উৎসাহ বোধ করলাম না। অগত্যা তাই শুধুমাত্র পরিসংখ্যান।
প্রশ্ন কমে যাচ্ছে এখন। আগে যেমন প্রতিটা ঘটনায় হাজারটা প্রশ্ন শুনতে হতো এখন সেরকম না। একটা দুটা প্রশ্ন, তার সাথে মানানসই উত্তরেই কাজ হয়ে যায়। বলছিলাম আমার ছেলের কথা। বড় হচ্ছে, সেটা বুঝতে পারি। নিজেই উত্তর খোঁজতে শিখে যাচ্ছে।
কয়েকদিন বাদেই কস্তুরের বিয়ে। তাই একটু অন্যমনস্ক হয়ে থাকে সে। অফিসে কেউ প্রথমবার ডাকলে সে সবসময় ঠিকমতো শুনে ওঠে না যেন, দ্বিতীয়বার একটু জোরে ডাকতে হয়।
মিসেস হ আর মিসেস খ, এরা কখনো কোনো প্রশ্নেই একমত হতে পারেন না। এর কারণ কী, সেটি খতিয়ে দেখার উদ্দেশ্যে একটি বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়েছে। তার ষোলো আনা সারমর্ম একের পর এক তুলে দেয়া হলো।
১) দুজনে দুই রকম সুগন্ধী ব্যাবহার করে থাকেন।
২) দুজনে দুই রকম দুর্গন্ধ সৃষ্টি করে থাকেন।
৩) দুজনেই একই কবির ভক্ত হলেও সেটি প্রকাশ করতে চান না।
[শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের শিক্ষক হিসাবে ৪ বছরে (২০০৯-২০১৩) ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে অনেক ধরনের কাজ করেছি। এই সময়ে হওয়া বিভিন্ন তিক্ত, মজার এবং গুরুত্বপূর্ণ কিছু অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্যেই আমার এই লেখা। আমার বিশ্বাস পাঠকেরা ভর্তি পরীক্ষার ভেতরের অনেক বিষয়ে নতুন কিছু ধারণা পাবেন এই লেখাটা থেকে। বিশেষ করে যারা ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে অনেক কথাবার্তা বলছেন, কিন্তু আসলে এতে কী কী
[প্রথমে একটি বিষয় পরিষ্কার করে নেয়া প্রয়োজন। এই লেখাটি গত ৫ই মে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে উগ্র ধর্মব্যবসায়ী সংগঠন হেফাজতে ইসলামের সারাদিন ব্যাপী ভয়াবহ সন্ত্রাসী কার্যক্রমের প্রেক্ষাপটে রাতে চালানো আইন শৃংখলারক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানের একটি অনুষঙ্গ নিয়ে। এটি কিন্তু এই অভিযানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ নয়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল সেই অভিযানে নিহত প্রত্যেকটি ব্যক্তির মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধান করা এবং