বিএনপির লোকবল ও জামায়াতে ইসলামীর রাজনৈতিক পরিকল্পনা বলে বলীয়ান চার দলীয় জোট সরকার ২০০৬ সালের ২৭ অক্টোবর একটি বহুল বিতর্কিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে। দেশে তখন প্রশাসনের ভার চার দলীয় জোটের আনুকূল্য পাওয়া দলদাস আমলাদের হাতে। এরকম উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে ক্ষমতা হস্তান্তরের পরদিন ২৮ অক্টোবর তারিখে রাজধানীতে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে চার দলীয় জোট বিরোধী রাজনৈতিক দলের কর্মীরা লগি-বৈঠা হাতে
ছোটবেলায় শীতল যুদ্ধের সময় দেখতাম বামপন্থীদের একটি বৈশ্বিক অবস্থান ছিল। নিকারাগুয়ার সান্দানিস্তা সরকারের সাথে কন্ট্রা বিদ্রোহীদের সংঘাতে কিংবা পেরুর পিনোচে বা ফিলিপাইনের মারকোসের বিরুদ্ধে গনঅভ্যুত্থানে এদেশের বামপন্থীরা একটি পক্ষ নিতেন। ভিয়েতনামে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ঢাকার রাস্তায় প্রতিবাদের সময় পুলিশের গুলিতে দু’জন ছাত্র ইউনিয়ন কর্মী নিহত হবার ঘটনা সবার জানা। কালের বিবর্তনে এখন
ক: আপনার পলিটিক্সে এত আগ্রহ কেন? মেয়েদের মধ্যে তো পলিটিক্স নিয়ে এত আগ্রহ দেখা যায় না।
আমিঃ বলেন কি? কোন দেশের মেয়েদের কথা বলছেন? বাংলাদেশ নাকি আমেরিকার?
কঃ সব দেশের মেয়েদের কথাই। স্পেশালি বাংলাদেশের মেয়েদের কথা বলছি।
আমিঃ তাই নাকি? যে দেশে প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলীয় নেত্রী থেকে শুরু করে স্পীকার, পররাষ্ট্র মন্ত্রী এমনকি কৃষি মন্ত্রীও মহিলা ...আর আপনি বলছেন রাজনীতি নিয়ে সেই বাংলাদেশের মেয়েদের আগ্রহ নাই?
কঃ আপনি তো যারা রাজনীতি করে তাদের কথা বলছেন। আমি বলছি আপনার মত রাজনীতিতে আগ্রহ নিয়ে যারা সময় নষ্ট করে তাদের কথা।
আমিঃ হুমম...তা যেই মেয়েরা রাজনীতি নিয়ে মাথা ঘামায় সময় নষ্ট করে না তারা কিভাবে সময় কাজে লাগায়?
কঃ সংসার দেখা শুনা করে, কিম্বা ধরেন সোসালাইজেশান করে। যাই বলেন মেয়েদের রাজনীতিতে আগ্রহ থাকলে সংসারে অশান্তি হয়।
আমিঃ বলেন কি? কোন মেয়ের রাজনীতি বিষয়ে আগ্রহ থাকায় তার সংসারে অশান্তি হল?
কঃ আমি পার্টিকুলার কোন মেয়ের কথা বলছি না ... ইনজেনেরাল আরকি।
আমিঃ ও। বুঝলাম। কিন্তু আপনার মতে তো গুটি কয়েক মেয়ের রাজনীতিতে আগ্রহ, সে ক্ষেত্রে তো বাকি দের তাহলে সুখের সংসার হওয়ার কথা। তাকি হয়? আপনিই সেদিন বলছিলেন যে আপনার স্ত্রীর সাথে কথা বলার টপিক পান না কারন সে শাড়ি গয়না আর অন্যের সাথে নিজের অবস্থার তুলনা ছাড়া আর কিছু নিয়ে আগ্রহ দেখায় না। আর এইগুলার প্রতি আপনার স্ত্রীর ফ্যাসিনেশানের কারনে নানান অশান্তি সংসারে।
কঃ আপনি তো পার্সোনাল লেভেলে চলে গেলেন।
বাংলাদেশে মাতাল হয়ে অন্যের সম্পত্তিতে অনুপ্রবেশ করে কাউকে উত্যাক্ত করা কিংবা অন্যকোন ভাবে কারো মানহানি করা কিংবা মরণাস্ত্র হাতে সহিংস দাঙ্গায় যোগ দেয়ার অপরাধের চেয়ে এখন অনলাইনে লেখালেখি করা বহুগুন বেশি শাস্তিযোগ্য অপরাধে পরিণত হতে যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, অনলাইনে লেখালেখি সংক্রান্ত অভিযোগসমূহকে ‘আমলযোগ্য’ ও ‘অ-জামিনযোগ্য’ করায় এ অপরাধে কাউকে গ্রেফতারের জন্য আদালতের কোন ওয়ারেন্টের প্রয়োজন হবেনা, নিরাপরাধ প্রমাণিত হওয়ার আগ পর্যন্ত কোন জামিনও মিলবে না, এবং লেখালেখি সংক্রান্ত অভিযোগ যত ক্ষুদ্রই হোক, প্রমাণিত হলে এর সর্বোনিম্ন শাস্তি হবে ৭ বছরের জেল এবং অনধিক এক কোটি টাকা জরিমানা!
আপনি যদি ওয়েব সাইটে বা অন্য কোন ইলেক্ট্রনিক বিন্যাসে’, অর্থাৎ ব্লগ, ফেসবুক বা ইউটিউবে কখোনও কিছু প্রকাশ বা সম্প্রচার করে থাকেন, তাহলে আপনিও পড়তে পারেন এই ‘একুশে আইনের’ ফাঁদে।
[এই গল্পের যদি কোন ভাল দিক থেকে থাকে, তবে তা ষষ্ট পাণ্ডবের। তিনি একটা প্রবন্ধ লিখেছিলেন মুক্তিযুদ্ধ কী। আমি একে গল্প বানাতে চেষ্টা করেছি মাত্র। হয়নি বা কতটুকু হয়েছে বা হবে নির্ভর করছে আপনাদের মূল্যবান মতামতের উপর। আপনাদের যে কোন পরামর্শ, মতামত কাহিনীর গল্পে উত্তরণ সহায়ক হবে। আমাদের জাতীয় কোন বিষয় নিয়ে কিশোর কিশোরীদের উপযোগী কোন গল্প কবি
২৬ শে মার্চ ১৯৯৬ সালে ৩০০ আসন ধারী বিএনপি সংসদে একটি বিল এনে একরাতে পাশ করিয়ে ফেলে যাতে বলা হয় কোন রাজনৈতিক দলে অফিসিয়ালি নাম নেই (যাদের কে বলা হয়েছে নির্দলীয়) এবং মানসিক ভাবে কোন রাজনৈতিক দলের প্রতি সহানুভূতিশীল নয় (যাদেরকে বলা হয়েছে নিরপেক্ষ) লোকজন দিয়ে নির্বাচন কালীন একটি প্রেক্ষাপট তৈরী করা হবে। এক্ষত্রে নির্দলীয় মানুষ খুঁজে পাওয়া গেলেও বাংলাদেশে নিরপেক্ষ মানুষ খুঁজে পাওয়া সম্পর্কে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া তাঁর এপিক কথাটি বলেছিলেনঃ বাংলাদেশে একমাত্র শিশু ও পাগল ছাড়া কেউ নিরপেক্ষ নয় (আমি ব্যাক্তিগত ভাবে এই মহান বানীটির খুব ভক্ত কারন দেশ নেত্রী এদেশের মানুষের মনজগতের কারসাজি যতটা ভাল করে বুঝেন, জননেত্রী সেই এঙ্গেল থেকে বুঝেন না বলেই মনে করি)
একটি ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়েই ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের হত্যা করা হয়েছিল। এই যড়যন্ত্র কতোদূর বিস্তৃত ছিল তা নিয়ে অনেক তথ্য এখনো অজানা। আরো গভীর অনুসন্ধানের মাধ্যমে হয়তো আগামীতে এই বিষয়ে বিভিন্ন নতুন তথ্য জানা সম্ভব হবে। বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র হচ্ছে এমন কথা ১৯৭৫-এর আগস্টের আগেই বিভিন্নভাবে শোনা যেতে থাকলেও, সেই ষড়যন্ত্র সম্পর্কিত তথ্য
অগাস্ট ১০, ২০১৩ এর ইকনমিস্ট পত্রিকার একটি রিপোর্টে সজীব ওয়াজেদ জয় আর তারেক রহমানের মধ্যে তুলনায় তারেক রহমান কে wilier বলা হয়েছে যার মানে তারেক রহমান তুলনামূলক ভাবে বেশী crafty (skillful in underhand or evil schemes যার অর্থ "শয়তানী কর্মকান্ডে দক্ষ") আর cunning (ধূর্ত)/ ইকনমিস্টের তুলনা ঠিক কি বেঠিক সেই আলোচনায় আমি যাব না তবে wily বিশেষণটির কারনে তারেক রহমান সম্পর্কে বেশ আগ্রহ জন্মালো। বেশ কিছু পুরোন ভিডিও দেখলাম এবং গত বিএনপি-জামাত জোট সরকারের আমলে বহুল আলোচিত টপিক "বিদ্যুৎ সমস্যা মোকাবেলা" সংক্রান্ত এই তারেক রহমানের একটি সাক্ষাতকার পেলাম (লেখার শেষে লিঙ্ক):
'প্রচারেই প্রসার': বাণিজ্যের এই মূলনীতিটি রাজনীতির ক্ষেত্রেও পরিপূর্ণভাবে প্রযোজ্য। আওয়ামী নেতৃত্তাধীন মহাজোট সরকার সমর্থকদের দীর্ঘদিনের অভিযোগ হচ্ছে সরকারে থাকা অবস্থায় আওয়ামী লীগের প্রচারের হাল অত্যন্ত নাজুক থাকে। নিজেদের দুর্বলতাকে আড়াল করে সাফল্যকে তুলে ধরা তো দুরের কথা, অপরপক্ষের ছুড়ে দেয়া মিথ্যা অভিযোগ খন্ডনেও দলটির ব্যর্থতা চোখে পড়ার মত। সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ড সত্