কেন ওরে ইতালি মনির তুমি আনপড় চিউবাকার মত হট্টগোল করে
বলেছিলে কানট্রি সিষ্টেমকে ফাক কর?
জুলিয়াছ সিজারুদ্দৌলার দেশে এতডি বৎসর গুজরে জীবন
কিছুই কি শিখ নাই ছলাকলা পূর্বরাগ
মেক লাভ, নট ফাকাফাকি?
একেই কি বলে সভ্যতা? উড়ে এসে ফুঁড়ে দিবে পরিযায়ী উটপাখির মত?
কানট্রি সিষ্টেমকে তুমি একদিন সন্ধ্যা বা রাইতে
ডেটে যাইতে ফুসলাইতে
পার না কি?
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে হার্ড ইমিউনিটি নিয়ে বেশকিছু কথাবার্তা হচ্ছে – এবং এর অধিকাংশই অত্যন্ত আশঙ্কাজনক, সেই সাথে হতাশাজনক তো বটেই। হার্ড ইমিউনিটির পক্ষের যে যুক্তিগুলো সেগুলি বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে যে এখানে অর্থনীতি, বাণিজ্য, সমাজ ব্যবস্থা, মানুষের বিহেভারিয়াল ব্যাপর গুলি আলোচিত হলেও, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যপারটিই কিন্তু একেবারে পুরোপুরি উপেক্ষিত হয়েছে । আর সেটা হচ্ছে ‘জীবন’ । এবং এটি কে
হোম কুয়ারান্টিনে
আছি
আপাতত
যদিও বিদেশ মোর হয়নিকো যাওয়া
শরীলও মাশাল্লাহ সুস্থ
তবু
মাবুদের ইশারায় এ কি হল?
বেপারটা এমনও নয়, পুরা বাসা জুড়ে মোর আনাগোনা
যেতে পারি যেথা খুশি, পাকঘরে বানাতে পারি কফি
খাটঘরে বিছানা জুড়ে খেতে পারি গড়াগড়ি
বৈঠকখানায় বসে দেখতে পারি তাগড়া তাগড়া হিন্দি নায়িকার ঘাগড়া।
কিংবা চাইলেই যাব আলামিন ভাতের হোটেলে, বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে বসে দিব গুলতানি, খাব সিংগারা।
[justify]১
আপনি যদি বাঙালি খাবার কিংবা উপমহাদেশের খাবার খেয়ে থাকেন তবে ধরে নিতে পারি যে আপনি হলুদ-সমৃদ্ধ (Turmeric) খাবার খান। তবে এই ক্ষেত্রে আপনার জন্য একটি ভয়াবহ দুঃসংবাদ আছে, বিশেষত আপনি যদি বাঙলাদেশে বাস করে থাকেন ও খাবারে হলুদ ব্যবহার করে থাকেন!
২
স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষকদের নতুন গবেষণা মতে বাঙলাদেশে উৎপাদিত হলুদে ব্যবসায়ীরা (কিংবা উৎপাদনকারীরা) সীসা (lead) মেশাচ্ছেন, হলুদকে আর-ও হলদে রঙা করে দৃষ্টিনন্দিত করার জন্য ও ক্রেতাদের আকৃষ্ট করার জন্য। তারা তাদের গবেষণায় পেয়েছেন যে কিছু কিছু ক্ষেত্রে এই মিশ্রিত সীসার পরিমাণ প্রাকৃতিকভাবে যে মিশ্রণ হতে পারে (যদি হলুদ উৎপাদিত হচ্ছে এমন জায়গায় সীসার আধিক্য থেকে থাকে) তার চেয়ে ৫০০ গুণ বেশি! ৫০০ গুণ বেশি!
১
অধ্যাপক লতিফ সাহেব চায়ের দোকানে বসে আছেন। গলির সেলুনে সিরিয়াল দিয়ে এসে বেশ কিছুক্ষণ হল এখানে বসেছেন। শেভ করে বাসায় ফিরবেন। এরই মধ্যে পাশের বাসার জামান সাহেব এশার নামাজ শেষ করে এসে তার সাথে যোগ দিলেন। এক গলিতে থাকলেও তাদের মাঝে যে খুব কথা হয়, তেমন নয়। এটা-সেটা নিয়ে কথা বলতে বলতে একসময় ছেলেমেয়ে নিয়ে কথা উঠল।
৬ দিনের ভারত ভ্রমণ শেষে ২৫ ডিসেম্বর অপরাহ্নে বাংলাদেশে পা দিয়েই চা-বিক্রেতার মাধ্যমে নির্বাচনী হালচালের প্রথম যে তথ্য কানে এলো তা হলো, নির্বাচনের আগের ৩ দিন সারাদেশে গণপরিবহণ চলাচল বন্ধ থাকবে এ নিয়ে সবাই উদ্বিগ্ন। ঢাকায় এসেও অটো-চালকের কাছে এই কথাই শুনলাম কিছুটা দ্বিধান্বিত কণ্ঠে। যুক্তি, অভিজ্ঞতা, বিশ^াস সবগুলোতেই খটকা লেগে গেল, এমনটি তো কখনও দেখিনি এবং তা অবিশ^াস্যও বটে। প্রাথমিক প্রতিবাদ জানিয়ে
কেন এ্যাতোকাল লিখি নাই,কী মনে করে আজকে লিখতে বসলাম,কেন সচলে লেখা প্রকাশের গতি অতিবৃদ্ধ জলহস্তির থেকেও শ্লথ ইত্যকার জাতীয় সহজ প্রশ্নের জবাব দিব না। আৎখা ঠাডা পড়ার মতো লিখতে মনে চাইল তাই লিখলাম। কথা এইখানেই শেষ।
এক
টিভি-ফেসবুক দেখে জানলাম, তেল খেয়ে মরে
গেছে মিলিয়ন লোক।
তাছাড়া প্রায়ই ঘরে কারেন থাকে না
ফেসবুকে হাজার তরুণী করে দিন রাত স্বীয় ছবি আপ।
গরম গরম লাগে।
তাই এক চৈত্রের সকালে উঠে আড়মোড়া ভেঙ্গে মাখি ব্রাশে টুথপেষ্ট
ও বলি হৃদয়েশ্বরী বিবি হোসনে আরাকে গিয়া
তেলছাড়া পরটা বানাও।
হোসনে আরা পাকঘরে হেলেদুলে গুনগুন করে আর ময়দা বেলে গুটি গুটি
দুই কানে গুজিয়াছে আইফুনের বিচি দুটি
গতকাল সন্ধ্যা ঘন হলে
রাত্তির আনুমানিক আটটা নয়টা বাজে
অথবা দশটায়
মনে নাই ঠিক
আমায় ফোন করে বাল্যবন্ধু মুকুল (ছদ্মনাম,
বাস্তবে উহার নাম বকুল, কিন্তু কথা সেটা নয়)
উত্তেজিত কণ্ঠে বলে, দোস্ত কারেন গেছেগা।
শুনে আমি থমকাই দু'টি ক্ষণ, তারপরে শুধাই
বলি ও মুকুল (ও বকুল বলেছিনু, যেহেতু ওটাই
তার বাস্তবিক নাম, তবে কথা সেটা নয়)
কারেন গেছেগা তাতে কি হয়েছে, আইপিএস ছাড়।
নিভে যাওয়া আগুনের শিখার ঘুষঘুষুনি উত্তাপটুকুও থেমে গেছে কখন, শুধু কালো কালো কয়লার মতো স্তূপ হয়ে পড়ে আছে কালকে পর্যন্ত যা ছিল চেয়ার, টেবিল, ঘরের বেড়া, দরজা, চৌকাঠ। এখন আর আলাদা করে চেনা যায় না কিছুই, কেবল আধপোড়া টিনগুলো একটু দূরে নিজেদের ক্ষয়িষ্ণু অস্তিত্ব জানান দিতে লালচে পোড়ামাটির দগদগে রঙ নিয়ে শুয়ে আছে মাটিতে।