গোড়াতেই স্বীকার করে নেয়া ভালো যে, আমি সমতা এবং ন্যায্যতা নিয়ে খানিকটা কাজ করলেও, নারীবাদ বিশেষজ্ঞ নই। ফলে, জ্ঞানের ঘাটতি আছে, কিন্তু নিষ্ঠায়, যাপনে এবং আচারে প্রাতিষ্ঠানিক কোনো নারীবাদীর চেয়ে কম নারীবাদী নই। নারীবাদ পাঠ করা সুবিধাজনক, কিন্তু শুধু পাঠ করে নারীবাদী হওয়া সম্ভবত কঠিন। বিশেষত একজন পুরুষের পক্ষে।
আজ বৃহস্পতিবার। ভোটের দিন। কোনো উৎসব উৎসব ভাব নেই। হাঁক-ডাক নেই। গাড়ি-ভেঁপু, চিৎকার, চেঁচামেচি কিছু নেই। ঘুম ভেঙে ওঠে চার-পাশ দেখে বিশ্বাস হয় না আজ ভোট। কম্পিউটারে বারের নাম দেখি। ৭ মে, বৃহস্পতিবার। হুমম... আজই তো ভোট।
প্রথম ঘটনাটা বেশ কয়েক বছর আগের। ২০০৮/৯ এর দিকে হবে। বাসে করে ক্লাসে যাচ্ছিলাম সকাল সকাল। পুরো বাস অফিসগামী মানুষ আর ক্লাসগামী ছাত্র দিয়ে বোঝাই। কোনমতে সামনের দিকে একটু জায়গা করে দাঁড়িয়ে খেয়াল করলাম মহিলা সিটে দুইজন ছেলে বসা। বাসে কোন মহিলা দাঁড়িয়ে নেই দেখে ভাবলাম থাকুক বসে। কেউ উঠলে নিশ্চয়ই সিট ছেড়ে দিবে।
ভুল ছিলাম আসলে।
(আমি মূলত একজন পাঠক। নারী সপ্তাহ উপলক্ষে একটি ছোট্ট গল্প লেখার চেষ্টা করেছি। গল্পের প্রতিটি উপকরণ আমার নিজের জীবন অথবা আমার পরিচিত মানুষদের জীবন থেকে নেওয়া।)
হ্যালো...... এই যে ভাইয়া, শুনছেন?
আমাকে বলছেন?
জী, আপনাকেই বলছি।
বলুন।
প্রথম আলোর ক্রীড়া সম্পাদক উৎপল শুভ্রের পাকিস্তান ক্রিকেটদল প্রীতি প্রায় সবারই জানা। এই ভদ্রলোকের প্রায় সমস্ত ক্রিকেট সংক্রান্ত রিপোর্ট জুড়েই থাকে তীব্র রকমের পাকিস্তান-বন্দনা, এমনকি এমন কোন ম্যাচ যাতে পাকিস্তান খেলেও নাই সেই খেলাতেও কোন না কোন উদ্ভটভাবে পাকিস্তানের কোন খেলোয়াড়কে টেনে আনতে তার জুড়ি মেলা ভার। যেমন, ম্যাচ রিপোর্ট লিখেছেন অস্ট্রেলিয়া আর ইংল্যান্ডের কোন ম্যাচের। কিন্তু তার মধ্যে হঠাৎ দ
অফিস থেকে বের হলাম তাড়াতাড়ি ডাক্তারের কাছে যাব বলে। ডার্লিং হারবার ব্রিজের উপর হাটতে হাটতে মাথায় অনেক কিছু ঘুরপাক খাচ্ছিল, নববর্ষের ঘটনা নিয়ে। এক বান্ধবী কে দেখলাম রাগ সম্বরণ করতে না পেরে ফেসবুকে অচেনা লোকজন (পড়ুন জানোয়ার) কে সমানে গালি দিয়ে যাচ্ছে। তাও যদি রাগ কমে। যে অবস্থা, যুক্তি তর্ক দিয়ে বুঝানোর মত ধৈর্য না আসলে দোষ দেয়া যায়না।
সেক্স আমাদের তথাকথিত শিক্ষিত সমাজে এতটাই ট্যাবু বিষয় যে এর একটা প্রমিত বাংলা প্রতিশব্দ পর্যন্ত নেই। মানব প্রজাতি ধরে রাখার মৌলিক কাজটিকে উল্লেখ করতে বিদেশি নয়ত সমাজের নিচুতলার মানুষদের মুখের ভাষা থেকে শব্দ ধার করতে হয়। এমন ভাব যেন সক্কলে ডিম ফুটে বের হয়েছি।
সবাইকে পহেলা বৈশাখে ১৪২২ নববর্ষের শুভেচ্ছা। আরও একবার বৈশাখ আমাদেরকে বাঙালির সবচেয়ে বড় ও প্রাচীন সামাজিক অনুষ্ঠানে একত্রিত হওয়ার সু্যোগ দিয়েছে। এই শুভ ক্ষণেও মৌলবাদীদের একদল পহেলা বৈশাখকে অমুসলিম বা হিন্দুদের বা বিধর্মীদের উৎসব সুতরাং ‘নাজায়েজ’ বলে বন্ধ করার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করে যাচ্ছে। যার প্রমাণ আমরা বোমা হামলা থেকে শুরু করে আরো অনেক লেখালেখি বা অনলাইন প্রচারণায় প্রতিনিয়ত দেখছি। মৌলবাদীদের অ
…
(১)
‘সোনার পাথরবাটি’ কিংবা ‘কাঁঠালের আমসত্ত্ব’ জাতীয় প্রবাদগুলো ছোটকাল থেকেই আমরা সবাই শুনে আসছি এবং এসব অবাস্তব বস্তু বা বিষয়ের মর্মার্থও আমাদের বোধের অগম্য নয় নিশ্চয়ই। কিন্তু একালে এসে যখন তথাকথিত কোন বিদ্বানপ্রবরের মুখে নতুন আঙ্গিকে এমন কথা বলতে শুনি- ‘বিজ্ঞান চাই কিন্তু বিজ্ঞানবাদিতা চাই না’, তখন আঁৎকে উঠে পুরনো কাসুন্দিকেই আবার নতুন করে ঘুটানো ছাড়া গত্যন্তর থাকে কি! কথাটা কি কোন বিদ্বানের অসতর্ক মুহূর্তে ক্ষণিকের প্রলাপ ভাববো, না কি এর ভেতরে কোন রহস্য ও গূঢ় উদ্দেশ্য রয়েছে, তা খোঁজার আগে আমরা মনে হয় কিছু তরল কথাবার্তা সেরে নিতে পারি!
(এখানে লেখা দু’টি ঘটনারই সাক্ষী আমি। তবে দ্বিতীয় ঘটনাটির একজন নীরব শ্রোতা ছিলাম মাত্র। ঘটনা দু’টি হয়ত নিতান্তই বিচ্ছিন্ন। দু’টি ঘটনার প্রেক্ষিত আলাদা। নিতান্তই ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে লেখা এই ঘটনাদু’টোর বিপরীতমুখিতা আমাকে ভাবায়। ব্যক্তিগত কারণেই দ্বিতীয় ঘটনাটির স্থান ও কাল উল্লেখ করছি না।)