যারা বিরক্ত হয়ে চোখ কুঁচকে তাকাচ্ছেন তাদেরকে আগেই নিশ্চিত করি যে টিপাইমুখ নিয়ে আমি নিজে কিছু বলতে যাচ্ছি না। বাঁধ নিয়ে বিবাদ-বিসম্বাদ যথেষ্ট শুনছেন আপনারা – এতে নতুন জল যোগ করার সামর্থ বা ইচ্ছা কোনোটাই আমার নাই। যা শুনেছেন তার সবটুকু হজম হয় নাই বলেই অনুমান করি – কারণ আমার নিজের প্রায় বদহজমের মত অবস্থা। সুতরাং গিলে ফেলা কথাগুলো জাবর কেটেই চলুন বোঝার চেষ্টা করি যে হট্টগোলর মধ্য...
দৃশ্য
উঁচু, নীচু দালান ঘেঁষে যেখানে
রাস্তা-ফুটপাত পাশাপাশি শুয়ে থাকে।
নারীরা সারি বেঁধে
সভ্যতা সেলাই করে ফিরে।
কালো কালো রাজপথ
আটকে থাকা গতরাতের বৃষ্টি।
বালকেরা বাতাসে তাদের অঙ্গ ছুঁড়ে
খেলা করে ।
এক তাল নীচে অর্ধেক দেহ
অসাড় হাত দুটি ঝুলে থাকে মরা গাছে।
ছিন্ন স্যান্ডেলে অগ্রোজ প্যাডেল চালায়
চলমান গলির মোড়ে সতর্কতা বাজে।
পার্টি সেন্টারগুলো চুমকির শরীর নিয়ে হাসে।
আলু ...
তখন আমার বয়স কতই বা হবে, ক্লাস সেভেনে পড়ি। আমার বাবার দেয়া লাল ডাইরীটা সামনে ধরে বৃষ্টি দেখছি। বৃষ্টির ফোটাগুলো খুব মনোযোগ দিয়ে দেখে লিখে ফেললাম একটা কবিতা। সম্ভবত ঐ কবিতাটাই প্রথম লেখা কবিতা। তারপর মাস খানেকের মধ্য লিখে ফেললাম আরো গোটা দশেক কবিতা। ডাইরীর শেষ কবিতাটা ছিল একটা ফুল নিয়ে, কবিতার নাম "কৃষ্ণকমল"। কবিতার মূল ঘটনা ছিল- একটা ফুল যেটা নাকি প্রতি ১০০০ বছরে একবার ফুটে, ওটা ...
[লেখাটি লিখেছিলাম নিজের ব্লগে প্রকাশ করবো বলে। তারপর জাহিদের লেখার পর সেটি মন্তব্যের আকারে দিই। কিন্তু জাহিদের আরেকটি মন্তব্যের প্রেক্ষিতে লেখাটি আবার সকলের জন্য তুলে দিচ্ছি। সকলের সুচিন্তিত মতামত হতে যেন আমরা কিছু একটি করণীয় ঠিক করতে পারি সেটাই লেখার মূল উদ্দেশ্য।]
জাহিদের লেখাটি টিপাইমুখ বাঁধের সম্ভাব্য বিরূপ প্রভাব কি কি হতে পারে তার উপর এ পর্যন্ত...
গরীবের বউ...
ফকিরের ঘরে ফকির জন্মাবে ধনীর ঘরে ধনী, এটা খুবই প্রাথমিক ও প্রকৃতিগত সত্য কথা। কেননা জন্মমাত্র ফকির পরিবারের সদস্য হিসেবে সে তো ফকিরই হবে। এর অন্যথা হবার কোন কারণ দেখি না। তেমনি ধনীর দুলালের ক্ষেত্রেও বিষয়টা অনুরূপই হয়। তবে জন্ম-পরবর্তী সে কি ফকিরই থাকবে, না কি থাকবে না, কিংবা ধনীর দুলাল কি উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত সম্পদে আজীবন সম্পদশালী থাকবে, না কি নিঃস্ব হয়ে যাবে...
সাতসকালে জি-চিঠি খুলিয়া অকস্মাৎ এক চিঠি দেখিয়া আঁতকাইয়া উঠিলাম!
বহু ফাঁকি মারিয়াছি, এইবেলা বুঝি মান যায়, প্রাণ যায়...
বহুকাল ছড়া লিখি না। লিখিবার আয়াস মিলে না, আয়াস মিলিলে আয়েস করিতে মন চায়। কলম হস্তে ধারণ করিলে স্মরণ হয়, কিবোর্ড ভিন্ন লেখা আমার ক্ষমতায় অসম্ভব হইয়া উঠিয়াছে, আবার কিবোর্ড লইয়া বসিলে বোর্ডে কী লিখিব তাহা এই নগদ ঘিলুটার চারপাশ হাতড়াইয়াও কিছু সন্ধান পাই না!
তাহার পরও ...
অন-লাইন ভিজিট করছিলাম। হঠাৎ চাকাঅলা চেয়ারটা দুলতে লাগলো। রাত তিনটা বেজে মিনিট পাঁচেক। যা ভাবছি তা কি সত্যি ? হাঁ তাইতো ! ভূমিকম্প। কিন্ত কি আশ্চর্য কোথাও কোন সাড়াশব্দ পাচ্ছি না কেন ? পাশের ঘরে শুয়ে থাকা স্ত্রীকে হাঁক দিলাম, তুমি কি টের পাচ্ছো কিছু ? কোন সাড়া পেলাম না। দৌঁড়ে গেলাম। দেখি নির্বিকার শিশুসন্তানের কপাল বুলিয়ে হয়তো কোন ভবিষ্যৎ স্বপ্নে বিচরণ করছে জেগে জেগে। বললাম, কী ব্য...
.
(০১)
‘আগুনের পরশমণি ছোঁয়াও প্রাণে…’, রবীন্দ্রনাথের এই সঙ্গীতটিকে ঋদ্ধি ও মননে ধারণ করেছিলেন বললে হয়তো ভুলভাবে বলা হবে ; বলতে হবে, ওই সঙ্গীতের মন্থিত জীবন-রসের সবটুকু মাধুর্যকেই বুকে আগলে নিয়েছিলেন তিনি। শুধু কি আগলেই নিয়েছিলেন ? আগুনের ওই পরশমণির অনিন্দ্য ছোঁয়ায় অগ্নিশুদ্ধ হয়ে নিজেকে এমন এক জীবনশিল্পীর মর্যাদায় আলোকিত করে নেন, সমকালীন বাস্তবতায় কী সাহিত্যে কী সাংবাদিকতায় ক...
ঢং ঢং ঢং... পিতলের ঘন্টায় দারোয়ানের হাতুড়ির বাড়ি পড়ছে। সে কি মধুর শব্দ...আহ! শেষ পিরিয়ডে সবাই ব্যাগ গুছিয়ে বসে ছিল পিনপতন নীরবতায়, কান পেতে ছিল...কখন ঘন্টা বাজে! তারপর সে মধুর ঘন্টাটা বাজতেই হুড়োহুড়ি করে ছুটে বের হলো তারা। কানে তালা লেগে যাচ্ছে ঢং ঢং আওয়াজে... ভিড়ের মধ্যেই চারপাশের ধাক্কায় অন্ধের মতো এগুতে লাগলো শায়লা... ... তারপর আর কি! যা হবার তাই হলো, চৌকাঠে পা ঠেকে হুমড়ি খেয়ে পড়লো। আর তখ...
জন্মদিনটি সবাই আনন্দে কাটাতে চায়, চায় বিপদমুক্ত থাকতে। কিন্তু রনি তার জন্মদিনেই ডাকাতি করতে বেরিয়েছিল এবং যেই সেই ডাকাতি নয়, ডাকাতির ইতিহাসে বড় বড় অক্ষরে লেখা আছে - এমন ডাকাতি।