ভূমিকা: আজকের প্রথম আলো তে "কূটনীতি বনাম রাজনীতি" শিরোনামে হাসান ফেরদৌসের লেখা একটি মতামত প্রকাশিত হয়েছে। লেখাটিতে হাসান ফেরদৌস পাকিস্তানের সাথে কুটনৈতিক সম্পর্ক রাখার পেছনে
বাংলাদেশে মৌলবাদের রাজনৈতিক-অর্থনীতি: পাঠ পর্যালোচনা ০১
[justify]বার্ষিক ২,০০০ টাকা নীট মুনাফা’র পাশাপাশি অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির হার (৭.৫% থেকে ৯%) মূল স্রোতের প্রবৃদ্ধির হারের তুলনায় বেশি হওয়ার কারণে, এবং রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নের ফলে সৃষ্ট চলমান সামাজিক বৈষম্য অপরিবর্তিত থাকলে অর্থনীতির সাম্প্রদায়িকী-করণ উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করেছেন অধ্যাপক আবুল বারাকাত। বার্ষিক নীট মুনাফার খাত-প্রতিষ্ঠান ভিত্তিক যে চিত্র তিনি তুলে ধরেন তা থেকে দেখা যায় মোট নীট মুনাফার শতকরা ২৭ ভাগ আসে আর্থিক প্রতিষ্ঠান তথা ব্যাংক, বীমা, লিজিং কোম্পানি’গুলো থেকে। এরপর সর্বোচ্চ ১৮.৮% আসে বেসরকারি সংস্থা, ট্রাস্ট, ফাউন্ডেশন কিংবা অন্যান্য খাত থেকে; বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান (খুচরা, পাইকারি, ডিপার্টমেন্টাল স্টোর) থেকে আসে
[justify]অধ্যাপক আবুল বারাকাত বিষয়টা নিয়ে লিখেছেন আগেই, তারপর সেটা আরও পরিবর্ধিত হয়েছে বিভিন্ন সময়। পরিবর্ধিত রূপটি একটি ছোট বই আকারে বের হয়েছে ২৬ জুন ২০১২ সালে। মাত্র ৩০ টাকা দামের বইটি পড়তে শুরু করলে এক পর্যায়ে থমকে যেতে হয়, জানা যায় বর্তমানে বাংলাদেশে মৌলবাদের অর্থনীতির বার্ষিক নীট মুনাফা ২,০০০ কোটি টাকা (২৫০ মিলিয়ন ডলার)!
গিয়েছিলাম প্রতিবেশী এক পিচকুর প্রথম বর্ষপূর্তিতে, কেক্কুক খেতে। বহুদিন পরে বাসায়, তাই আমিও প্রতিবেশীদের কাউকে চিনিনা- আমাকেও প্রতিবেশীরা চেনেনা। ফলাফল হল- গৃহকর্তা আমাকে সম্বোধন করলেন ‘ভাই’, আর পাশে দাঁড়ানো আমার জনককে ‘দুলাভাই’। পাকিস্তানী পাস্পোর্টধারী বাঙ্গালীদের (আজকাল আশেপাশে এই জাতের লোকজন দেখতে দেখতে অতিষ্ঠ হয়ে গেছি) মত খানিকক্ষন আত্মপরিচয় সঙ্কটে ভুগলাম।
ডেইলি টিভি খুল্লেই দেখি অমুক কম্পানির সাবান ভালা আর আমরা যেই সাবানে কাপড় ধুই ঐটা ‘সাধারন’ সাবান — ঐটা ভালানা। এই রকম কইরা শ্যাম্পু, বিস্কুট, আচার, আটা, ময়দা, কয়েল, ফ্রিজ, টিভি এমনকি বাড়ি বানানির রডেরও যে বিজ্ঞাপন দেয় তারটা ভালা বাকি বেবাকতেরগুলা ‘সাধারণ’ — ঐগুলা খারাপ। বাজারে গিয়া খুইজ্জাই পাই না ‘সাধারণ’ কম্পানির মাল কোনটা!
লিখতে বসলাম। জানিনা কি লিখতে বসেছি। লিখতে ইচ্ছা করছে তাই লেখা শুরু করা। লেখা শুরু করাটাও আরেক ঝামেলা। কি দিয়ে শুরু করবো। শুরু করতে যেয়ে আর শুরু করা হচ্ছে না। যাই হোক, শুরু যখন হোলই শুরুই করি। কাদের মোল্লার চা খাওয়া দিয়েই শুরু করি।
০০১।
অগ্রজ মাহবুব আজাদ সচলের অবস্থান-তখতে স্বগতোক্তি ঝুলাইয়া রাখিয়াছেনঃ “কসাই কাদের মরিয়া প্রমাণ করিল যে সে কত্তবড় কেপিটেস্ট”। পীরবাবা আবার সত্যের ডালি উজাড় করিয়া বেশরমের ন্যায় বঙ্গালমুলুকে মুত্রবিসর্জন করিয়া অলৌকিকভাবে পাকমুলুকের সবুজ তৃণ নাপাক করিবার উপক্রম করিয়াছেন। এই প্রেক্ষিতে আরেক ব্যাঘ্রশাবক, সহাচল সুমন ভ্রাতঃ ফরমাইয়েছেন, উহাদিগকে (Dark lords, They who must not be named) ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপের সুনিপুণ পাঁচালী। এক্ষণে বলিয়া রাখি, পরের মতখানার সঙ্গে আমি কিঞ্চিৎ দ্বিমত প্রকাশ করিতেছি। আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপের আগে তাহাদিগের প্রয়োজনীয় উপাদানসমুহ আমাদিগের ভবিষ্যতের নিমিত্তে দ্রাক্ষারসের ন্যায় শুষিয়া নেওয়াই উত্তম- ইহাই আমার মত। স-মাংস অস্থি কেউ কখনও কি সারমেয় ভক্ষণের নিমিত্তে সম্প্রদান কারকে চতুর্থী বিভক্তি সহযোগে ব্যাবহার করে? কিংবা স-মৎস্য কণ্টক কি পোষ্য মার্জারটিকে স্বত্ত ত্যাগ করিয়া দান করা হয়? মোটেই তাহা নহে। উহা আদতে সমীচীনও নহে। কিরুপে? উহাই আলোচনা করিব, বোকাবাক্সের বিজ্ঞাপনপূর্ববর্তী লাস্যময়ী উপস্থাপিকা কিংবা অতিউত্তেজনায় গাঁজন অপচয়কারী (গ্রন্থ মোতাবেক- শয়তানের ভ্রাতঃ) উপস্থাপকের ন্যায় বলিতেছি- “সঙ্গেই অবস্থান করুন”।
"খুব জ্বলে, তাই না?"
এবারতো আমরা শুধু চাই শান্তিমতো নিজের ঘরের ময়লা-আবর্জনা পরিস্কার করতে। ওগুলাকে ডাস্টবিনে নিয়ে মাটি চাপা দিয়ে রেখে আসতে পারলে অনেক আরাম লাগতো; কিন্তু ঐদিকে খুব দূর্গন্ধ, একটু দুরেও, ঘরেও অনেক কাজ; তাই আবর্জনাগুলো ঘরেই মাটি চাপা দিচ্ছি। এতেও ডাস্টবিনের পিত্তি জ্বলছে; চোখের পানিতে সমগ্র ডাস্টবিনজুড়ে বৃষ্টিপাত শুরু হয়ে গেছে!
ঘাতক কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় অবশ্যই খুশি হয়েছি। কিন্তু সে খুশি সাথে সাথেই উবে যায়, যখন দেখি কারো ভাই অফিস থেকে ফেরাপথে জামাতের চোরাগোপ্তা হামলার ভয়ে তটস্থ হয়ে থাকে। আরও উবে যায়, যখন দেখি, কারো বোন ভার্সিটি থেকে ফেরার পথে শিবিরের তাড়ায় আলি-গলি দৌড়ে বাড়ি ফেরে। ঘরের ভেতরে কোনো মায়ের ভীতসন্ত্রস্ত শুকনো মুখ দেখে আমারও মুখ শুকনো হয়ে যায়। পাশের বাড়ির একমাত্র উপার্জনক্ষম বাবা যখন জামাত-শিবিরের প
আমার বিশ্বাস প্রতিটি মানুষের ছোট বেলাতেই কেউ না কেউ থাকে যে তার মনোজগতে প্রচণ্ড ভাবে প্রভাব ফেলে। কেউ না কেউ তার রুচির ধরনটা গড়ে দিতে থাকে— তার প্রাত্যহিক যাপিত জীবনের ভেতর থেকেই। যেমন আমার বেলায় ছিলো আমার ছোট মামা।
ছোট মামার যে কোন কাজে এসিস্ট্যান্ট হতে পারাটা ছিলো সে সময় আমার সব চেয়ে কাঙ্ক্ষিত কাজ। মামার এসিস্ট্যান্ট হয়েই বিজয় দিবসে নানুদের বাসার উঠান পুরোটা পতাকা দিয়ে সাজিয়েছি।