অন্ধ হয়েই জন্মেছিলো বিচার; সুদীর্ঘকাল পর সুপথে চলার দায় অর্পিত হলো শক্তিমন্ত এক শাদাছড়ির উপর।
অতঃপর, বিচারের বাণীতে ধর্ষিত হয় পুনঃ অযুত বীরাঙ্গনা-শহীদের ত্যাগ...
---
আনু-আল হক
ছলনার রায় মানি না,
অন্য কিছু জানি না,
শুধু এটাই জানি-
ঘুচেনি আজো গ্লানি।
হতভাগা ঘাটের মড়া
(তোর) মুখ থেকে হাসি সরা।
ভাবিস না তুই বেঁচে গেছিস আজি
অল্পতে তুই পার পাবি না অলপ্পেয়ে পাজি।
দেশের মানুষ আছে এখন সজাগ সর্বক্ষণ
প্রয়োজনে শাস্তি দেবে দেশের জনগণ।
শোন শোন পুরবাসী, শোন দিয়া মন,
তেঁতুলেরি কথা আজই, করিগো বর্ণন।
ভাবিওনা এসব তেঁতুল গাছের ডালে ধরে,
রাস্তা দিয়া হাঁটিয়া যায় মনটা উদাস করে।
গাছের তেঁতুল দেখলে খোকার মুখে ঝরে লালা,
অন্য তেঁতুল দেখলে মোদের দিলে করে জ্বালা।
আমাদেরও ঝরে লালা (মুখে নয়রে বোকা!)
যৌবনেরই চাপে আজও আমরা বুড়ো খোকা।
তেঁতুল যদি নিজদেহ না করে হেফাজত,
আমরা ভাবি, ঐ দেখা যায় মালে গণিমত!
এই না ভেবে মমিন মোদের উঠিয়া দাঁড়ায়,
আমেরিকার গণতন্ত্রের একটা দারুণ দিক হলো মধ্যবর্তী নির্বাচন ("মিডটার্ম ইলেকশন")।
মিডিয়া জিনিসটা স্রেফ একটা বাজার। চাহিদা আর যোগানের সামঞ্জস্য বিধান করা ছাড়া এখানে আর কোনও কথা নাই। আমরা যেসব খবর জানতে চাই, সেসব খবর দিয়ে মিডিয়া আমাদের ভাসিয়ে দেয়। আর যেসব জিনিস আমরা ভুলে গিয়েই ভালো থাকি, সেগুলোকে ভুলিয়ে রেখেই আমাদের সাধের মিডিয়া তৃপ্ত।
[justify]
একটা দল শান্ত। আগ্রাসী গোলক্ষুধা নেই, অনবরত আক্রমণ চালানো নেই, আচমকা দূরপাল্লার রোমাঞ্চকর শট নেই। তাদের ছকটা সরল, একটু বিরক্তিকর মাত্রাতেই সরল। বল পায়ে রাখো, বল পায়ে রাখো, বল ধরে রাখো। এই তরিকায় সাফল্য পেতে যা দরকার, ঠিক সেই ছাঁচের দুর্দান্ত বল প্লেয়ারের অভাব নেই তাদের।
অলস পায়ের যাদুর এই দলটা স্পেন।
এই পোস্টের বিষয়বস্তু "হায়েনা"।
বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবরের শিরোনাম এবং চুম্বক অংশে বলা হচ্ছে, "ফেসবুক স্ট্যাটাসে প্রধানমন্ত্রীকে ‘হায়েনা’ ডাকায় বুয়েটের প্রভাষককে সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।"
এটুকু পড়ে আওয়ামী-/হাসিনা-বিদ্বেষীদের ক্ষিপ্ত হওয়ার কারণ আছে, বুয়েটের ছাত্র-শিক্ষকদেরও ক্ষিপ্ত হওয়ার কারণ আছে। এই ক্রোধের সাথে সহমর্মিতা রেখেই মুদ্রার অপর পিঠের দিকে তাকানোর অনুরোধ করছি। প্রথমে এ-পিঠ দেখি।
---
[ যুক্তিকে বিশ্বাস আর বিশ্বাসকে যুক্তি বলে যেন গুলিয়ে না ফেলি আমরা !]
…
শুনেছিলাম সেই সে কবে, রাষ্ট্র নাকি লড়বে,
আঙ্গুলেতে জয় দেখানো কাদের বোধহয় মরবে
কদিন ব্যাপক উথাল পাথাল সবই এখন ঠান্ডা।
আম জনতার মাথায় কেবল সদাই পিটছে ডান্ডা।।
রাজনীতি এবং প্রশাসন একদম বিপরীতধর্মী দুইটি আর্ট।
একটির মূলে আছে গণসংযোগ, আরেকটির জননিয়ন্ত্রণ। একটিতে ক্ষমতাহীন অনেক মানুষ মিলে, অনেক শ্রমের বিনিময়ে, সমাজকে অনেক জোরে নাড়া দিয়ে ছোট্ট একটু পরিবর্তন ঘটায়। অন্যটিতে খুব সীমিত কিছু মানুষের সিদ্ধান্তে, রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ব্যবহার করে, স্বল্পতম প্রয়াসে অনেক বড় পরিবর্তন ঘটানো হয়। একটি মেঘের মতো বিশাল ও গম্ভীর, অন্যটি বজ্রপাতের মতো তীব্র ও ধারালো।