পর্যবেক্ষণ ১ - আমার সবচেয়ে ব্রিলিয়ান্ট ভাইটি ইন্টার পর্যন্ত মাদ্রাসায় (আলিয়া) পড়েছে। তারপর শা'বি থেকে গ্র্যাজুয়েট করে ইংল্যান্ডের গ্রিনিচ ইউনিভার্সিটি থেকে মাস্টার্স করে এখন পিএইচডি করার চিন্তা-ভাবনা করছে। আমরা বাকি স্কুল পড়ুয়া ভাইরা কিন্তু তার মত করে পারিনি!
সাম্প্রতিক ঘটনাবলির আলোকে আইসিএসএফ গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ করছে যে কিছু মৌলবাদী প্রতিক্রিয়াশীল অপশক্তি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারপ্রক্রিয়ায় বিঘ্ন সাধনের উদ্দেশ্যে, এবং সামাজিক সম্প্রীতিপূর্ণ বাংলাদেশকে একটি সাম্প্রদায়িক ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থী রাষ্ট্রে পরিণত করার লক্ষ্যে সোচ্চার। ‘হেফাজতে ইসলাম’ নামের আড়ালে জামায়াত ইসলামীসহ এই দুষ্টচক্র সুপরিকল্পিতভাবে আমাদের মহান স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি ও
“আওয়ামী লীগ বুঝে গেছে তারা ছাড়া আমাদের আর ভরসা নেই। ভোট আমরা আ-লীগকেই দেবো।“
বন্ধুর মুখে এ কথা শুনে চমকালাম। জিজ্ঞেস করলাম, “আমরা মানে কারা?”
“আমরা মানে যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী, অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র চাই, ধর্মভিত্তিক রাজনীতি চাই না।"
হেফাজতে'র ১৩ দাবী পড়ে চরম বিনোদিত হয়েছিলাম এবং তাদের বক্তৃতা শুনে সেই বিনোদনের ষোলকলা পূর্ণ হল।
একজন বক্তা বললেন - আল্লাহ'র হুকুম ছাড়া কোন কিছুই চলবে না, ঠিক এর পরের বাক্যে বললেন আমাদের হুজুর যে আদেশ দিবেন সে হুকুম আমরা অক্ষরে অক্ষরে পালন করব। দেখুন কথাটা কতটুকু স্ববিরোধী।
- তানভীর আহমদে
হেফাজতের বাংলাদেশ
৬ এপ্রিল হেফাজতে ইসলামের ঢাকা অভিমুখে লংমার্চকে কেন্দ্র করে দেশ জুড়ে উত্তেজনা আর রাজনীতিতে নতুন উত্তাপে সবার মনে উৎকন্ঠা বিরাজ করছে, কোন দিকে যাচ্ছে বাংলাদেশ? কিন্তু কেন এই লংমার্চ, কি তাদের দাবী? হেফাজতে ইসলাম লংমার্চকে ঘিরে তাদের ১৩ দফা দাবিনামা পেশ করেছে, দাবীগুলো যুক্তির আলোকে ব্যাখ্যা করলে এগুলোযে অন্তঃসারশূণ্য সেটি স্পষ্ট হয়ে উঠবে, আর গনতান্ত্রিক দেশে দাবী আদায়ের জন্য প্রস্তাব উত্থাপন করার আগেই ঢাকা অভিমূখে লংমার্চ করে দেশ জুড়ে উত্তেজনা ছড়ানোর যে কোন প্রয়োজন ছিলোনা সেটি বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করবো এই আলোচনায়।
সোনায় মোড়ানো ছাত্রলীগের যদি হইতা
দিনেদুপূরে চাপাতি দিয়া তামাম বিশ্বজিতরে টুকরা টুকরা কইরাও
প্রাইমিনিস্টারের হাত থিকা নিতা পারতা শ্রেষ্ঠ সাঁতারুর পুরস্কার;
যদি হইতা ছাত্রদলের কেউ, কাদের মোল্লারে সত্যায়ন দিয়া জিব্রাইলের ডানায়,
লাশের অপেক্ষায় ককটেল ফুটাইতে ফুটাইতে তুমি
পথে প্রান্তরে উড়াইয়া দিতা ম্যাডামের গোলাপী হরতাল
আর খোয়াবে দেখতা হাওয়া ভবনের ম্যাজিক রিয়ালিজম;
গণজাগরণ মঞ্চ কার্যক্রম শুরু হবার পর বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট অনেকটাই বদলে গেছে। ঘটনাক্রমে প্রধান দুইটি রাজনৈতিক দল নির্বাচনকে সামনে রেখে ধর্মকার্ড খেলা শুরু করেছে। রাজনীতির মঞ্চে নতুন উদয় হওয়া বিএনপি জামাত সমর্থিত হেফাজতে ইসলাম এই মুহুর্তে রাজনীতির নিয়ন্ত্রকের ভূমিকা দখল করতে পেরেছে। পরিবর্তিত এই প্রেক্ষাপটের বলি হচ্ছে ব্লগাররা ও ব্লগের মতো স্বাধীন মতপ্রকাশের মাধ্যম। ব্লগার ও অনলাইন এ্যাক্টিভিস্টদের প্রতিনিধি হয়ে ওঠা গণজাগরণ মঞ্চও তার প্রত্যাশা ও সম্ভাবনা অনুযায়ী বিকশিত হতে পারছে না।
[justify]গণজাগরণ মঞ্চ কোনদিন এক মুহূর্তের জন্যও কোন ধর্মেরই ধর্মীয় কোন বিষয় নিয়ে কোন বক্তব্য দেয় নাই। দিবেই বা কেন?
শাহবাগ গণজাগরণ মঞ্চ গোটাতে হবে- সরকার তথা আওয়ামী নেতৃবৃন্দের এমন মনোভাবেরই খবর পাওয়া গেছে। মঞ্চ যেন তাদের বাপ দাদার তালুক- ব্যাপারটা এমনই। শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চ কি আওয়ামী লীগের কথায় হয়েছে? নাকী আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরাই “ ক তে কাদের মোল্লা তুই রাজাকার” বলে মঞ্চের খুটিখানা গেড়ে দিয়েছিলো? আওয়ামী লীগ-বিএনপির ডাকে আজকাল কেউ কি আসে?