প্রথমবার যখন এক বন্ধুকে ভালোবেসে ফেলেছি, আমার বিশ্বাস হতে চায়নি! বন্ধুকে বললাম, তোকে ভালোবেসে ফেলেছি। বলে আমরা দুজনেই খুব হাসলাম। এখনো সেই ঘটনা আমার বিশ্বাস হতে চায়না। মনে হয় ঘোরের মধ্যে আছি। ভালোবাসার মতো দারুণ একটি বিষয়ও হয়তো কোনো কৃতিত্বের বিষয় হতে পারতো। কিন্তু সে-ও হয়নি। যাঁদেরকে ভালোবাসা উচিত, তাঁদেরকে ঠিকঠিক ভালোবেসে ওঠা হয়না। আম্মার খেয়াল রাখার দরকার ছিল। আমি আম্মার খেয়াল রাখিনা। আম্মা আমার খেয়াল রাখেন ৯ হাজার কিলোমিটার দূর থেকে। ওনার কখনো ভুল হয়না। আমার কেবলই ভুল হয়ে যায়। আমার সহোদরাদের খোঁজও আমি কিছু রাখিনা। ওরা আমার খোঁজ রাখে। ভালোবাসায় আমি নিতান্ত ব্যর্থ একজন মানুষ। ভাবলেই আমি দারুণ ক্ষীণ, নিতান্ত ক্ষুদ্র বোধ করি নিজেকে।
শহীদ রুমী স্কোয়াডে অনশন শুরু হওয়ার পরে মানুষজনের শাহবাগ যাওয়ার ইচ্ছা খুব বেশি দেখিনি । আমার এক বন্ধুর (নাম বলতে চাচ্ছি না) সাথে এগুলো নিয়ে নিয়মিত আলোচনা করি অফিস থেকে ফেরার পরে ।
শুকরিয়া আদায় করিয়া এই লেখাটা শুরু করিলাম, কারণ এই দেশে 'আপত্তিকর' কোন কিছু আর মানিয়া নেওয়া হইবেনা। যদিও আপত্তিকর এর সংজ্ঞা এখনও জানা নাই। সরকার মহোদয় ফরমাইয়েছেন যে - 'আপত্তিকর' কোন কিছু দেখলেই ঠুশ করে নালিশ ঠুকে দেওয়া যাবে। নালিশ ঠুকার ঠিকানা, complainmoha@gmail.com । এই তড়িৎ ডাক(ইমেইল) ঠিকানাখানা লেখা আকারে(প্লে
শহীদ রুমী স্কোয়াডের সব সাহসী ওরে!
চাইছি ক্ষমা, করবে বলো কাপুরুষ এই মোরে?
হয়তো হবো স্বার্থপর আর ভীষণ ভীরু আমি
কোথায় সাহস সঙ্গী হয়ে আজ রাস্তায় নামি?
যুক্তরাজ্যে জামাত এবং তার ছাত্র সংগঠন শিবির কতটা সংগঠিত তা ব্লগ পাঠক মাত্রেই অবগত। ইস্ট লন্ডন মস্ক-এর নাম পত্রিকায় লিখবার সময় নামের পূর্বে ‘বিতর্কিত’ শব্দটি জুড়ে দিতে ভুল করে না সেখানকার সাংবাদিকেরা; আর আইএফই বা ইসলামিক ফোরাম অব ইয়োরোপ –কে তারা অনেকেই সরাসরি সন্ত্রাসী দল বলেই বিবেচিত করে। এমন কি আইএফই-র সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা থাকবার কারণে লেবার পার্টির একজন বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত মেয়র-কে দলচ্যুত করা
আমরা দিন শুরু করি ফেসবুকে কয়টা নোটিফিকেশন আসলো তা দেখে - ব্রেকফাস্ট খেতে খেতে খবর পড়ি - শাহবাগীদের গালি দেই - অফিসে যেতে যেতে সরকারের কাজে হতাশ হই - অফিসে বসে বিএনপির নির্বুদ্ধিতায় নির্বাক হই - তারপর আবার বাসায় এসে মশামাছি মারি - আনন্দে ফেসবুকিং করি - টকশোতে রাজা উজির মারি - বান্ধুবান্ধবীদের হাই হ্যাল্লো বলি - প্রিমিয়ার লিগ আর লা লিগা দেখে স্ট্যাটাসের বন্যায় হোমপেজ ভাসাই - মাঝে মধ্যে দুপুরে ভরপেট খেয়ে ভুড়ি দুলিয়ে একটা পাওয়ার ন্যাপ নেই - উইকঅ্যান্ডে মুভি দেখি - তারপর রাতের আড্ডাতে চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে দেশটা সম্ভাব্য কত প্রকারে রসাতলে গেল তা নিয়ে লম্বা বক্তৃতা দেই - দিতে দিতে কখন ভোর হয়ে যায় - সেই খেয়াল আর থাকে না - এরপর ঘুমের স্বল্পতার জন্য আবার শাহবাগীদের গালি দেওয়া শুরু করি।
"Discuss - Analyse - Strategise - Get Active" এ শ্লোগানকে সামনে রেখে ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস স্ট্রাটেজি ফোরাম (আইসিএসএফ) এর ধারাবাহিক কর্মশালার প্রথম কর্মশালাটি হয়ে গেল শনিবার ২৩শে মার্চ ২০১৩ লন্ডনের মন্টিফিওরি সেন্টারে। বাংলাদেশ হাইকমিশন লন্ডনের সম্মানিত হাই কমিশনার জনাব মিজারুল কায়েস, লন্ডনের প্রিন্ট-বেতার-টিভি মিডিয়ার কর্মী এবং সঞ্চালকবৃন্দ, এবং নানা পেশা নানা বয়সের এক ঝাঁক কর্মী এবং সংগঠকের উপস্থিতি এবং সক্রিয় অংশগ্রহণ তথ্য ও বিশ্লেষণ সমৃদ্ধ এই অনুষ্ঠানকে আরো প্রাণবন্ত করে তোলে। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এতে আরও যোগ দেন জার্মানী, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন শহরের কর্মী ও সংগঠকবৃন্দ যারা শাহবাগ পরবর্তী বিভিন্ন উদ্যোগগুলোর সাথে সংশ্লিষ্ট রয়েছেন।
নাই বুঝি টু করার শক্তি? হাত পা বুঝি বাঁধা?
মানব বুঝি যা বলো তাই? ভাবছ বুঝি গাধা?
মাটিতে পা পড়ছে না তো, উড়ছ আকাশটাতে?
মনে রেখ ঘুড্ডি তুমি, লাটাই আমার হাতে।
উচ্চ থেকে লাগছে আমায় পিপীলিকার মতো?
জান না কি সদলবলে শক্তি তাদের কতো?
ঘোলটা দেবে আমায় খেতে সরটা তুমি খেয়ে!
ভাবছ বুঝি দেখব কেবল এসব চেয়ে চেয়ে?
কেউ আমাকে মারবে ছুরি মাঝ বরাবর বুকে
আমি কেবল পড়ে পড়ে মরব ধুঁকে ধুঁকে?
…
(১)
ইদানিং মজার একটি বিষয় নিয়ে খুব শোরগোল শুরু হয়েছে দেশের সবক’টি পর্যায় থেকে। বিষয়টি আর কিছু নয়, নাস্তিক্যবাদ। তবে যারা এটিকে নিজেদের মতো করে উদ্দেশ্যমূলক নাড়াচাড়া করছেন, তা যে খুব খারাপ অর্থেই বা লক্ষ্য নিয়ে করছেন এটি বলার অপেক্ষা রাখে না। তাঁদের বক্তব্য-বিবৃতি শুনে মনে হয়, কোন সংক্রামক ব্যাধির মতোই নাস্তিক্যবাদ নামের অতি জঘন্য একটি জিনিসের দ্রুত প্রাদুর্ভাব ঘটে এই দেশ এই জাতি বুঝি রসাতলে ডেবে যাচ্ছে। সত্যি কি তাই ?
অনেক দিন আগের কথা। আমি তখন ক্লাস এইটে। একদিন দেখি আমার এক চাচা ও তার বন্ধু 'লাল-সালু' উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র মজিদের সংলাপগুলো আওরাচ্ছে আর হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খাচ্ছে। আমার ঐ চাচা তখন ইন্টারমিডিয়েটের শিক্ষার্থী ছিল। আমার মনে আছে, আমার ঐ চাচা যখন বিএ (ডিগ্রি)র শিক্ষার্থী ছিল, তখন এমনি করেই একদিন সৈয়দ আবুল মনসুর আহমেদের 'হুযুর কেবলা' নিয়ে দারুণভাবে আমোদিত হয়েছিল। কিন্তু আমার সেই চাচা এখন আর মজিদ ব