সরকার শাহবাগের আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করেছে অনেক আগেই; সরকারের অনেক কর্তাব্যাক্তি এবং সরকারদলীয় অনেক উচ্চপদস্থ নেতা নিয়মিতই শাহবাগে আসছেন একাত্মতা প্রকাশ করতে। এগুলো খুবই পজিটিভ দিক। কিন্তু একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন অনেকেই উত্থাপন করছেন। সেটা হল সরকার কি তার রুটিন সরকারী দায়িত্বগুলো পালন করছে বিগত কয়েকদিনের ঘটে যাওয়া ব্যাপারগুলো নিয়ে?
আপনি হয়তো এই মাত্র ফিরলেন শাহবাগ থেকে। আপনার উচ্চারিত স্লোগান এখনো ধ্বনিত প্রতিধ্বনিত হচ্ছে লক্ষ কন্ঠে, শাহবাগে, সারা দেশ জুড়ে। টুইটারের মাধ্যমে আপনি হয়তো জানিয়ে দিচ্ছেন বিশ্ববাসীকে আমাদের প্রাণের দাবীর কথা। ফেসবুকে শেয়ার করছেন নিজের প্রত্যয়, আশা আর উৎকন্ঠার বাণী। অনলাইনে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন নাশকতার, খণ্ডণ করছেন প্রজন্মের এই আন্দোলন নিয়ে সকল অপপ্রচারের। কিংবা হয়তো, আপনি পারিবারিক বা পেশাগত
আজকাল একটি গোষ্ঠী বাক-স্বাধীনতা ও গণ্মাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে খুব কথা বলছে। দেশে নাকি বাক-স্বাধীনতা বলতে কিছুই নেই এবং গণতন্ত্র বিলুপ্ত হয়েছে। সরকার নাকি নিরন্তর ফ্যাসিস্ট(আসলে ফ্যাশিস্ট, এরা উচ্চারণটা জানে না!) হয়ে উঠছে। সত্যিই কি তাই?
অমর একুশে গ্রন্থমেলা বাঙালির প্রাণের মেলা। দেশের সৃজনশীল লেখক পাঠকদের মিলনস্থল এই মেলা। এটা তথাকথিত এবং সকলের জানা একটা কথা। এর সাথে ভিন্নমত পোষণ করবেন এমন কেউ কি আছে এই দেশে, থাকতে পারে?
"দেশ, কাল ও শান্তির কথা ভেবে রয়েছি আমরা নীরব
যখন নীরবতা ওরা দুর্বলতা ভাবে রক্ত করে টগবগ"
রক্ত ফুটছে... সকাল থেকে এই খবরগুলো দেখে...
এ সাহস, স্পর্ধা ছাগুগুলা পায় কৈ?
এই দেশে আজও তারা করে এত হৈ চৈ!
আমরা কি বলহারা না কি কারো শির নাই
না কি ছাগু বধিবার হাতে কোন তীর নাই!
টিকে আছে আদর্শ পায়ে দলে দেশটির
নাগাল না পাও তবু চর্ম বা কেশটির!
এইবার করো দয়া হর তার দর্প
না পারলে জনতার হাতে ভার অর্প।
মানুষের চেয়ে দেশে ছাগুরা কি কম নয়?
তবে কেন ভয় এত? ওরা ছাগু, যম নয়।
সকলেই মার খায়, রাজা তুমি চেয়ে রও!
সম্প্রতি বাংলাদেশে খুব আশ্চর্য একটা ঘটনা ঘটে গেলো। আমাদের অতি পরিচিত শাহবাগ মোড়ে এক জন দু'জন করে সমবেত হলো হাজার হাজার মানুষ। কে তাদেরকে ডেকে আনলো? দেশের বড় বড় রাজনৈতিক দলগুলোর পল্টনে জনসমাবেশ ডাকে- আমরা দেখি। সেখানে দলীয় ব্যনার হাতে, দলীয় শ্লোগান মুখে অনেক লোক হাজির হয়। তাদের ডাক ছাড়া এতো লোক একসাথে হতে পারে- ভাবাই যায় না।অথচ শাহবাগে সবার চোখের সামনে সেটাই ঘটলো।আমাদের দেশের ইতিহাসে এমন ঘটনা বিরল।
এবং তোমার দ্বন্দ্ব মানে নিজের সাথেই প্রবল লড়াই- ঘর জুড়ে তাই ঘুণ ধরেছে,
তোমার দ্বিধা মানে চলতে গেলে হোঁচট খেয়ে যাও দাঁড়িয়ে আর হাঁটো-না --
সব প্রহরেই শুনতে থাকো দিন ফুরিয়ে রাত আসে তাই ভোর হবে-না --
তোমার নিয়ম ভাঙার সকল শপথ শিকল পড়ার ছল মেনেছে,
তুমিও এখন কান পেতে তাই চিরচেনা প্রতারকের মিহিন কোন মন্ত্রণাতে আঁতকে উঠো,
নিয়ম করে ঠিক প্রতিবার ভুল যোগে তাই বিয়োগ মেনে পিছু হটো...
প্রাচীনকালে নাকি আঙ্গুলে ব্যাথা হলে গোটা হাতই কেটে ফেলা হতো। আর এই সেদিনও একটা দুষ্টু লিঙ্কের জন্য গোটা ফেসবুক ব্লক করা হতো। সম্প্রতি ইউটিউবের জন্যে একই ধরণের চিকিতসা নেওয়া হয়েছে। তবে আজকে একটা খবর পড়ে একটু আশার আলো দেখতে পাচ্ছি। সরকার এখন গোটা হাত না কেটে গ্যাংগ্রীন আক্রান্ত আঙ্গুল্টাই কাটতে পারছে। এই অবাধ তথ্যপ্রবাহের যুগে এটা করাই সমিচীন। ইন্টারনেট অতি সামান্য কিছু মানুষের কাছে দুষ্টুমির উপকরণ হলেও এর ব্যবহার গোটা বিশ্বের কাছে যোগাযোগের এবং তথ্যপ্রবাহের দিগন্ত উন্মুক্ত করে দিয়েছে। অকল্যাণকর বা দুষ্টুমিতে এর এক ট্রিলিয়ন ভাগের এক ভাগও বোধকরি ব্যবহার হয়না।
রাজীবের গলা চিরে ভেবেছিস হবে রোধ
জনতার জাগরণ? তোরা বড় নির্বোধ!
সহযোদ্ধারা তার জেগে রাত কাটাবেই
"ফাঁসি চাই" চিৎকারে কন্ঠটা ফাটাবেই।